পিরোজপুরে গ্রেপ্তার হলো 'মাদক সম্রাট' সাগর শিকদার, এলাকাবাসীর মুখে ফিরেছে হাসি
মাইনুল ইসলাম, পিরোজপুর প্রতিনিধি :
২৩ অক্টোবর, ২০২৫, 8:39 PM
পিরোজপুরে গ্রেপ্তার হলো 'মাদক সম্রাট' সাগর শিকদার, এলাকাবাসীর মুখে ফিরেছে হাসি
পিরোজপুর, বহুদিনের আতঙ্কের নাম ছিল সাগর শিকদার। পিরোজপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের এই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও তথাকথিত 'মাদক সম্রাট'-এর দাপটে সাধারণ মানুষের জীবন ছিল বিপর্যস্ত। অবশেষে ডিবি পুলিশের এক অভিযানে তার গ্রেপ্তার এলাকায় স্বস্তির হাওয়া বইয়েছে।
সাগর শিকদার শুধু মাদক ব্যবসার সাথেই জড়িত নন, তার নাম জড়িয়ে আছে একের পর এক ভয়াবহ অপরাধের সাথে। এলাকার ভুক্তভোগীরা জানান, নারী কেলেঙ্কারি, অপহরণ, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে একাধিক ফৌজদারি মামলায় তার নাম আসামি। বছরের পর বছর ধরে সে তার ক্ষমতার জোরে ও অপরাধ জগতের নেটওয়ার্ক দিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছিল।
গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে স্বস্তির অনেকেই স্বাধীনভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার কথা বলছেন। এক বাসিন্দা আবেগপ্রবণ কণ্ঠে বলেন, "সাগরের অত্যাচারে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। আমাদের সন্তানদের নিয়ে সর্বদা আতঙ্কে থাকতে হতো। সে আমাদের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা আদায় করত, প্রতিবাদ করলে হুমকি দিত। আল্লাহর শুকরিয়া, পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।"
অন্য ভুক্তভোগী বলেন, (সাগর) শুধু মাদকই বিক্রি করত না, আমাদের সম্মানও নষ্ট করার চেষ্টা করত। অনেক মা-বোন তার ভয়ে বাইরে যেতে পারতেন না। আজ আমরা যেন নতুন জীবন পেলাম।
এলাকাবাসীর এখন একটাই দাবি, এই 'মাদক সম্রাট' যেন কোনোভাবেই শাস্তির হাত থেকে রক্ষা না পায়। তারা চান, সাগর শিকদারের বিরুদ্ধে করা সকল মামলা দ্রুত ও নিষ্পত্তি হোক এবং তার কঠোর (চরম) শাস্তি নিশ্চিত হোক, যাতে তার মতো অন্যায়কারীদের জন্য এটি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।
সাগর শিকদারের গ্রেপ্তার ও এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়ার চিত্র স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। এই গ্রেপ্তার পিরোজপুরবাসীর জন্য একটি বড় রিলিফ (মুক্তি) বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এখন সকলের চোখ প্রশাসনের পদক্ষেপের দিকে।
মাইনুল ইসলাম, পিরোজপুর প্রতিনিধি :
২৩ অক্টোবর, ২০২৫, 8:39 PM
পিরোজপুর, বহুদিনের আতঙ্কের নাম ছিল সাগর শিকদার। পিরোজপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের এই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও তথাকথিত 'মাদক সম্রাট'-এর দাপটে সাধারণ মানুষের জীবন ছিল বিপর্যস্ত। অবশেষে ডিবি পুলিশের এক অভিযানে তার গ্রেপ্তার এলাকায় স্বস্তির হাওয়া বইয়েছে।
সাগর শিকদার শুধু মাদক ব্যবসার সাথেই জড়িত নন, তার নাম জড়িয়ে আছে একের পর এক ভয়াবহ অপরাধের সাথে। এলাকার ভুক্তভোগীরা জানান, নারী কেলেঙ্কারি, অপহরণ, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে একাধিক ফৌজদারি মামলায় তার নাম আসামি। বছরের পর বছর ধরে সে তার ক্ষমতার জোরে ও অপরাধ জগতের নেটওয়ার্ক দিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছিল।
গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে স্বস্তির অনেকেই স্বাধীনভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার কথা বলছেন। এক বাসিন্দা আবেগপ্রবণ কণ্ঠে বলেন, "সাগরের অত্যাচারে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। আমাদের সন্তানদের নিয়ে সর্বদা আতঙ্কে থাকতে হতো। সে আমাদের কাছ থেকে জোর করে চাঁদা আদায় করত, প্রতিবাদ করলে হুমকি দিত। আল্লাহর শুকরিয়া, পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।"
অন্য ভুক্তভোগী বলেন, (সাগর) শুধু মাদকই বিক্রি করত না, আমাদের সম্মানও নষ্ট করার চেষ্টা করত। অনেক মা-বোন তার ভয়ে বাইরে যেতে পারতেন না। আজ আমরা যেন নতুন জীবন পেলাম।
এলাকাবাসীর এখন একটাই দাবি, এই 'মাদক সম্রাট' যেন কোনোভাবেই শাস্তির হাত থেকে রক্ষা না পায়। তারা চান, সাগর শিকদারের বিরুদ্ধে করা সকল মামলা দ্রুত ও নিষ্পত্তি হোক এবং তার কঠোর (চরম) শাস্তি নিশ্চিত হোক, যাতে তার মতো অন্যায়কারীদের জন্য এটি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।
সাগর শিকদারের গ্রেপ্তার ও এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়ার চিত্র স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। এই গ্রেপ্তার পিরোজপুরবাসীর জন্য একটি বড় রিলিফ (মুক্তি) বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এখন সকলের চোখ প্রশাসনের পদক্ষেপের দিকে।