শ্রীলংকার কাছে ওয়ানডে সিরিজও হারল বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
০৯ জুলাই, ২০২৫, 7:06 AM

শ্রীলংকার কাছে ওয়ানডে সিরিজও হারল বাংলাদেশ
ব্যাটিং-বোলিং ব্যর্থতায় শ্রীলংকার কাছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হারল সফরকারী বাংলাদেশ। আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে শ্রীলংকার কাছে ৯৯ রানে হারে টাইগাররা।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডে শ্রীলংকা ৭৭ রানে এবং দ্বিতীয় ম্যাচ বাংলাদেশ ১৬ রানে জিতেছিল। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারল মেহেদি হাসান মিরাজের দল।
সফরের শুরুতে শ্রীলংকার কাছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ।
শ্রীলংকার মাটিতে এই নিয়ে পঞ্চম ওয়ানডে সিরিজ হারল বাংলাদেশ। নিজেদের ওয়ানডেতে টানা তৃতীয় সিরিজ হার টাইগারদের। সর্বশেষ দুই সিরিজে আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরেছিল টাইগাররা।
পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ফিল্ডিং করতে নামে চতুর্থ ওভারেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। ১ রান করে টাইগার পেসার তানজিম হাসানের বলে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন শ্রীলংকার ওপেনার নিশান মাদুস্কা।
শুরুর ধাক্কা ভালভাবে সামাল দেন আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও তিন নম্বরে নামা কুশল। ৬৯ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ১৫তম ওভারে নিশাঙ্কা-কুশলের জুটি ভাঙ্গেন আগের ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়া বাংলাদেশ স্পিনার তানভীর ইসলাম। সুইপ করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে পারভেজ হোসনে ইমনকে ক্যাচ দেন নিশাঙ্কা। ৪ চারে ৩৫ রান করেন নিশাঙ্কা।
নতুন ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে এসে ৩টি চারে ভাল শুরু করেন কামিন্দু মেন্ডিস। কুশলের সাথে ৩১ রানের জুটিতে দলের রান তিন অংকে নেন কামিন্দু। ১শতে পা দিতেই সাজঘরে ফিরেন কামিন্দু। ২০ বলে ১৬ রান করা কামিন্দুকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ।
১০০ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর বাংলাদেশ বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন কুশল ও অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা। দু’জনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে রানের চাকা ঘুরতে থাকে শ্রীলংকার। এতে দলের রান দেড়শ পেরিয়ে ২শ স্পর্শ করে। এই জুটিতেই আসালঙ্কা ১৬তম হাফ-সেঞ্চুরি ও কুশল ষষ্ঠ ওয়ানডে সেঞ্চুরির স্বাদ নেন। ২০১৭ সালের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় শতকের দেখা পেলেন কুশল।
৪১তম ওভারে দলীয় ২২৪ রানে কুশল-আসালঙ্কার জমে যাওয়া জুটি বিচ্ছিন্ন করেন পেসার তাসকিন আহমেদ। মিরাজকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৯টি চারে ৬৮ বলে ৫৮ রান করা আসালঙ্কা। চতুর্থ উইকেটে ১১৭ বলে ১২৪ রান যোগ করেছেন তারা।
আসালঙ্কা ফেরার পর কুশলের সাথে ২৫ রান যোগ করে দলের রান আড়াইশর কাছে নিয়ে যান জানিথ লিয়ানাগে। এরপর ১০ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় শ্রীলংকা।
২৫৯ রানে সপ্তম উইকেট পতন হয় লংকানদের। এরমধ্যে সেঞ্চুরিয়ান কুশলকে শিকার করেন স্পিনার শামীম হোসেন। ১১৪ বল খেলে ১৮টি চারে ১২৪ রান করেন কুশল।
শেষ দিকে হাসারাঙ্গা ডি সিলভা ও দুসমন্থ চামিরার ১৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ২৬ রানের জুটিতে ৭ উইকেটে ২৮৫ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় শ্রীলংকা। শেষ ১০ ওভারে ৬৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে লঙ্কানদের ৩শ রানের সুযোগ নষ্ট করে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা।
তাসকিন ৫১ ও মিরাজ ৪৮ রানে ২টি করে উইকেট নেন। এছাড়াও ১টি করে উইকেট নিয়েছেন তানজিম-তানভীর ও শামীম।
জয়ের জন্য ২৮৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ২০ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩ চারে ১৩ বলে ১৭ রান করে পেসার আসিথা ফার্নান্দোর বলে বোল্ড হন ওপেনার তানজিদ হাসান।
তিন নম্বরে নেমে পেসার দুসমন্থ চামিরার বলে বোল্ড হন ৩ বল খেলে রানের খাতা খুলতে না পারা নাজমুল হোসেন শান্ত।
তৃতীয় উইকেটে ৪২ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে চাপমুক্ত করার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহিদ হৃদয়। ৪টি বাউন্ডারিতে ২৮ রানে স্পিনার ওয়েলালাগের শিকার হন পারভেজ।
এরপর ক্রিজে এসে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন অধিনায়ক মিরাজ। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় শুরুটা ভালই করেছিলেন তিনি। কিন্তু ২৫ বলে ২৮ রান করে ওয়েলালাগের দ্বিতীয় শিকার হন মিরাজ।
মিরাজ ফেরার পর এক প্রান্ত আগলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন হৃদয়। কিন্তু হাফ-সেঞ্চুরির পর চামিরার দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ৫১ রানে থামেন হৃদয়।
দলীয় ১৫৩ রানে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে হৃদয়ের আউটের পর লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৩৯.৪ ওভারে ১৮৬ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। শেষদিকে জাকের আলির ২৭ রানে হারের ব্যবধান কমেছে বাংলাদেশের।
আসিথা ও চামিরা ৩টি করে এবং ওয়েলালাগে ও হাসারাঙ্গা ২টি করে উইকেট নেন।
আগামী ১০ জুলাই থেকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
০৯ জুলাই, ২০২৫, 7:06 AM

ব্যাটিং-বোলিং ব্যর্থতায় শ্রীলংকার কাছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হারল সফরকারী বাংলাদেশ। আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে শ্রীলংকার কাছে ৯৯ রানে হারে টাইগাররা।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডে শ্রীলংকা ৭৭ রানে এবং দ্বিতীয় ম্যাচ বাংলাদেশ ১৬ রানে জিতেছিল। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারল মেহেদি হাসান মিরাজের দল।
সফরের শুরুতে শ্রীলংকার কাছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ।
শ্রীলংকার মাটিতে এই নিয়ে পঞ্চম ওয়ানডে সিরিজ হারল বাংলাদেশ। নিজেদের ওয়ানডেতে টানা তৃতীয় সিরিজ হার টাইগারদের। সর্বশেষ দুই সিরিজে আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরেছিল টাইগাররা।
পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ফিল্ডিং করতে নামে চতুর্থ ওভারেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। ১ রান করে টাইগার পেসার তানজিম হাসানের বলে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন শ্রীলংকার ওপেনার নিশান মাদুস্কা।
শুরুর ধাক্কা ভালভাবে সামাল দেন আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও তিন নম্বরে নামা কুশল। ৬৯ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ১৫তম ওভারে নিশাঙ্কা-কুশলের জুটি ভাঙ্গেন আগের ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়া বাংলাদেশ স্পিনার তানভীর ইসলাম। সুইপ করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে পারভেজ হোসনে ইমনকে ক্যাচ দেন নিশাঙ্কা। ৪ চারে ৩৫ রান করেন নিশাঙ্কা।
নতুন ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে এসে ৩টি চারে ভাল শুরু করেন কামিন্দু মেন্ডিস। কুশলের সাথে ৩১ রানের জুটিতে দলের রান তিন অংকে নেন কামিন্দু। ১শতে পা দিতেই সাজঘরে ফিরেন কামিন্দু। ২০ বলে ১৬ রান করা কামিন্দুকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ।
১০০ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর বাংলাদেশ বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন কুশল ও অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা। দু’জনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে রানের চাকা ঘুরতে থাকে শ্রীলংকার। এতে দলের রান দেড়শ পেরিয়ে ২শ স্পর্শ করে। এই জুটিতেই আসালঙ্কা ১৬তম হাফ-সেঞ্চুরি ও কুশল ষষ্ঠ ওয়ানডে সেঞ্চুরির স্বাদ নেন। ২০১৭ সালের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় শতকের দেখা পেলেন কুশল।
৪১তম ওভারে দলীয় ২২৪ রানে কুশল-আসালঙ্কার জমে যাওয়া জুটি বিচ্ছিন্ন করেন পেসার তাসকিন আহমেদ। মিরাজকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৯টি চারে ৬৮ বলে ৫৮ রান করা আসালঙ্কা। চতুর্থ উইকেটে ১১৭ বলে ১২৪ রান যোগ করেছেন তারা।
আসালঙ্কা ফেরার পর কুশলের সাথে ২৫ রান যোগ করে দলের রান আড়াইশর কাছে নিয়ে যান জানিথ লিয়ানাগে। এরপর ১০ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় শ্রীলংকা।
২৫৯ রানে সপ্তম উইকেট পতন হয় লংকানদের। এরমধ্যে সেঞ্চুরিয়ান কুশলকে শিকার করেন স্পিনার শামীম হোসেন। ১১৪ বল খেলে ১৮টি চারে ১২৪ রান করেন কুশল।
শেষ দিকে হাসারাঙ্গা ডি সিলভা ও দুসমন্থ চামিরার ১৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ২৬ রানের জুটিতে ৭ উইকেটে ২৮৫ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় শ্রীলংকা। শেষ ১০ ওভারে ৬৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে লঙ্কানদের ৩শ রানের সুযোগ নষ্ট করে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা।
তাসকিন ৫১ ও মিরাজ ৪৮ রানে ২টি করে উইকেট নেন। এছাড়াও ১টি করে উইকেট নিয়েছেন তানজিম-তানভীর ও শামীম।
জয়ের জন্য ২৮৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ২০ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩ চারে ১৩ বলে ১৭ রান করে পেসার আসিথা ফার্নান্দোর বলে বোল্ড হন ওপেনার তানজিদ হাসান।
তিন নম্বরে নেমে পেসার দুসমন্থ চামিরার বলে বোল্ড হন ৩ বল খেলে রানের খাতা খুলতে না পারা নাজমুল হোসেন শান্ত।
তৃতীয় উইকেটে ৪২ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে চাপমুক্ত করার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহিদ হৃদয়। ৪টি বাউন্ডারিতে ২৮ রানে স্পিনার ওয়েলালাগের শিকার হন পারভেজ।
এরপর ক্রিজে এসে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন অধিনায়ক মিরাজ। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় শুরুটা ভালই করেছিলেন তিনি। কিন্তু ২৫ বলে ২৮ রান করে ওয়েলালাগের দ্বিতীয় শিকার হন মিরাজ।
মিরাজ ফেরার পর এক প্রান্ত আগলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন হৃদয়। কিন্তু হাফ-সেঞ্চুরির পর চামিরার দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ৫১ রানে থামেন হৃদয়।
দলীয় ১৫৩ রানে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে হৃদয়ের আউটের পর লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৩৯.৪ ওভারে ১৮৬ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। শেষদিকে জাকের আলির ২৭ রানে হারের ব্যবধান কমেছে বাংলাদেশের।
আসিথা ও চামিরা ৩টি করে এবং ওয়েলালাগে ও হাসারাঙ্গা ২টি করে উইকেট নেন।
আগামী ১০ জুলাই থেকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা।