সীমান্ত থেকে গাঁজা এনে রাজশাহীতে সরবরাহ: ‘বিবিজান’ চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

খন্দকার মোহাম্মাদ আলী, রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো চিফ :
০৫ অক্টোবর, ২০২৫, 8:48 PM

সীমান্ত থেকে গাঁজা এনে রাজশাহীতে সরবরাহ: ‘বিবিজান’ চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
রাজশাহীর কাটাখালী থেকে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী জেসমিন ওরফে বিবিজান পরিচালিত গাঁজা সিন্ডিকেটের বিরদ্ধে বড়সড় অভিযান চালিয়েছে র্যাব-৫। এ সময় ৫৩ কেজি ৮৫০ গ্রাম গাঁজাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও মূল হোতা বিবিজান সুকৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়, তবে তার বিরুদ্ধেও মাদক আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
র্যাব-৫ এর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৪ অক্টোবর রাত আনুমানিক ২টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালী থানাধীন নলখোলা ও মীরকামারী এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে, কুখ্যাত মহিলা মাদক ব্যবসায়ী জেসমিন ওরফে বিবিজান দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গাঁজার চালান এনে রাজশাহীতে সরবরাহ করে আসছিলেন। তিনি অত্যন্ত গোপন কৌশলে বিভিন্ন সহযোগীদের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য পরিবহন, সংরক্ষণ ও বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।
অভিযান চলাকালে র্যাব ৫-এর আভিযানিক দল তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে: তারা হলেন, বোয়ালিয়া থানার শিরোইল এলাকার এনায়েত খাঁর ছেলে মোঃ আশাদ খাঁ (২১), কাটাখালি থানার মিরকামারী পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত পালু মন্ডলের ছেলে মোঃ মেহেদী হাসান (২৪), ও পালু মন্ডলের স্ত্রী মোছাঃ সাবিনা বেগম (৪০)।
তাদের বসতবাড়ির শয়ন কক্ষে খাটের নিচে কার্টনে অভিনব কায়দায় লুকানো অবস্থায় ৫৩ কেজি ৮৫০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে, এই গাঁজার মূল মালিক জেসমিন ওরফে বিবিজান। তারা কেবল তার নির্দেশনা ও চুক্তির ভিত্তিতে মাদক পরিবহন ও ডেলিভারির কাজ করতো। অভিযানের সময় র্যাব তার বাড়ি তল্লাশি করলেও বিবিজান সুকৌশলে পালিয়ে যায়।
সূত্র জানায়, বিবিজান দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহীতে গাঁজা ব্যবসার একটি শক্তিশালী চক্র পরিচালনা করছিলেন। সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কম দামে গাঁজা সংগ্রহ করে রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশি দামে সরবরাহ করে এই চক্রটি লাভবান হচ্ছিল।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে এবং পলাতক বিবিজানকে আসামি করে রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
র্যাব-৫ জানায়, মাদকের বিরুদ্ধে "জিরো টলারেন্স" নীতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। বিবিজানের মতো কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
খন্দকার মোহাম্মাদ আলী, রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো চিফ :
০৫ অক্টোবর, ২০২৫, 8:48 PM

রাজশাহীর কাটাখালী থেকে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী জেসমিন ওরফে বিবিজান পরিচালিত গাঁজা সিন্ডিকেটের বিরদ্ধে বড়সড় অভিযান চালিয়েছে র্যাব-৫। এ সময় ৫৩ কেজি ৮৫০ গ্রাম গাঁজাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও মূল হোতা বিবিজান সুকৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়, তবে তার বিরুদ্ধেও মাদক আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
র্যাব-৫ এর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৪ অক্টোবর রাত আনুমানিক ২টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালী থানাধীন নলখোলা ও মীরকামারী এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে, কুখ্যাত মহিলা মাদক ব্যবসায়ী জেসমিন ওরফে বিবিজান দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গাঁজার চালান এনে রাজশাহীতে সরবরাহ করে আসছিলেন। তিনি অত্যন্ত গোপন কৌশলে বিভিন্ন সহযোগীদের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য পরিবহন, সংরক্ষণ ও বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।
অভিযান চলাকালে র্যাব ৫-এর আভিযানিক দল তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে: তারা হলেন, বোয়ালিয়া থানার শিরোইল এলাকার এনায়েত খাঁর ছেলে মোঃ আশাদ খাঁ (২১), কাটাখালি থানার মিরকামারী পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত পালু মন্ডলের ছেলে মোঃ মেহেদী হাসান (২৪), ও পালু মন্ডলের স্ত্রী মোছাঃ সাবিনা বেগম (৪০)।
তাদের বসতবাড়ির শয়ন কক্ষে খাটের নিচে কার্টনে অভিনব কায়দায় লুকানো অবস্থায় ৫৩ কেজি ৮৫০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে, এই গাঁজার মূল মালিক জেসমিন ওরফে বিবিজান। তারা কেবল তার নির্দেশনা ও চুক্তির ভিত্তিতে মাদক পরিবহন ও ডেলিভারির কাজ করতো। অভিযানের সময় র্যাব তার বাড়ি তল্লাশি করলেও বিবিজান সুকৌশলে পালিয়ে যায়।
সূত্র জানায়, বিবিজান দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহীতে গাঁজা ব্যবসার একটি শক্তিশালী চক্র পরিচালনা করছিলেন। সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কম দামে গাঁজা সংগ্রহ করে রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশি দামে সরবরাহ করে এই চক্রটি লাভবান হচ্ছিল।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে এবং পলাতক বিবিজানকে আসামি করে রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
র্যাব-৫ জানায়, মাদকের বিরুদ্ধে "জিরো টলারেন্স" নীতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। বিবিজানের মতো কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।