ঢাকা ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
শিরোনামঃ
সরিষাবাড়ীতে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল গাজীপুরে ছাত্রদলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল  গাজীপুরে কৃষক দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল  পিরোজপুরে  সাংবাদিক মাইনুল ইসলাম মামুনের উপর অতর্কিত হামলা বাগেরহাট যুবদলের কোরান খতম ও দোয়া মাহফিল বাংলাদেশে কারও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে চাইলে সরকার সহায়তা করবে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস: তারেক রহমান চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন বেগম খালেদা জিয়া : জাহিদ হোসেন এলপিজি দাম সমন্বয় করেছে সরকার

সিলেট ওসমানী হাসপাতালে কর্মস্থলে দায়িত্ব না থেকে ১৮ লাখ টাকা উত্তোলন

#
news image

সিলেট ওসমানী হাসপাতালে কর্মস্থলে দায়িত্ব না পালন করে ১৮ লাখ টাকা বেতন ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। ১৬ জন নার্স এ নিয়ম বহির্ভূত কর্মকন্ড ঘটিয়েছে। তাদের সহযোগীতা করেছেন  হাসপাতালে কর্মরত ৭ নার্স নিজেরাও সুবিধা ভূগের সহায়তায় তুলে নেয়া হয় এই অর্থ। এদের মধ্যে তৃষ্ণা  তেরেজা ডি কস্তা, আছমা আক্তার খানম ও আসমা আক্তার নামের তিন জনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে নার্সিং অধিদপ্তর। শিগগিরই অন্যদেরও সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া  গেছে।
ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. ওমর রাশেদ মুনীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ১৬ জন নার্সিং কর্মকর্তা কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও অর্থ উত্তোলন করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে ধরা পড়েছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তিন জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বাকিদের বিরুদ্ধেও একই পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা। পুরো বিষয়টির তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে কি ভাবে এমন ঘটনা সংঘটিত করা হয়েছিল।
জানা গেছে, সিলেট অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবার সবচেয়ে বৃহৎ সরকারি প্রতিষ্ঠান সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকা নার্সদের ডিউটি রোস্টারে নাম রাখা, অনুপস্থিত থেকেও বিধিবহির্ভূত ভাবে  বেতন-ভাতা উত্তোলনের বিষয়টি সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের নজরে আসার পর তোলপাড় শুরু হয়। ৫ আগস্টের পরে বিষয়টির প্রাথমিক তদন্ত হলে ৪৩ জন নার্সের মধ্যে ১৬ জন অনুপস্থিত থেকেও ১৮ লাখ ৪ হাজার ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা অবৈধ ভাবে উত্তোলন করেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। ৮ জানুয়ারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আনোয়ার হোসেন আকন্দ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের নিকট পত্র দিয়ে এই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের বিধিগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন। বিষয়টি নিয়ে ওসমানী হাসপাতালে কানাঘুষা চললেও একটি চক্র ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠে। তবে, অধিদপ্তর থেকে আসা অর্থ ফেরত দেয়ার পত্রের পরই বিষয়টি নিয়ে ওসমানী হাসপাতালে  তোলপাড় শুরু হয়। একই দিন পৃথক আদেশে ৩ নার্সকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ওইদিন হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ককে দেয়া হয় কারণ দর্শানোর নোটিশ।
যারা কত টাকা নিয়েছেন :  নার্সিং অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, মো. ইউসুফ ২ মাসের ৬২ হাজার ১৪২ টাকা, মো. আব্দুর রহমান ১ মাসের ৬০ হাজার ৯৭ টাকা, লিপি রানী ১ মাসের ৩৬ হাজার ৬৭৯ টাকা, আওলাদ হোসেন মাসুম ঈদ বোনাসের ২১ হাজার ৪৬০ টাকা, জাহেদ আহমদের ১ মাসের বেতন ও দুটো বোনাসসহ ৪৩ হাজার ৪৫২ টাকা, এম এফ কে জান্নাত ২২ মাসের বেতন ও ৬টি বোনাসসহ ৭ লাখ ৯৫ হাজার ৯০৫ টাকা উত্তোলন করেন।
এছাড়াও একরামুল হক ১ মাসের ২৮ হাজার ৫০৭ টাকা , রুনা ১ মাসের ১৭ হাজার ৯২ টাকা , কামরুন নাহার ১২ মাসের বেতন ও বোনাসসহ ২ লাখ ৮২ হাজার ৫৩১ টাকা, ঝিলি ধর ২ মাস ২৪ দিনের ৪৯ হাজার ২৪৯ টাকা, মো. আলী আশরাফ ৪ মাস ও ২ বোনাসের ১ লাখ ৩২ হাজার ১৮৪ টাকা, মো. শাহিন মিয়া ৭ মাসের ১ লাখ ৫৮ হাজার ৩৬১ টাকা, শামীমা জান্নাত ৩ মাসের ৮৩ হাজার ২৭৭ টাকা, জান্নাতুল ফেরদৌসের ৬ দিনের ৫ হাজার ২১০ টাকা, মোছা. শিরিন সুলতানা ১ মাস ৯ দিনের ৭ হাজার ৮১৫ টাকা ও লাভলী বেগম দুটো  বোনাসের ২০ হাজার ১৪০ টাকা উত্তোলন করেন।
 যে ভাবে ফেরত নয় দিতে হবে টাকা : উপরোক্ত ১৬ নার্সের মধ্যে কেউ কেউ কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার পরেও তাদের ব্যাংক হিসাবে জমা হওয়া এই সরকারি অর্থ উত্তোলন করে নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ এমনও আছেন  যে তারা কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং ব্যাংক হিসাবে অর্থ জমা হলেও তারা এই অর্থ তুলে নেন নি। এদের প্রায় সকলেই বিদেশে অবস্থান করছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও অর্থ উত্তোলন করা অপরাধ। সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনকি কেবল অর্থ ফেরত দিয়েও রেহাই মিলবে না। ওই অর্থের সুদ পরিশোধ করারও বিধান রয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত  ৩ নার্স : ১৬ নার্স কর্তৃক অর্থ উত্তোলনে সহায়তাকারী হিসেবে ওসমানী হাসপাতালে বর্তমানে কর্মরত ৭ জন নার্সের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে। এদের কেউ কেউ বিগত দিনে হাসপাতালের নার্সিং অঙ্গনে  নেতৃত্বও দিয়েছেন। তবে, হাসপাতাল সূত্র ৭ নার্সের ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি নয়। এরই মধ্যে ৩ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করায় কেবল তাদের নাম জনসমক্ষে এসেছে। সাময়িক বরখাস্তকৃত নার্সরা হলেন, গাজীপুর  জেলার টঙ্গী উপজেলার পাগড় গ্রামের রাফায়েল বিনয় ডি কস্তার কন্যা সিনিয়র স্টাফ নার্স স্তৃষ্ণা তেরেজা ডি কস্তা, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার কৃষ্ণপুরের আইয়ূব খানের কন্যা মোছা. আছমা আক্তার খানম ও পিরোজপুর  জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলার কামারকাঠি গ্রামের আফসার আলীর কন্যা আসমা আক্তার। এছাড়াও অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে চরম অবহেলার প্রমাণ পাওয়ায় ওসমানী হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক রিনা বেগমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
 

সিলেট প্রতিনিধি :

২০ জানুয়ারি, ২০২৫,  1:53 PM

news image

সিলেট ওসমানী হাসপাতালে কর্মস্থলে দায়িত্ব না পালন করে ১৮ লাখ টাকা বেতন ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। ১৬ জন নার্স এ নিয়ম বহির্ভূত কর্মকন্ড ঘটিয়েছে। তাদের সহযোগীতা করেছেন  হাসপাতালে কর্মরত ৭ নার্স নিজেরাও সুবিধা ভূগের সহায়তায় তুলে নেয়া হয় এই অর্থ। এদের মধ্যে তৃষ্ণা  তেরেজা ডি কস্তা, আছমা আক্তার খানম ও আসমা আক্তার নামের তিন জনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে নার্সিং অধিদপ্তর। শিগগিরই অন্যদেরও সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া  গেছে।
ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. ওমর রাশেদ মুনীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ১৬ জন নার্সিং কর্মকর্তা কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও অর্থ উত্তোলন করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে ধরা পড়েছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তিন জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বাকিদের বিরুদ্ধেও একই পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা। পুরো বিষয়টির তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে কি ভাবে এমন ঘটনা সংঘটিত করা হয়েছিল।
জানা গেছে, সিলেট অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবার সবচেয়ে বৃহৎ সরকারি প্রতিষ্ঠান সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকা নার্সদের ডিউটি রোস্টারে নাম রাখা, অনুপস্থিত থেকেও বিধিবহির্ভূত ভাবে  বেতন-ভাতা উত্তোলনের বিষয়টি সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের নজরে আসার পর তোলপাড় শুরু হয়। ৫ আগস্টের পরে বিষয়টির প্রাথমিক তদন্ত হলে ৪৩ জন নার্সের মধ্যে ১৬ জন অনুপস্থিত থেকেও ১৮ লাখ ৪ হাজার ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা অবৈধ ভাবে উত্তোলন করেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। ৮ জানুয়ারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আনোয়ার হোসেন আকন্দ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের নিকট পত্র দিয়ে এই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের বিধিগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন। বিষয়টি নিয়ে ওসমানী হাসপাতালে কানাঘুষা চললেও একটি চক্র ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠে। তবে, অধিদপ্তর থেকে আসা অর্থ ফেরত দেয়ার পত্রের পরই বিষয়টি নিয়ে ওসমানী হাসপাতালে  তোলপাড় শুরু হয়। একই দিন পৃথক আদেশে ৩ নার্সকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ওইদিন হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ককে দেয়া হয় কারণ দর্শানোর নোটিশ।
যারা কত টাকা নিয়েছেন :  নার্সিং অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, মো. ইউসুফ ২ মাসের ৬২ হাজার ১৪২ টাকা, মো. আব্দুর রহমান ১ মাসের ৬০ হাজার ৯৭ টাকা, লিপি রানী ১ মাসের ৩৬ হাজার ৬৭৯ টাকা, আওলাদ হোসেন মাসুম ঈদ বোনাসের ২১ হাজার ৪৬০ টাকা, জাহেদ আহমদের ১ মাসের বেতন ও দুটো বোনাসসহ ৪৩ হাজার ৪৫২ টাকা, এম এফ কে জান্নাত ২২ মাসের বেতন ও ৬টি বোনাসসহ ৭ লাখ ৯৫ হাজার ৯০৫ টাকা উত্তোলন করেন।
এছাড়াও একরামুল হক ১ মাসের ২৮ হাজার ৫০৭ টাকা , রুনা ১ মাসের ১৭ হাজার ৯২ টাকা , কামরুন নাহার ১২ মাসের বেতন ও বোনাসসহ ২ লাখ ৮২ হাজার ৫৩১ টাকা, ঝিলি ধর ২ মাস ২৪ দিনের ৪৯ হাজার ২৪৯ টাকা, মো. আলী আশরাফ ৪ মাস ও ২ বোনাসের ১ লাখ ৩২ হাজার ১৮৪ টাকা, মো. শাহিন মিয়া ৭ মাসের ১ লাখ ৫৮ হাজার ৩৬১ টাকা, শামীমা জান্নাত ৩ মাসের ৮৩ হাজার ২৭৭ টাকা, জান্নাতুল ফেরদৌসের ৬ দিনের ৫ হাজার ২১০ টাকা, মোছা. শিরিন সুলতানা ১ মাস ৯ দিনের ৭ হাজার ৮১৫ টাকা ও লাভলী বেগম দুটো  বোনাসের ২০ হাজার ১৪০ টাকা উত্তোলন করেন।
 যে ভাবে ফেরত নয় দিতে হবে টাকা : উপরোক্ত ১৬ নার্সের মধ্যে কেউ কেউ কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার পরেও তাদের ব্যাংক হিসাবে জমা হওয়া এই সরকারি অর্থ উত্তোলন করে নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ এমনও আছেন  যে তারা কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং ব্যাংক হিসাবে অর্থ জমা হলেও তারা এই অর্থ তুলে নেন নি। এদের প্রায় সকলেই বিদেশে অবস্থান করছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও অর্থ উত্তোলন করা অপরাধ। সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনকি কেবল অর্থ ফেরত দিয়েও রেহাই মিলবে না। ওই অর্থের সুদ পরিশোধ করারও বিধান রয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত  ৩ নার্স : ১৬ নার্স কর্তৃক অর্থ উত্তোলনে সহায়তাকারী হিসেবে ওসমানী হাসপাতালে বর্তমানে কর্মরত ৭ জন নার্সের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে। এদের কেউ কেউ বিগত দিনে হাসপাতালের নার্সিং অঙ্গনে  নেতৃত্বও দিয়েছেন। তবে, হাসপাতাল সূত্র ৭ নার্সের ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি নয়। এরই মধ্যে ৩ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করায় কেবল তাদের নাম জনসমক্ষে এসেছে। সাময়িক বরখাস্তকৃত নার্সরা হলেন, গাজীপুর  জেলার টঙ্গী উপজেলার পাগড় গ্রামের রাফায়েল বিনয় ডি কস্তার কন্যা সিনিয়র স্টাফ নার্স স্তৃষ্ণা তেরেজা ডি কস্তা, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার কৃষ্ণপুরের আইয়ূব খানের কন্যা মোছা. আছমা আক্তার খানম ও পিরোজপুর  জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলার কামারকাঠি গ্রামের আফসার আলীর কন্যা আসমা আক্তার। এছাড়াও অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে চরম অবহেলার প্রমাণ পাওয়ায় ওসমানী হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক রিনা বেগমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।