নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে দেড় বছর আগে হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি গ্রেফতার

শাহাদাত হোসেন,নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি :
১৪ জুন, ২০২৫, 8:49 PM

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে দেড় বছর আগে হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি গ্রেফতার
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় দেড় বছর আগের এক ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে নুরুল আলম রনি (২৭) নামে হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৪ জুন) দুপুরের গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিমল কর্মকার।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় আসামি দোষ স্বীকার করে স্বেচ্ছায় বিচারিক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
গ্রেপ্তার নুরুল আলম রনি উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের রংমালা বাজার এলাকার সফিকুল আলম বাহারের ছেলে।
জানা যায়, নুরুল আলম রনি আর তার বন্ধু প্রতিবন্ধী শরীফ একসাথে চলাফেরা করতো। ২০২৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী রাত ১২টার দিকে রংমালা বাজারে প্রতিবন্ধি মোঃ শরীফের কাছে একটা সিগারেট চায় রনি।শরীফ রনিকে সিগারেট দেয়নি। না দেয়ায়, দু’জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।
এরপর রনি বাড়িতে গিয়ে টাকা এনে হরির দোকান থেকে সিগারেট কিনে। কিনে আনার পর রনি তাদের বাড়ির পুকুরের ঘাটে গিয়ে সিগারেট খাচ্ছিলো। এর মধ্যে রনিকে দেখে পুকুর ঘাটের দিকে কাছে যায় শরীফ। যাওয়ার পরে আবার তাদের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়।
বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সেখান থেকে রনি শরীফকে মাদরাসার পিছনে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এতে শরীফ অজ্ঞান হয়ে পড়লে রনি বন্ধু শরিফকে লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রেখে চলে আসে। ৭দিন পর লাশ পচে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয়রা শরীফের লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়ে ২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।অপরদিকে রনি হত্যার পরের দিন শরীফের মুঠো ফোন নিয়ে চট্টগ্রাম চলে যায়।চট্টগ্রামে এক ব্যক্তির কাছে সে ফোন সাড়ে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম গণমাধ্যমকে জানান, ভিকটিম শরীফের মোবাইলের সূত্রধরে দীর্ঘ অনুসন্ধানে এই হত্যাকাণ্ড রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে।
আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এরপর আদালত থেকে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
শাহাদাত হোসেন,নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি :
১৪ জুন, ২০২৫, 8:49 PM

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় দেড় বছর আগের এক ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে নুরুল আলম রনি (২৭) নামে হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৪ জুন) দুপুরের গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিমল কর্মকার।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় আসামি দোষ স্বীকার করে স্বেচ্ছায় বিচারিক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
গ্রেপ্তার নুরুল আলম রনি উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের রংমালা বাজার এলাকার সফিকুল আলম বাহারের ছেলে।
জানা যায়, নুরুল আলম রনি আর তার বন্ধু প্রতিবন্ধী শরীফ একসাথে চলাফেরা করতো। ২০২৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী রাত ১২টার দিকে রংমালা বাজারে প্রতিবন্ধি মোঃ শরীফের কাছে একটা সিগারেট চায় রনি।শরীফ রনিকে সিগারেট দেয়নি। না দেয়ায়, দু’জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।
এরপর রনি বাড়িতে গিয়ে টাকা এনে হরির দোকান থেকে সিগারেট কিনে। কিনে আনার পর রনি তাদের বাড়ির পুকুরের ঘাটে গিয়ে সিগারেট খাচ্ছিলো। এর মধ্যে রনিকে দেখে পুকুর ঘাটের দিকে কাছে যায় শরীফ। যাওয়ার পরে আবার তাদের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়।
বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সেখান থেকে রনি শরীফকে মাদরাসার পিছনে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এতে শরীফ অজ্ঞান হয়ে পড়লে রনি বন্ধু শরিফকে লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রেখে চলে আসে। ৭দিন পর লাশ পচে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয়রা শরীফের লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেয়ে ২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।অপরদিকে রনি হত্যার পরের দিন শরীফের মুঠো ফোন নিয়ে চট্টগ্রাম চলে যায়।চট্টগ্রামে এক ব্যক্তির কাছে সে ফোন সাড়ে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম গণমাধ্যমকে জানান, ভিকটিম শরীফের মোবাইলের সূত্রধরে দীর্ঘ অনুসন্ধানে এই হত্যাকাণ্ড রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে।
আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এরপর আদালত থেকে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।