ঢাকা ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

মোল্লাহাটে বিএনপির দু-পক্ষের সংঘর্ষে আহত-২৬

#
news image

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে উপজেলা বিএনপির দু'গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ২৬ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।


সোমবার (১'লা ডিসেম্বর) উপজেলার মাদ্রাসাঘাট এলাকার আলিম মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।


উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শিকদার জামাল উদ্দিন অভিযোগ করে পল্লী বাংলাকে বলেন, ৫ নং গাওলা ইউনিয়ন পরিষদে কেন্দ্রীয় নেতা জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান ও সেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, বাগেরহাট জেলা কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ রানা সহ স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনা ও কর্মী সভা ছিল, সভায় বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রিয়াজুল ইসলামের বক্তব্য চলাকালীন সময়ে বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. হারুন আল রশিদের নেতৃত্বে একটি মিছিল উক্ত সভায় উপস্থিত হয়। এ সময়  হাফিজুর রহমানের লোকজন স্লোগান দিতে থাকে, তাদের স্লোগান দিতে নিষেধ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে কর্মীসভার ব্যানার ছিঁড়ে সমাবেশে বাধা প্রদান করলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে তার দলের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৪ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।


এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান পল্লী বাংলাকে বলেন, ৫ আগষ্টের পর তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, শুধু এতেই তারা ক্ষান্ত হয়নি, তার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন ঘটনার দিন দলীয় কর্মী সভা সফল করার লক্ষ্যে তার নেতৃত্বে একটি মিছিল সেখানে উপস্থিত হলে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা তার উপর অতর্কিত হামলা করা হয়। এতে তার দলের অন্তত ১১ জন নেতাকর্মী গুরুতর জখম অবস্থায় মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।


এ বিষয়ে মোল্লাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম পল্লী বাংলাকে জানান, কর্মী সমাবেশ কে কেন্দ্র করে বিএনপি'র দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, একপর্যায়ে হাতাহাতি থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে, এতে বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়, পুলিশ বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে, এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মোল্লাহাট প্রতিনিধি :

০২ ডিসেম্বর, ২০২৪,  2:59 PM

news image
.

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে উপজেলা বিএনপির দু'গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ২৬ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।


সোমবার (১'লা ডিসেম্বর) উপজেলার মাদ্রাসাঘাট এলাকার আলিম মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।


উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শিকদার জামাল উদ্দিন অভিযোগ করে পল্লী বাংলাকে বলেন, ৫ নং গাওলা ইউনিয়ন পরিষদে কেন্দ্রীয় নেতা জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান ও সেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, বাগেরহাট জেলা কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ রানা সহ স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনা ও কর্মী সভা ছিল, সভায় বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রিয়াজুল ইসলামের বক্তব্য চলাকালীন সময়ে বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. হারুন আল রশিদের নেতৃত্বে একটি মিছিল উক্ত সভায় উপস্থিত হয়। এ সময়  হাফিজুর রহমানের লোকজন স্লোগান দিতে থাকে, তাদের স্লোগান দিতে নিষেধ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে কর্মীসভার ব্যানার ছিঁড়ে সমাবেশে বাধা প্রদান করলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে তার দলের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৪ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।


এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শেখ হাফিজুর রহমান পল্লী বাংলাকে বলেন, ৫ আগষ্টের পর তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, শুধু এতেই তারা ক্ষান্ত হয়নি, তার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন ঘটনার দিন দলীয় কর্মী সভা সফল করার লক্ষ্যে তার নেতৃত্বে একটি মিছিল সেখানে উপস্থিত হলে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা তার উপর অতর্কিত হামলা করা হয়। এতে তার দলের অন্তত ১১ জন নেতাকর্মী গুরুতর জখম অবস্থায় মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।


এ বিষয়ে মোল্লাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম পল্লী বাংলাকে জানান, কর্মী সমাবেশ কে কেন্দ্র করে বিএনপি'র দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, একপর্যায়ে হাতাহাতি থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে, এতে বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়, পুলিশ বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে, এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।