ঢাকা ১০ জুলাই, ২০২৫
শিরোনামঃ
জনগণের পক্ষে বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি গড়ে তুলুন: নাহিদ ইসলাম যত দ্রুত দেশকে নির্বাচনের ট্র্যাকে উঠানো যাবে ততই দেশের জন্য মঙ্গল : মির্জা ফখরুল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা বাজার সম্প্রসারণে এফটিএ বাস্তবায়ন জরুরি: বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ী নেতারা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে অতীতের মতো রেজাল্ট দেওয়া হবে না: শিক্ষা উপদেষ্টা বাগেরহাটে এ্যানজিন মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজে ডাকাতির কোটি টাকার মালামাল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৯ এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ আগামীকাল টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় এখনো নিখোঁজ ১৭০, বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা ভারতে যুবককে কুপিয়ে রক্তাক্ত করার ভিডিও বাংলাদেশের বলে অপপ্রচার : বাংলাফ্যাক্ট শ্রীলংকার বিপক্ষে টি২০ সিরিজে ঘুড়ে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা বাংলাদেশের

যত দ্রুত দেশকে নির্বাচনের ট্র্যাকে উঠানো যাবে ততই দেশের জন্য মঙ্গল : মির্জা ফখরুল

#
news image

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘যত দ্রুত দেশকে নির্বাচনের ট্র্যাকে উঠানো যাবে ততই দেশের জন্য মঙ্গল’।

আজ বুধবার রাজধানীর নিউরো সায়েন্স হসটপিটালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এবং অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদকে দেখার পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে যখন দেশের মানুষের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে তখন একটি মহল এর বিরোধিতা করে নানা ধরণের বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এ বিষয়ে সাংবদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে যদি কোন দল থাকে সেটা হচ্ছে বিএনপি এবং গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বেশি লড়াই করেছে বিএনপি। বাংলাদেশে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বিএনপি নিয়ে এসেছে বহুদলীয় গণতন্ত্রে এবং পরবর্তীকালে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।

তিনি বলেন, দেশটাকে সকলে মিলে বাঁচাতে হবে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে দেশকে সঠিক ট্র্যাকে উঠানো এবং যত দ্রুত সেটাকে উঠানো যাবে ততই মঙ্গল।

মির্জা ফখরুল বলেন,‘যারা মনে করেন যে, নির্বাচনের প্রয়োজন নেই- আমার মনে হয়, তারা আবার চিন্তা করবেন। নির্বাচন প্রয়োজন জনগণের জন্য। একটা নির্বাচিত সরকার দরকার, যে সরকারের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক থাকবে। সেই কারণেই আমরা সংস্কারে অংশ নিচ্ছি। প্রত্যেকটি সংস্কারের দাবি আমরাই তুলেছি। সুতরাং সংস্কার এবং নির্বাচন সাংঘর্ষিক নয়। দুইটা একসাথে চলবে।’

সকাল সাড়ে ১১টায় আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্স এন্ড হসপিটালে চিকিৎধীন অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসকে দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব। তিনি চিকিৎসকদের সাথে তার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হন।

দীর্ঘদিন ধরে অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস নিউরো সমস্যায় এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এরপর একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদকে দেখতে যান মির্জা ফখরুল এবং তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।

ফ্যাসিস্ট আমলের বড় ভিক্টিম বিএনপি এ কথা উল্লেখ করে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা খুব ভালো করে জানেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নির্যাতন-হত্যা-গুম-খুনের সবচেয়ে বড় ভিক্টিম আমাদের দল বিএনপি। আমার বিরুদ্ধে ১১২টা মামলা হয়েছে এবং ১৩ বার জেলে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময়ে মনে করি, যে সমস্ত রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদের পক্ষে থাকবে, যারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করবে, বিশেষ করে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে কাজ করেছে- তাদের প্রতিটি ব্যক্তির শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত এবং শাস্তি হওয়া উচিত।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা, তিনি এককভাবে আমি মনে করি দ্যা রেসপোসিবল ফর দ্যা কিলিং অব দ্যা থাউজেন্টস অব পিপল। তার বিচার শুরু হয়েছে, আমরা আশাবাদী শেখ হাসিনা এবং তার সঙ্গে যারা গণহত্যায় জড়িত তাদের প্রত্যেকেরই বিচার হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

০৯ জুলাই, ২০২৫,  9:49 PM

news image

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘যত দ্রুত দেশকে নির্বাচনের ট্র্যাকে উঠানো যাবে ততই দেশের জন্য মঙ্গল’।

আজ বুধবার রাজধানীর নিউরো সায়েন্স হসটপিটালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এবং অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদকে দেখার পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে যখন দেশের মানুষের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে তখন একটি মহল এর বিরোধিতা করে নানা ধরণের বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এ বিষয়ে সাংবদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে যদি কোন দল থাকে সেটা হচ্ছে বিএনপি এবং গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বেশি লড়াই করেছে বিএনপি। বাংলাদেশে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বিএনপি নিয়ে এসেছে বহুদলীয় গণতন্ত্রে এবং পরবর্তীকালে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।

তিনি বলেন, দেশটাকে সকলে মিলে বাঁচাতে হবে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে দেশকে সঠিক ট্র্যাকে উঠানো এবং যত দ্রুত সেটাকে উঠানো যাবে ততই মঙ্গল।

মির্জা ফখরুল বলেন,‘যারা মনে করেন যে, নির্বাচনের প্রয়োজন নেই- আমার মনে হয়, তারা আবার চিন্তা করবেন। নির্বাচন প্রয়োজন জনগণের জন্য। একটা নির্বাচিত সরকার দরকার, যে সরকারের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক থাকবে। সেই কারণেই আমরা সংস্কারে অংশ নিচ্ছি। প্রত্যেকটি সংস্কারের দাবি আমরাই তুলেছি। সুতরাং সংস্কার এবং নির্বাচন সাংঘর্ষিক নয়। দুইটা একসাথে চলবে।’

সকাল সাড়ে ১১টায় আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্স এন্ড হসপিটালে চিকিৎধীন অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসকে দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব। তিনি চিকিৎসকদের সাথে তার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হন।

দীর্ঘদিন ধরে অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস নিউরো সমস্যায় এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এরপর একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদকে দেখতে যান মির্জা ফখরুল এবং তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।

ফ্যাসিস্ট আমলের বড় ভিক্টিম বিএনপি এ কথা উল্লেখ করে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা খুব ভালো করে জানেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নির্যাতন-হত্যা-গুম-খুনের সবচেয়ে বড় ভিক্টিম আমাদের দল বিএনপি। আমার বিরুদ্ধে ১১২টা মামলা হয়েছে এবং ১৩ বার জেলে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময়ে মনে করি, যে সমস্ত রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদের পক্ষে থাকবে, যারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করবে, বিশেষ করে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে কাজ করেছে- তাদের প্রতিটি ব্যক্তির শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত এবং শাস্তি হওয়া উচিত।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা, তিনি এককভাবে আমি মনে করি দ্যা রেসপোসিবল ফর দ্যা কিলিং অব দ্যা থাউজেন্টস অব পিপল। তার বিচার শুরু হয়েছে, আমরা আশাবাদী শেখ হাসিনা এবং তার সঙ্গে যারা গণহত্যায় জড়িত তাদের প্রত্যেকেরই বিচার হবে।