ঢাকা ০১ জুলাই, ২০২৫
শিরোনামঃ
‘দ্য কোড অফ ক্রিমিনলি প্রসিডিউর (এমেনমেন্ট) অর্ডিন্যান্স- ২০২৫’ এর খসড়া অনুমোদন রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধি চূড়ান্ত করতে নাগরিকদের মতামত চেয়েছে ইসি নবীন প্রবীণে ছয় মুখ, লক্ষ্য সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দুর্ঘটনায় দু’জন চিকিৎসকসহ নিহত ৪ আহত অন্তত ১৬ মসজিদ-মাদ্রাসা হুমকিতে, সুনামগঞ্জে নদীতীরে মানববন্ধন জিহ্বার রঙ বলে দেবে আপনি সুস্থ না অসুস্থ দক্ষিণ ফিলিপাইনে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা নেই রাজনৈতিক মামলার বোঝা হালকা হচ্ছে, ২০ হাজার মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ সুনামগঞ্জ-৫: নির্বাচনী মাঠে জমে উঠেছে রাজনৈতিক উত্তাপ বাগেরহাটে চারটি বিদেশী পিস্তলসহ মাইক্রোবাসে থাকা ১১জন আটক

রাজনৈতিক মামলার বোঝা হালকা হচ্ছে, ২০ হাজার মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ

#
news image

আগামী ছয় মাসের মধ্যে কমপক্ষে ২০ হাজার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে হাজার হাজার নাগরিক অবশেষে দীর্ঘদিনের হয়রানি ও অপবাদ থেকে মুক্তির আশা করছেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, “আমি মনে করি, মন্ত্রণালয় আগামী ছয় মাসে কমপক্ষে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে।”

তিনি আরও বলেন, “সরকার মিথ্যা বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারের একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ইতোমধ্যেই প্রায় ১২ হাজার মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে, যা কমপক্ষে ৩ লাখ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে।”

মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি ইতোমধ্যে ১৬টি বৈঠকে ১১ হাজার ৪৪৮টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে। চলমান এ প্রক্রিয়ায় আরও অনেক মামলার পর্যালোচনা ও সুপারিশ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সূত্র জানায়, আগের সরকারগুলোর সময় রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন-পীড়নের উদ্দেশ্যে দায়ের করা এসব মামলাগুলো পর্যালোচনার ক্ষেত্রে জেলা পর্যায়ের কমিটি, সলিসিটর শাখা প্রেরিত তালিকা ও সংশ্লিষ্ট নথি যাচাই করা হচ্ছে।

কমিটি জানিয়েছে, মামলা পর্যালোচনার প্রক্রিয়ায় গতি আনতে রাজনৈতিক দলগুলোকেও তাদের প্রস্তাবিত মামলার তালিকা পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় মনে করছে, দলগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণেই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি সম্ভব।

ড. আসিফ নজরুল উল্লেখ করেন, “এই পরিপ্রেক্ষিতে, বিএনপি ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার মামলার তালিকা পাঠিয়েছিল এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে ১ হাজার ২০০টি মামলার তালিকা জমা দিয়েছিল।”

তবে উপদেষ্টা এটিও জানান যে, “আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি নিজস্ব উদ্যোগেই ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধেক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।” তবে তিনি কিছু দলের উদাসীনতার কথাও উল্লেখ করেন, “অনেক রাজনৈতিক দল তাদের মামলার তালিকার সঙ্গে প্রাথমিক তথ্য প্রতিবেদন (এফআইআর) ও চার্জশিট সংযুক্ত করেনি, যার ফলে মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে।”

সম্প্রতি ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি আরও জানান, “অন্যদিকে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ২০ মে, ২০২৫ তারিখে ৪৪টি মামলার তালিকা দাখিল করেছে। মামলাগুলোর নথি পর্যালোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” সরকার ইতোমধ্যে পুনরায় আহ্বান জানিয়েছে, প্রাসঙ্গিক মামলার এফআইআর, চার্জশিটসহ পূর্ণাঙ্গ নথিপত্র পাঠিয়ে দ্রুত নিষ্পত্তির পথ সুগম করতে রাজনৈতিক দলগুলো যেন সহায়তা করে।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

২৮ জুন, ২০২৫,  1:30 PM

news image
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল (ছবি সংগৃহীত)

আগামী ছয় মাসের মধ্যে কমপক্ষে ২০ হাজার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে হাজার হাজার নাগরিক অবশেষে দীর্ঘদিনের হয়রানি ও অপবাদ থেকে মুক্তির আশা করছেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, “আমি মনে করি, মন্ত্রণালয় আগামী ছয় মাসে কমপক্ষে ২০ হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করবে।”

তিনি আরও বলেন, “সরকার মিথ্যা বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারের একটি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ইতোমধ্যেই প্রায় ১২ হাজার মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে, যা কমপক্ষে ৩ লাখ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে।”

মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি ইতোমধ্যে ১৬টি বৈঠকে ১১ হাজার ৪৪৮টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে। চলমান এ প্রক্রিয়ায় আরও অনেক মামলার পর্যালোচনা ও সুপারিশ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সূত্র জানায়, আগের সরকারগুলোর সময় রাজনৈতিক বিরোধীদের দমন-পীড়নের উদ্দেশ্যে দায়ের করা এসব মামলাগুলো পর্যালোচনার ক্ষেত্রে জেলা পর্যায়ের কমিটি, সলিসিটর শাখা প্রেরিত তালিকা ও সংশ্লিষ্ট নথি যাচাই করা হচ্ছে।

কমিটি জানিয়েছে, মামলা পর্যালোচনার প্রক্রিয়ায় গতি আনতে রাজনৈতিক দলগুলোকেও তাদের প্রস্তাবিত মামলার তালিকা পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় মনে করছে, দলগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণেই মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি সম্ভব।

ড. আসিফ নজরুল উল্লেখ করেন, “এই পরিপ্রেক্ষিতে, বিএনপি ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ সালের মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার মামলার তালিকা পাঠিয়েছিল এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে ১ হাজার ২০০টি মামলার তালিকা জমা দিয়েছিল।”

তবে উপদেষ্টা এটিও জানান যে, “আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি নিজস্ব উদ্যোগেই ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধেক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।” তবে তিনি কিছু দলের উদাসীনতার কথাও উল্লেখ করেন, “অনেক রাজনৈতিক দল তাদের মামলার তালিকার সঙ্গে প্রাথমিক তথ্য প্রতিবেদন (এফআইআর) ও চার্জশিট সংযুক্ত করেনি, যার ফলে মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে।”

সম্প্রতি ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি আরও জানান, “অন্যদিকে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ২০ মে, ২০২৫ তারিখে ৪৪টি মামলার তালিকা দাখিল করেছে। মামলাগুলোর নথি পর্যালোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” সরকার ইতোমধ্যে পুনরায় আহ্বান জানিয়েছে, প্রাসঙ্গিক মামলার এফআইআর, চার্জশিটসহ পূর্ণাঙ্গ নথিপত্র পাঠিয়ে দ্রুত নিষ্পত্তির পথ সুগম করতে রাজনৈতিক দলগুলো যেন সহায়তা করে।