নেত্রকোনায় কোরআন অবমাননার প্রধান আসামি গ্রেফতার
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
২০ জুলাই, ২০২৫, 10:59 PM
নেত্রকোনায় কোরআন অবমাননার প্রধান আসামি গ্রেফতার
নেত্রকোনার বারহাট্টায় কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি আবু বক্করকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বারহাট্টা উপজেলা সদরের গোপালপুর এলাকা থেকে (১৬ জুলাই) বুধবার বিকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কোরআন অবমাননা ঘটনার পর স্থানীয় কয়েকজন আবু বক্করকে পাগল হিসেবে দাবি করে। তবে পুলিশের দাবি, আবু বক্কর পাগল নয়। তিনি নিজের নাম পরিচয় বলতে পারেন এবং সুস্থ্ স্বাভাবিক মানুষ। ঘটনার পর স্থানীয় কয়েকজন তাকে পাগলের ভান করতে বলেছিল বলে জানান আবু বক্কর।
আবু বক্কর সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা শহরের মৃত লালুমুন্সির ছেলে। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা চালাতেন বলে জানা গেছে।
এরআগে গত রোববার এ ঘটনায় নাজমা আক্তার (৪০) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি বারহাট্টা উপজেলার চন্দ্রপুর পালপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেমের স্ত্রী।
এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে গত রোববার থেকে উপজেলায় লাগাতার বিক্ষোভ মিছিল করছে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষ।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিংধা ইউনিয়নের চন্দ্রপুর বাজার এলাকায় আবু বক্কর নামে ওই ব্যক্তি অবস্থান করছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি কোরআন শরীফ চাইলে জয়কৃষ্ণনগর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান চন্দ্রপুর বাজারের মসজিদ থেকে একটি কোরআন শরীফ এনে তাঁর হাতে দেন। তখন আবু বক্কর কোরআন শরীফের ওপর নাচানাচি করে অবমাননার মতো জঘন্য ঘটনা ঘটান। এ সময় সেখানে নাজমা আক্তার, নাজমার মা বেগম ও হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে স্থানীয় মুসুল্লিরা গত রোববার সন্ধ্যায় চন্দ্রপুর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে ওই পাগলবেশী কোরআন অবমাননাকারী এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকেও প্রতিবাদ না করায় নাজমা আক্তার, তাঁর মা বেগম ও হাবিবুর রহমানের বিচার দাবি করেন। ঘটনায় ওই দিন রাত ১২টায় জীবনপুর গ্রামের তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ রাতেই নাজমাকে গ্রেপ্তার করে। তবে অন্যরা পালিয়ে যান।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় করা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত আবু বক্করসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাবিবুর ও বেগম পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তিনি আরও বলেন, আবু বক্কর পাগল নয়। তিনি ভিক্ষা করে জীবিকা চালাতেন। ঘটনার পর দায় এড়াতে কারো প্ররোচনায় পাগলের অভিনয় করছিলেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
২০ জুলাই, ২০২৫, 10:59 PM
নেত্রকোনার বারহাট্টায় কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি আবু বক্করকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বারহাট্টা উপজেলা সদরের গোপালপুর এলাকা থেকে (১৬ জুলাই) বুধবার বিকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কোরআন অবমাননা ঘটনার পর স্থানীয় কয়েকজন আবু বক্করকে পাগল হিসেবে দাবি করে। তবে পুলিশের দাবি, আবু বক্কর পাগল নয়। তিনি নিজের নাম পরিচয় বলতে পারেন এবং সুস্থ্ স্বাভাবিক মানুষ। ঘটনার পর স্থানীয় কয়েকজন তাকে পাগলের ভান করতে বলেছিল বলে জানান আবু বক্কর।
আবু বক্কর সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা শহরের মৃত লালুমুন্সির ছেলে। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা চালাতেন বলে জানা গেছে।
এরআগে গত রোববার এ ঘটনায় নাজমা আক্তার (৪০) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি বারহাট্টা উপজেলার চন্দ্রপুর পালপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেমের স্ত্রী।
এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে গত রোববার থেকে উপজেলায় লাগাতার বিক্ষোভ মিছিল করছে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষ।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিংধা ইউনিয়নের চন্দ্রপুর বাজার এলাকায় আবু বক্কর নামে ওই ব্যক্তি অবস্থান করছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি কোরআন শরীফ চাইলে জয়কৃষ্ণনগর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান চন্দ্রপুর বাজারের মসজিদ থেকে একটি কোরআন শরীফ এনে তাঁর হাতে দেন। তখন আবু বক্কর কোরআন শরীফের ওপর নাচানাচি করে অবমাননার মতো জঘন্য ঘটনা ঘটান। এ সময় সেখানে নাজমা আক্তার, নাজমার মা বেগম ও হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে স্থানীয় মুসুল্লিরা গত রোববার সন্ধ্যায় চন্দ্রপুর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে ওই পাগলবেশী কোরআন অবমাননাকারী এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকেও প্রতিবাদ না করায় নাজমা আক্তার, তাঁর মা বেগম ও হাবিবুর রহমানের বিচার দাবি করেন। ঘটনায় ওই দিন রাত ১২টায় জীবনপুর গ্রামের তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ রাতেই নাজমাকে গ্রেপ্তার করে। তবে অন্যরা পালিয়ে যান।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় করা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত আবু বক্করসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাবিবুর ও বেগম পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তিনি আরও বলেন, আবু বক্কর পাগল নয়। তিনি ভিক্ষা করে জীবিকা চালাতেন। ঘটনার পর দায় এড়াতে কারো প্ররোচনায় পাগলের অভিনয় করছিলেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।