শ্রীলংকার বিপক্ষে টি২০ সিরিজে ঘুড়ে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক :
০৯ জুলাই, ২০২৫, 9:30 PM

শ্রীলংকার বিপক্ষে টি২০ সিরিজে ঘুড়ে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি২০ আন্তর্জাতিক সিরিজে জয়ের ধারায় ফিরে আসার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পারফরমেন্সের উন্নতির আশা করছে।
আগামীকাল ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে টি২০ সিরিজ। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে ম্যাচটি শুরু হবে।
এর আগে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ এবং তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজে শেষ দুই ম্যাচে না থাকা লিটন দাস বাংলাদেশ টি২০ দলকে নেতৃত্ব দিবেন।
টি২০ ফর্মেটে গত পাঁচ ম্যাচেই পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। যদিও গত বছরের শেষের দিকে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর, বাংলাদেশ এই ফরমেটে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আশা করছে।।
তবে মে মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে পরাজয়ের হতাশা পুরো দলকে ভুগিয়েছে। পরের সপ্তাহেই পাকিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইট ওয়াশ হতে হয়।
টি২০ ফর্মেটে বাংলাদেশের ব্যাটারদের পাওয়ার-হিটিং দক্ষতা সবসময়ই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। আইসিসির সহযোগী দেশ আরব আমিরাতের বিপক্ষে বিষয়টি আরো বেশী করে সামনে এসেছে। ঐ সিরিজের পর থেকে ভিন্ন ট্রেনিং সেশনে ব্যাটাররা পাওয়ার-হিটিং নিয়ে কাজ করেছে।
বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ বলেছেন যেকোন ফর্মেটেই পার্টনারশীপ গড়ে তোলা দলকে অনেকটাই এগিয়ে দেয়। তার মতে বড় পার্টনারশীপের অভাবেই বাংলাদেশকে ওয়ানডে সিরিজে হারতে হয়েছে। গতকাল তৃতীয় ওয়ানডেতে পরাজয়ের পর এ সম্পর্কে মিরাজ বলেন, ‘সেট হবার আগেই আমরা দ্রুত উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছি। খুব বেশীদুর ব্যাটাররা যেতে পারেনি। আমাদের অবশ্যই এই দিকটি নিয়ে কাজ করতে হবে। এটা যেকোন ফর্মেটের ক্রিকেটের জন্য অপরিহার্য্য। আজ যখন আমি ও হৃদয় ব্যাটিংয়ের ছিলাম তখন অনেকটাই ম্যাচের আবহ বুঝে ফেলেছিলাম। ঐ মুহূর্তে আমি আউট হয়ে যাই, আর এতে ম্যাচের গতি নষ্ট হয়েছে। বড় পার্টনারশীপ আর গড়ে উঠেনি। পার্টনারশীপে স্ট্রাইক রোটেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
টি২০ ফর্মেটে শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের বেশ কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত আছে। ১৭ বারের মোকাবেলায় বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৬টি ম্যাচে জয়ী ও ১১টিতে পরাজিত হয়েছে।
২০১৮ সালে কলম্বোতে শ্রীলংকার বিপক্ষে টি২০ ফর্মেটে সর্বোচ্চ স্কোর (২১৫-৫) গড়েছিল বাংলাদেশ।
মাত্র সাতবার টি২০ ক্রিকেটে ২০০র বেশী রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে দুটি এসেছে শ্রীলংকার বিপক্ষে।
আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান খেলতে পারেননি। তবে লংকানদের বিপক্ষে পূর্ন শক্তির পেস আক্রমন নিয়েই মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মুস্তাফিজ অবশ্য আইপিএল’এ যোগ দেবার আগে আরব আমিরাতের বিপক্ষে শুধুমাত্র প্রথম টি২০ ম্যাচটি খেলেছিলেন।
পুনরুজ্জীবিত তাসকিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ গত তিন বছর ধরে তাদের কাজ অনবদ্যভাবে করে চলেছে। কিন্তু ব্যাটারদের নিয়মিত ব্যর্থতায় পেসারদের কৃতিত্ব চাপা পড়ে যাচ্ছে।
টি২০ স্কোয়াডে বাংলাদেশের নির্বাচকরা পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও ব্যাটার নাইম শেখকেও অন্তর্ভূক্ত করেছে।
বাংলাদেশ : লিটস দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, নাইম শেখ, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক, শামিম পাটোয়ারি, মেহেদি হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, মেহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমার, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, মো: সাইফুদ্দিন।
শ্রীলংকা : চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), পাথুম নিশাঙ্কা, কুশাল মেন্ডিস, দিনেশ চান্ডিমাল, কুশাল পেরেইরা, কামিন্দু মেন্ডিস, আভিষ্কা ফার্নান্দো, দাসুন শানাকা, দিনুথ ওয়েলালাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহিশ থিকশানা, জেফরি ভান্ডারসি, চামিকা করুনারত্নে, মাতিশা পাথিরানা, নুয়ান থুশারা, বিনুরা ফার্নান্দো, এহসান মালিঙ্গা।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
০৯ জুলাই, ২০২৫, 9:30 PM

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি২০ আন্তর্জাতিক সিরিজে জয়ের ধারায় ফিরে আসার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পারফরমেন্সের উন্নতির আশা করছে।
আগামীকাল ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে টি২০ সিরিজ। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে ম্যাচটি শুরু হবে।
এর আগে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ এবং তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজে শেষ দুই ম্যাচে না থাকা লিটন দাস বাংলাদেশ টি২০ দলকে নেতৃত্ব দিবেন।
টি২০ ফর্মেটে গত পাঁচ ম্যাচেই পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। যদিও গত বছরের শেষের দিকে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর, বাংলাদেশ এই ফরমেটে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আশা করছে।।
তবে মে মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে পরাজয়ের হতাশা পুরো দলকে ভুগিয়েছে। পরের সপ্তাহেই পাকিস্তানের কাছে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইট ওয়াশ হতে হয়।
টি২০ ফর্মেটে বাংলাদেশের ব্যাটারদের পাওয়ার-হিটিং দক্ষতা সবসময়ই প্রশ্নের মুখে পড়েছে। আইসিসির সহযোগী দেশ আরব আমিরাতের বিপক্ষে বিষয়টি আরো বেশী করে সামনে এসেছে। ঐ সিরিজের পর থেকে ভিন্ন ট্রেনিং সেশনে ব্যাটাররা পাওয়ার-হিটিং নিয়ে কাজ করেছে।
বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ বলেছেন যেকোন ফর্মেটেই পার্টনারশীপ গড়ে তোলা দলকে অনেকটাই এগিয়ে দেয়। তার মতে বড় পার্টনারশীপের অভাবেই বাংলাদেশকে ওয়ানডে সিরিজে হারতে হয়েছে। গতকাল তৃতীয় ওয়ানডেতে পরাজয়ের পর এ সম্পর্কে মিরাজ বলেন, ‘সেট হবার আগেই আমরা দ্রুত উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছি। খুব বেশীদুর ব্যাটাররা যেতে পারেনি। আমাদের অবশ্যই এই দিকটি নিয়ে কাজ করতে হবে। এটা যেকোন ফর্মেটের ক্রিকেটের জন্য অপরিহার্য্য। আজ যখন আমি ও হৃদয় ব্যাটিংয়ের ছিলাম তখন অনেকটাই ম্যাচের আবহ বুঝে ফেলেছিলাম। ঐ মুহূর্তে আমি আউট হয়ে যাই, আর এতে ম্যাচের গতি নষ্ট হয়েছে। বড় পার্টনারশীপ আর গড়ে উঠেনি। পার্টনারশীপে স্ট্রাইক রোটেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
টি২০ ফর্মেটে শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের বেশ কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত আছে। ১৭ বারের মোকাবেলায় বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৬টি ম্যাচে জয়ী ও ১১টিতে পরাজিত হয়েছে।
২০১৮ সালে কলম্বোতে শ্রীলংকার বিপক্ষে টি২০ ফর্মেটে সর্বোচ্চ স্কোর (২১৫-৫) গড়েছিল বাংলাদেশ।
মাত্র সাতবার টি২০ ক্রিকেটে ২০০র বেশী রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে দুটি এসেছে শ্রীলংকার বিপক্ষে।
আরব আমিরাত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান খেলতে পারেননি। তবে লংকানদের বিপক্ষে পূর্ন শক্তির পেস আক্রমন নিয়েই মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মুস্তাফিজ অবশ্য আইপিএল’এ যোগ দেবার আগে আরব আমিরাতের বিপক্ষে শুধুমাত্র প্রথম টি২০ ম্যাচটি খেলেছিলেন।
পুনরুজ্জীবিত তাসকিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ গত তিন বছর ধরে তাদের কাজ অনবদ্যভাবে করে চলেছে। কিন্তু ব্যাটারদের নিয়মিত ব্যর্থতায় পেসারদের কৃতিত্ব চাপা পড়ে যাচ্ছে।
টি২০ স্কোয়াডে বাংলাদেশের নির্বাচকরা পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও ব্যাটার নাইম শেখকেও অন্তর্ভূক্ত করেছে।
বাংলাদেশ : লিটস দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, নাইম শেখ, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক, শামিম পাটোয়ারি, মেহেদি হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, মেহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমার, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, মো: সাইফুদ্দিন।
শ্রীলংকা : চারিথ আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), পাথুম নিশাঙ্কা, কুশাল মেন্ডিস, দিনেশ চান্ডিমাল, কুশাল পেরেইরা, কামিন্দু মেন্ডিস, আভিষ্কা ফার্নান্দো, দাসুন শানাকা, দিনুথ ওয়েলালাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহিশ থিকশানা, জেফরি ভান্ডারসি, চামিকা করুনারত্নে, মাতিশা পাথিরানা, নুয়ান থুশারা, বিনুরা ফার্নান্দো, এহসান মালিঙ্গা।