ঢাকা ২১ অক্টোবর, ২০২৫
শিরোনামঃ
পদ্মায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান: ইলিশ নিধন বন্ধে ইঁদুর-বিড়াল খেলা ফটিকছড়িতে বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত গাজীপুর-১ আসনে চমক ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী কোনবাড়িতে ছাত্রদলের উদ্যোগে বিএনপি'র ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ  বানারীপাড়ায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে একই ঘটনাকে থানা ও  আদালতে ভিন্ন ভিন্ন রূপে মামলা দায়ের সদরপুরে মমিন হোটেলকে দুই লাখ টাকা জরিমানা বর্তমানে কোন কোন দলের কর্মকাণ্ড ফ্যাসিবাদ আওয়াামী লীগের কর্মকান্ডের সাথে মিলে যাচ্ছে-কেন্দ্রীয় শিবির সভাপতি উন্নত জাতের ছাগল পালন করে সফল খামারি দুলাল খান কুষ্টিয়ায় জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি : মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান দুর্গার পর এবার শ্যামা পূজা, ব্যস্ততা বেড়েছে মৃৎশিল্পী ও আয়োজকদের

রনিকে ধরতে অভিযান, ফোনে যুবদল নেতাকে বললেন—‘আমি অনেক দূরে, পাবেন না !’

#
news image

রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনিকে ধরতে বুধবার দুপুরে নগরীর পদ্মা পারিজাত এলাকার একটি বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট ঘিরে ফেলেন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা। তাদের ধারণা ছিল, আত্মগোপনে থাকা রনি ওই ভবনেই লুকিয়ে রয়েছেন।

পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে চন্দ্রিমা থানা পুলিশ ও ডিবির একটি দল। শুরু হয় ভবনের প্রতিটি তলায় তল্লাশি। ঠিক তখনই ঘটল নাটকীয় এক ঘটনা—যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল সরকার ডিকোর ফোনে কল করেন স্বয়ং রনি!

ফোনালাপে রনি বলেন, ‘ডিকো ভাই, আপনারা এত কষ্ট করে অভিযান চালাচ্ছেন। আমি আপনাদের থেকে অনেক দূরে। আমাকে খুঁজে লাভ হবে না, পাবেন না। সময় হলেই নিজেই আত্মসমর্পণ করব।’
জবাবে ডিকো বলেন, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আত্মসমর্পণ করুন। দোষ করে থাকলে স্বীকার করুন। আমরা আপনার জন্য দোয়া করি।’

এরপর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে বহুল আলোচিত অস্ত্র বিতর্ক। ডিকো প্রশ্ন করেন, ‘সিটি করপোরেশনের অস্ত্র আপনার ছিল, নাকি মেয়র সাহেবের? আপনার ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে।’
রনি জবাব দেন, ‘ভাই, আমার হাতে অস্ত্র কোথায় দেখেছেন? প্রমাণ দিন। আমার হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না।’
ডিকো পাল্টা বলেন, ‘রাজশাহীতে অস্ত্রের রাজনীতি শুরুই করেছেন আপনি।’
রনি সংক্ষেপে বলেন, ‘বাজে কথা।’ এই পর্যায়ে ডিকো বলেন, ‘সত্য-মিথ্যার বিচার আল্লাহ করবেন।’
রনি বলেন, ‘আমরা মুসলমান, একদিন মরতে হবেই। যদি অন্যায় করে থাকি, আল্লাহ বিচার করবেন। ভালো থাকুন ভাই, দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।’

এই ফোনালাপের পর অভিযানে থাকা নেতাকর্মীরা ভবনের সামনে থেকে সরে যান।

পলাতক যুবলীগ নেতা তৌরিদ আল মাসুদ রনি যুবদল নেতা ফয়সাল সরকার ডিকোকে একটি গ্রামীণফোন নম্বর থেকে ফোন করেছিলেন। পরে ওই নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। বহুবার চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফলে তাঁর পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

রনি বলেন, ‘যারা আজ অভিযান চালাচ্ছে, এরা কোনো দিন সামনে আসার সাহস পায়নি। এখন ফাঁকা মাঠে ঢিল ছুড়ছে। অযথা একটি বাড়ি ঘেরাও করেছে। এদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবে মানুষ এখন বুঝতে পারছে আওয়ামী লীগ আর বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে পার্থক্য কী।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে এখন সুবিচার নেই। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ও নেতা এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন যেদিন বলবেন, সেদিনই দেশে ফিরব। অন্যায় করে থাকলে সুশাসন ফিরলে শাস্তি পাব। অল্প সময়ের মধ্যেই সবার সঙ্গে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।’

খন্দকার মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো চিফ : 

০৩ জুলাই, ২০২৫,  4:46 AM

news image

রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনিকে ধরতে বুধবার দুপুরে নগরীর পদ্মা পারিজাত এলাকার একটি বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট ঘিরে ফেলেন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা। তাদের ধারণা ছিল, আত্মগোপনে থাকা রনি ওই ভবনেই লুকিয়ে রয়েছেন।

পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে চন্দ্রিমা থানা পুলিশ ও ডিবির একটি দল। শুরু হয় ভবনের প্রতিটি তলায় তল্লাশি। ঠিক তখনই ঘটল নাটকীয় এক ঘটনা—যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল সরকার ডিকোর ফোনে কল করেন স্বয়ং রনি!

ফোনালাপে রনি বলেন, ‘ডিকো ভাই, আপনারা এত কষ্ট করে অভিযান চালাচ্ছেন। আমি আপনাদের থেকে অনেক দূরে। আমাকে খুঁজে লাভ হবে না, পাবেন না। সময় হলেই নিজেই আত্মসমর্পণ করব।’
জবাবে ডিকো বলেন, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আত্মসমর্পণ করুন। দোষ করে থাকলে স্বীকার করুন। আমরা আপনার জন্য দোয়া করি।’

এরপর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে বহুল আলোচিত অস্ত্র বিতর্ক। ডিকো প্রশ্ন করেন, ‘সিটি করপোরেশনের অস্ত্র আপনার ছিল, নাকি মেয়র সাহেবের? আপনার ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে।’
রনি জবাব দেন, ‘ভাই, আমার হাতে অস্ত্র কোথায় দেখেছেন? প্রমাণ দিন। আমার হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না।’
ডিকো পাল্টা বলেন, ‘রাজশাহীতে অস্ত্রের রাজনীতি শুরুই করেছেন আপনি।’
রনি সংক্ষেপে বলেন, ‘বাজে কথা।’ এই পর্যায়ে ডিকো বলেন, ‘সত্য-মিথ্যার বিচার আল্লাহ করবেন।’
রনি বলেন, ‘আমরা মুসলমান, একদিন মরতে হবেই। যদি অন্যায় করে থাকি, আল্লাহ বিচার করবেন। ভালো থাকুন ভাই, দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।’

এই ফোনালাপের পর অভিযানে থাকা নেতাকর্মীরা ভবনের সামনে থেকে সরে যান।

পলাতক যুবলীগ নেতা তৌরিদ আল মাসুদ রনি যুবদল নেতা ফয়সাল সরকার ডিকোকে একটি গ্রামীণফোন নম্বর থেকে ফোন করেছিলেন। পরে ওই নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। বহুবার চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফলে তাঁর পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো বক্তব্য নেওয়া যায়নি।

রনি বলেন, ‘যারা আজ অভিযান চালাচ্ছে, এরা কোনো দিন সামনে আসার সাহস পায়নি। এখন ফাঁকা মাঠে ঢিল ছুড়ছে। অযথা একটি বাড়ি ঘেরাও করেছে। এদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবে মানুষ এখন বুঝতে পারছে আওয়ামী লীগ আর বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে পার্থক্য কী।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে এখন সুবিচার নেই। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ও নেতা এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন যেদিন বলবেন, সেদিনই দেশে ফিরব। অন্যায় করে থাকলে সুশাসন ফিরলে শাস্তি পাব। অল্প সময়ের মধ্যেই সবার সঙ্গে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।’