ঢাকা ০১ জুলাই, ২০২৫
শিরোনামঃ
‘দ্য কোড অফ ক্রিমিনলি প্রসিডিউর (এমেনমেন্ট) অর্ডিন্যান্স- ২০২৫’ এর খসড়া অনুমোদন রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধি চূড়ান্ত করতে নাগরিকদের মতামত চেয়েছে ইসি নবীন প্রবীণে ছয় মুখ, লক্ষ্য সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দুর্ঘটনায় দু’জন চিকিৎসকসহ নিহত ৪ আহত অন্তত ১৬ মসজিদ-মাদ্রাসা হুমকিতে, সুনামগঞ্জে নদীতীরে মানববন্ধন জিহ্বার রঙ বলে দেবে আপনি সুস্থ না অসুস্থ দক্ষিণ ফিলিপাইনে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা নেই রাজনৈতিক মামলার বোঝা হালকা হচ্ছে, ২০ হাজার মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ সুনামগঞ্জ-৫: নির্বাচনী মাঠে জমে উঠেছে রাজনৈতিক উত্তাপ বাগেরহাটে চারটি বিদেশী পিস্তলসহ মাইক্রোবাসে থাকা ১১জন আটক

নবীন প্রবীণে ছয় মুখ, লক্ষ্য সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন

#
news image

সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির ছয় মনোনয়ন প্রত্যাশীর সরব তৎপরতায় জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। ধানের শীষের প্রতীক কে পাবেন এ নিয়ে বাড়ছে কৌতূহল ও রাজনৈতিক উত্তাপ। নবীন ও প্রবীণ ছয় নেতার নিরবচ্ছিন্ন গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও জনসম্পৃক্ততা নির্বাচনী এলাকাজুড়ে প্রাণসঞ্চার করেছে। প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, এমনকি গ্রামের রাস্তা হাট বাজারে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে প্রচারণা। একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী, পাঁছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বী।এ লড়াইয়ে কে হবেন চূড়ান্ত প্রার্থী, তা নিয়ে ভোটারদের মাঝে আগ্রহ তুঙ্গে। মাঠের প্রতিচিত্রে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ধানের শীষের ছায়ায় এক টিকিটের জন্য ছয় মুখ, লক্ষ্য এক।

আসাম রাজ্যের গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত সুনামগঞ্জ-১ আসন। হাওর, বাওর, নদী-নালা, খাল-বিল ও জলাভূমিতে পরিপূর্ণ চারটি উপজেলা ধর্মপাশা, মধ্যনগর, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ নিয়ে গঠিত এই সংসদীয় এলাকা।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব উপজেলায় রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছেন বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। মাঠপর্যায়ে চলছে ব্যাপক গণসংযোগ, পথসভা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ এবং বন্যা কবলিত এলাকার কৃষক ও সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর নেয়া। কে হবেন দলের চূড়ান্ত মনোনীত প্রার্থী, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চরম প্রতিযোগিতা। ফলে দলীয় কর্মকাণ্ডও বেড়েছে চোখে পড়ার মতো।

বিভিন্ন মোড়, বাজার এবং জনবহুল স্থানে প্রার্থীদের পক্ষে ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও স্টিকার টানানো হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এতে নির্বাচনী মাঠে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বিএনপির সরব উপস্থিতি।

সুনামগঞ্জ-১ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬২ হাজার ৬৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ২৭ হাজার ৭০১ জন এবং হিজড়া ভোটার ৫ জন।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আছেন ছয়জন নবীন-প্রবীণ নেতা। এরা হলেন: কামরুজ্জামান কামরুল, আনিসুল হক, আব্দুল মোতালেব খান, ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দী লিটন, মাহবুবুর রহমান সরকার, সালমা নজির

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা কামরুজ্জামান কামরুল। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে তিনি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যায়ে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি, তাহিরপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। বর্তমানে তিনি জাতীয়তাবাদী কৃষকদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) এবং সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আনিসুল হক। তারা দুজনেই তাহিরপুরের কৃতি সন্তান। প্রজ্ঞাবান ও অভিজ্ঞ রাজনীতিক হিসেবে দলীয় ঘাঁটি শক্তিশালী করতে কাজ করছেন।

এছাড়াও ধর্মপাশা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি ও পরবর্তীতে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এবং বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য আব্দুল মোতালেব খান। তিনি মাঠ পর্যায়ে সুদৃঢ় অবস্থান ও ঘাটি গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

এছাড়াও এ তালিকায় আরো আছেন জামালগঞ্জের দুই কৃতি সন্তান। যুক্তরাজ্য আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদল এবং জামালগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দী লিটন। দেশের বাইরে থেকেও রাজনীতিতে সক্রিয় এই নেতা এখন নির্বাচনী মাঠে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন।

উদীয়মান নেতা, সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদ, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান সরকার। তরুণ ভোটারদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

উক্ত আসনে বারবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম নজির হোসেনের সহধর্মিণী সালমা নজির। তিনি সুনামগঞ্জ-১ আসনে দলীয় মনোনয়নের জন্য স্বামীর ইমেজ কে কাজে লাগিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করছেন এবং তৃণমূল পর্যায়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

জানা গেছে, মনোনয়ন প্রত্যাশী ছয়জনের মধ্যে চারজনই রাজনৈতিক কারণে বিভিন্ন সময়ে কারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একাধিক মামলায় জড়িয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছেন। এর ফলে তৃণমূলে তাদের প্রতি সহানুভূতি ও সমর্থন বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সাধারণ মানুষ নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী। তারা এমন একজন প্রার্থী চান যিনি হবেন প্রকৃত অর্থে মাটি ও মানুষের প্রতিনিধি। হাওর অঞ্চলের দীর্ঘদিনের অবহেলা, উন্নয়নবঞ্চনা ও বন্যাকবলিত অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে যিনি ভূমিকা রাখতে পারেন, তেমন নেতৃত্বের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।

এই ছয় নেতার মধ্যে কে পাবেন দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন তা নিয়ে ভোটারদের কৌতূহল, আগ্রহ এবং আলোচনা এখন তুঙ্গে। মাঠের রাজনীতিতে সমান তালে সক্রিয় সবাই। গণসংযোগ, কর্মীসভা, পথসভা, উঠান বৈঠক—সবকিছুতেই তারা জনগণের সাথে মিশে যাচ্ছেন।

রমজান মাস সহ বিভিন্ন দিবস ও মাসজুড়েই তারা বিভিন্ন ইউনিয়নে উঠান বৈঠক, আলোচনা সভা ও কর্মী সমাবেশ করেছেন। ফলে সুনামগঞ্জ-১ আসনের রাজনীতিতে বাড়তি গতি ও উত্তাপ লক্ষ করা যাচ্ছে।

বিএনপির ছয় মনোনয়ন প্রত্যাশীর সরব উপস্থিতি ও মাঠে নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রমে নির্বাচনী হাওয়া স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সুনামগঞ্জ-১ আসনে। এখন দেখার পালা, কে হন চূড়ান্ত প্রার্থী এবং জনগণ কাকে বেছে নেয় তাদের প্রতিনিধি হিসেবে।

মোঃ ইকবাল হোসাইন, স্টাফ রিপোর্টার

২৯ জুন, ২০২৫,  1:05 AM

news image
(ছবি সংগৃহীত)

সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির ছয় মনোনয়ন প্রত্যাশীর সরব তৎপরতায় জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। ধানের শীষের প্রতীক কে পাবেন এ নিয়ে বাড়ছে কৌতূহল ও রাজনৈতিক উত্তাপ। নবীন ও প্রবীণ ছয় নেতার নিরবচ্ছিন্ন গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও জনসম্পৃক্ততা নির্বাচনী এলাকাজুড়ে প্রাণসঞ্চার করেছে। প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, এমনকি গ্রামের রাস্তা হাট বাজারে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে প্রচারণা। একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী, পাঁছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বী।এ লড়াইয়ে কে হবেন চূড়ান্ত প্রার্থী, তা নিয়ে ভোটারদের মাঝে আগ্রহ তুঙ্গে। মাঠের প্রতিচিত্রে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ধানের শীষের ছায়ায় এক টিকিটের জন্য ছয় মুখ, লক্ষ্য এক।

আসাম রাজ্যের গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত সুনামগঞ্জ-১ আসন। হাওর, বাওর, নদী-নালা, খাল-বিল ও জলাভূমিতে পরিপূর্ণ চারটি উপজেলা ধর্মপাশা, মধ্যনগর, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ নিয়ে গঠিত এই সংসদীয় এলাকা।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব উপজেলায় রাজনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছেন বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। মাঠপর্যায়ে চলছে ব্যাপক গণসংযোগ, পথসভা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ এবং বন্যা কবলিত এলাকার কৃষক ও সাধারণ মানুষের খোঁজ খবর নেয়া। কে হবেন দলের চূড়ান্ত মনোনীত প্রার্থী, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চরম প্রতিযোগিতা। ফলে দলীয় কর্মকাণ্ডও বেড়েছে চোখে পড়ার মতো।

বিভিন্ন মোড়, বাজার এবং জনবহুল স্থানে প্রার্থীদের পক্ষে ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও স্টিকার টানানো হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এতে নির্বাচনী মাঠে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বিএনপির সরব উপস্থিতি।

সুনামগঞ্জ-১ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬২ হাজার ৬৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ২৭ হাজার ৭০১ জন এবং হিজড়া ভোটার ৫ জন।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আছেন ছয়জন নবীন-প্রবীণ নেতা। এরা হলেন: কামরুজ্জামান কামরুল, আনিসুল হক, আব্দুল মোতালেব খান, ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দী লিটন, মাহবুবুর রহমান সরকার, সালমা নজির

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা কামরুজ্জামান কামরুল। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে তিনি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যায়ে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি, তাহিরপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি। বর্তমানে তিনি জাতীয়তাবাদী কৃষকদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) এবং সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আনিসুল হক। তারা দুজনেই তাহিরপুরের কৃতি সন্তান। প্রজ্ঞাবান ও অভিজ্ঞ রাজনীতিক হিসেবে দলীয় ঘাঁটি শক্তিশালী করতে কাজ করছেন।

এছাড়াও ধর্মপাশা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি ও পরবর্তীতে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এবং বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য আব্দুল মোতালেব খান। তিনি মাঠ পর্যায়ে সুদৃঢ় অবস্থান ও ঘাটি গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

এছাড়াও এ তালিকায় আরো আছেন জামালগঞ্জের দুই কৃতি সন্তান। যুক্তরাজ্য আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদল এবং জামালগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার হামিদুল হক আফিন্দী লিটন। দেশের বাইরে থেকেও রাজনীতিতে সক্রিয় এই নেতা এখন নির্বাচনী মাঠে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন।

উদীয়মান নেতা, সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদ, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান সরকার। তরুণ ভোটারদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

উক্ত আসনে বারবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম নজির হোসেনের সহধর্মিণী সালমা নজির। তিনি সুনামগঞ্জ-১ আসনে দলীয় মনোনয়নের জন্য স্বামীর ইমেজ কে কাজে লাগিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করছেন এবং তৃণমূল পর্যায়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

জানা গেছে, মনোনয়ন প্রত্যাশী ছয়জনের মধ্যে চারজনই রাজনৈতিক কারণে বিভিন্ন সময়ে কারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একাধিক মামলায় জড়িয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছেন। এর ফলে তৃণমূলে তাদের প্রতি সহানুভূতি ও সমর্থন বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সাধারণ মানুষ নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী। তারা এমন একজন প্রার্থী চান যিনি হবেন প্রকৃত অর্থে মাটি ও মানুষের প্রতিনিধি। হাওর অঞ্চলের দীর্ঘদিনের অবহেলা, উন্নয়নবঞ্চনা ও বন্যাকবলিত অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে যিনি ভূমিকা রাখতে পারেন, তেমন নেতৃত্বের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।

এই ছয় নেতার মধ্যে কে পাবেন দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন তা নিয়ে ভোটারদের কৌতূহল, আগ্রহ এবং আলোচনা এখন তুঙ্গে। মাঠের রাজনীতিতে সমান তালে সক্রিয় সবাই। গণসংযোগ, কর্মীসভা, পথসভা, উঠান বৈঠক—সবকিছুতেই তারা জনগণের সাথে মিশে যাচ্ছেন।

রমজান মাস সহ বিভিন্ন দিবস ও মাসজুড়েই তারা বিভিন্ন ইউনিয়নে উঠান বৈঠক, আলোচনা সভা ও কর্মী সমাবেশ করেছেন। ফলে সুনামগঞ্জ-১ আসনের রাজনীতিতে বাড়তি গতি ও উত্তাপ লক্ষ করা যাচ্ছে।

বিএনপির ছয় মনোনয়ন প্রত্যাশীর সরব উপস্থিতি ও মাঠে নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রমে নির্বাচনী হাওয়া স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সুনামগঞ্জ-১ আসনে। এখন দেখার পালা, কে হন চূড়ান্ত প্রার্থী এবং জনগণ কাকে বেছে নেয় তাদের প্রতিনিধি হিসেবে।