ঢাকা ০১ জুলাই, ২০২৫
শিরোনামঃ
‘দ্য কোড অফ ক্রিমিনলি প্রসিডিউর (এমেনমেন্ট) অর্ডিন্যান্স- ২০২৫’ এর খসড়া অনুমোদন রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধি চূড়ান্ত করতে নাগরিকদের মতামত চেয়েছে ইসি নবীন প্রবীণে ছয় মুখ, লক্ষ্য সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দুর্ঘটনায় দু’জন চিকিৎসকসহ নিহত ৪ আহত অন্তত ১৬ মসজিদ-মাদ্রাসা হুমকিতে, সুনামগঞ্জে নদীতীরে মানববন্ধন জিহ্বার রঙ বলে দেবে আপনি সুস্থ না অসুস্থ দক্ষিণ ফিলিপাইনে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা নেই রাজনৈতিক মামলার বোঝা হালকা হচ্ছে, ২০ হাজার মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ সুনামগঞ্জ-৫: নির্বাচনী মাঠে জমে উঠেছে রাজনৈতিক উত্তাপ বাগেরহাটে চারটি বিদেশী পিস্তলসহ মাইক্রোবাসে থাকা ১১জন আটক

কার হাতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব 

#
news image

দেশের অর্থনীতির একমাত্র সুচিতাগার চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব আগামীতে কার হাতে যাচ্ছে তা নিয়ে চলছে ব্যাপক জল্পনা- কল্পনা। বর্তমানে এ টার্মিনাল পরিচালনা করছেন দেশি অপারেটর সাইফ পাওয়ার টেক লিঃ। এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চুক্তির মেয়াদ আগামী ৬ জুলাই শেষ হতে চলেছে। এরপর এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব কাকে দেয়া হচ্ছে, কে পাচ্ছেন এই গুরু দায়িত্ব, দেশী না বিদেশী কোন প্রতিষ্টানকে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা, পর্যালোচনা ও সমালোচনা।
এদিকে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে দেওয়া হবে বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডকে জিটুজি ভিত্তিতে দীর্ঘ মেয়াদে এ টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি এখনও ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র। এ নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক সমালোচনা। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, বাম রাজনৈতিক দল, বন্দরের শ্রমিক সংগঠন এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী মহল এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের হাতে দেওয়ার বিরোধিতা করছে। তাদের দাবি, দেশের অর্থায়নে নির্মিত এ টার্মিনাল বিদেশি নয় বরং দেশি প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত হওয়া উচিত। এতে জাতীয় স্বার্থ, অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ এবং কর্মসংস্থান সংরক্ষিত থাকবে। অপরদিকে অভিজ্ঞমহলের মতে, এ টার্মিনাল পরিচালনাকারী প্রতিষ্টান থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল প্রচুর চাঁদা আদায় করে থাকে। প্রতিষ্টানটি বিদেশী হলে এ চাঁদা বন্ধ হওয়ার আশঙ্খায় রাজনৈতিক দলগুলো এর বিরোধিতায় নেমেছে। 
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান জানান, সাইফ পাওয়ার টেকের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষে এনসিটি কারা পরিচালনা করবে তা নিয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় থেকে আসেনি। সিদ্ধান্ত পেলে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার বিষয়েও এখনো পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে তিনি জানান।
ফারদিকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা চাইছেন সাইফ পাওয়ার টেকের সঙ্গে চুক্তি নতুন করে নবায়ন না করতে। বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এনসিটি পরিচালনার প্রতি জোর দিচ্ছেন তারা। তবে শেষ পর্যন্ত কী হয় তা দেখার বিষয়। গত ১৯ জুন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে পাঠানো এক চিঠিতে বন্দর চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এনসিটি টার্মিনাল বর্তমানে প্রাইভেট অপারেটরের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। যার মেয়াদ আগামী ৬ জুলাই শেষ হবে। এই মেয়াদের পরবর্তী সময়ে এনসিটি পরিচালনার বিষয়ে গত ১৮ জুন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে টার্মিনালটি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সম্পাদনের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে আরো বলা হয়, টার্মিনাল আপাতত ছয় মাস মেয়াদে পরিচালনার বিষয়ে সভায় বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়। উপস্থাপিত তথ্যমতে, বর্তমানে স্থিত কী-গ্যান্ট্রি ক্রেন, রাবার টায়ারড গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ অন্যান্য ইক্যুইপমেন্ট পরিচালনা এবং আইটি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি পরিচালনায় মাসিক ৭ কোটি হিসেবে ছয় মাসে আনুমানিক ৪২ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে চারটি কনটেইনার টার্মিনাল রয়েছে। সে গুলো হলো- চিটাগাং কন্টেটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি), জেনারেল কার্গো বার্থ (জিসিবি), পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) এবং নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি)। তৎমধ্যে এনসিটি সবচেয়ে আধুনিক ও বৃহৎ। ৯৫০ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এই টার্মিনালে একসঙ্গে চারটি বড় কন্টেইনার জাহাজ ভেড়ানো যায়। এতে রয়েছে বিশ্বমানের গ্যান্ট্রি ক্রেন। বার্ষিক সক্ষমতা ১০ লাখ টিইইউ হলেও ২০২৪ সালে এই টার্মিনালে ১২ লাখ ৮১ হাজার টিইইউ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছে। বিগত ২০০৭ সাল থেকে আংশিক এবং ২০১৫ সাল থেকে পূর্ণমাত্রায় এনসিটি পরিচালনা করে আসছে সাইফ পাওয়ার টেক। একইভাবে চিটাগাং কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি) পরিচালনা করছে সাইফ পাওয়ার টেক। এ ছাড়া জেনারেল কার্গো বার্থ (জিসিবি) পরিচালনা করছে বন্দর নিজেই এবং পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) পরিচালনা করছে সৌদি আরব ভিত্তিক রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল (আরএসজিটিই)। ২০২৪ সালের জুন থেকে বিদেশি প্রতিষ্ঠানটি পিসিটি পরিচালনা করছে। চুক্তি অনুযায়ী নিজস্ব সরঞ্জাম দিয়ে ২২ বছর পিসিটি পরিচালনা করবে সৌদি আরবের এই কোম্পনিটি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বার্থ শিপ হ্যান্ডলিং ও টার্মিনাল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলে ইকরাম চৌধুরী জানান, এনসিটি পরিচালনায় বিদেশি অপারেটর নিয়োগ দিলেও তা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দেওয়া হবে। সময় শেষে টার্মিনালটিকে বন্দরের হাতে হস্তান্তর করবে তারা। তখন বন্দরকেই টার্মিনাল পরিচালনা করতে হবে। তাই স্বল্প সময়ের জন্য হলেও এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ টার্মিনাল বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিচালনা করলে নতুন একটা অভিজ্ঞতা অর্জন করবে বলে আমি মনে করি। 

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :

২৫ জুন, ২০২৫,  6:10 AM

news image

দেশের অর্থনীতির একমাত্র সুচিতাগার চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব আগামীতে কার হাতে যাচ্ছে তা নিয়ে চলছে ব্যাপক জল্পনা- কল্পনা। বর্তমানে এ টার্মিনাল পরিচালনা করছেন দেশি অপারেটর সাইফ পাওয়ার টেক লিঃ। এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চুক্তির মেয়াদ আগামী ৬ জুলাই শেষ হতে চলেছে। এরপর এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব কাকে দেয়া হচ্ছে, কে পাচ্ছেন এই গুরু দায়িত্ব, দেশী না বিদেশী কোন প্রতিষ্টানকে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা, পর্যালোচনা ও সমালোচনা।
এদিকে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে দেওয়া হবে বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডকে জিটুজি ভিত্তিতে দীর্ঘ মেয়াদে এ টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি এখনও ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বত্র। এ নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক সমালোচনা। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, বাম রাজনৈতিক দল, বন্দরের শ্রমিক সংগঠন এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী মহল এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের হাতে দেওয়ার বিরোধিতা করছে। তাদের দাবি, দেশের অর্থায়নে নির্মিত এ টার্মিনাল বিদেশি নয় বরং দেশি প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত হওয়া উচিত। এতে জাতীয় স্বার্থ, অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ এবং কর্মসংস্থান সংরক্ষিত থাকবে। অপরদিকে অভিজ্ঞমহলের মতে, এ টার্মিনাল পরিচালনাকারী প্রতিষ্টান থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল প্রচুর চাঁদা আদায় করে থাকে। প্রতিষ্টানটি বিদেশী হলে এ চাঁদা বন্ধ হওয়ার আশঙ্খায় রাজনৈতিক দলগুলো এর বিরোধিতায় নেমেছে। 
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান জানান, সাইফ পাওয়ার টেকের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষে এনসিটি কারা পরিচালনা করবে তা নিয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় থেকে আসেনি। সিদ্ধান্ত পেলে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার বিষয়েও এখনো পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে তিনি জানান।
ফারদিকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা চাইছেন সাইফ পাওয়ার টেকের সঙ্গে চুক্তি নতুন করে নবায়ন না করতে। বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এনসিটি পরিচালনার প্রতি জোর দিচ্ছেন তারা। তবে শেষ পর্যন্ত কী হয় তা দেখার বিষয়। গত ১৯ জুন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে পাঠানো এক চিঠিতে বন্দর চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এনসিটি টার্মিনাল বর্তমানে প্রাইভেট অপারেটরের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। যার মেয়াদ আগামী ৬ জুলাই শেষ হবে। এই মেয়াদের পরবর্তী সময়ে এনসিটি পরিচালনার বিষয়ে গত ১৮ জুন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে টার্মিনালটি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সম্পাদনের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে আরো বলা হয়, টার্মিনাল আপাতত ছয় মাস মেয়াদে পরিচালনার বিষয়ে সভায় বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়। উপস্থাপিত তথ্যমতে, বর্তমানে স্থিত কী-গ্যান্ট্রি ক্রেন, রাবার টায়ারড গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ অন্যান্য ইক্যুইপমেন্ট পরিচালনা এবং আইটি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি পরিচালনায় মাসিক ৭ কোটি হিসেবে ছয় মাসে আনুমানিক ৪২ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে চারটি কনটেইনার টার্মিনাল রয়েছে। সে গুলো হলো- চিটাগাং কন্টেটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি), জেনারেল কার্গো বার্থ (জিসিবি), পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) এবং নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি)। তৎমধ্যে এনসিটি সবচেয়ে আধুনিক ও বৃহৎ। ৯৫০ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এই টার্মিনালে একসঙ্গে চারটি বড় কন্টেইনার জাহাজ ভেড়ানো যায়। এতে রয়েছে বিশ্বমানের গ্যান্ট্রি ক্রেন। বার্ষিক সক্ষমতা ১০ লাখ টিইইউ হলেও ২০২৪ সালে এই টার্মিনালে ১২ লাখ ৮১ হাজার টিইইউ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছে। বিগত ২০০৭ সাল থেকে আংশিক এবং ২০১৫ সাল থেকে পূর্ণমাত্রায় এনসিটি পরিচালনা করে আসছে সাইফ পাওয়ার টেক। একইভাবে চিটাগাং কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি) পরিচালনা করছে সাইফ পাওয়ার টেক। এ ছাড়া জেনারেল কার্গো বার্থ (জিসিবি) পরিচালনা করছে বন্দর নিজেই এবং পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) পরিচালনা করছে সৌদি আরব ভিত্তিক রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল (আরএসজিটিই)। ২০২৪ সালের জুন থেকে বিদেশি প্রতিষ্ঠানটি পিসিটি পরিচালনা করছে। চুক্তি অনুযায়ী নিজস্ব সরঞ্জাম দিয়ে ২২ বছর পিসিটি পরিচালনা করবে সৌদি আরবের এই কোম্পনিটি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বার্থ শিপ হ্যান্ডলিং ও টার্মিনাল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলে ইকরাম চৌধুরী জানান, এনসিটি পরিচালনায় বিদেশি অপারেটর নিয়োগ দিলেও তা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দেওয়া হবে। সময় শেষে টার্মিনালটিকে বন্দরের হাতে হস্তান্তর করবে তারা। তখন বন্দরকেই টার্মিনাল পরিচালনা করতে হবে। তাই স্বল্প সময়ের জন্য হলেও এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ টার্মিনাল বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিচালনা করলে নতুন একটা অভিজ্ঞতা অর্জন করবে বলে আমি মনে করি।