ঢাকা ০২ জুন, ২০২৫
শিরোনামঃ
ডিমলায় কৃষকদের নিয়ে পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির নেতা মনির সিকদার পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শ্রমিকদল নেতা লিটন হোসেন কুমিল্লায় ঘূর্ণিঝড়ে ৬২টি ট্রান্সফর্মার বিকল সুনামগঞ্জে অবৈধ ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে টাস্কফোর্স  ইউনিয়ন পরিষদে কার্ড বিতরণ কে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে জামাত কর্মীসহ আহত চার ‘সংস্কারের কথা বলছেন, সংস্কার করছেন না কেন?':-সেলিনা রহমান  ফটিকছড়িতে কোরবানী পশুর চামড়া সংগ্রহ সংক্রান্ত জরুরী সভা তেঁতুলিয়ায় হারভেস্টারে ধান কর্তনে সরকারি মূল্য বলতে পারছেন না কৃষি অফিসের কেউ ! গাজীপুর সাইনবোর্ড এলাকায় পানি পান করে শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ 

আমরা এই বাংলাদেশে খুনির বিচার দেখতে চাই: সারজিস আলম

#
news image

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমরা এই বাংলাদেশে খুনিদের বিচার দেখতে চাই। যেই খুনি শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য হাজারের উপর মায়ের বুক খালি করেছে। ভাই-বোনদেরকে হত্যা করেছে। সেই খুনির বিচার বাংলাদেশে হওয়া উচিত। এই খুনির বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জায়গা থেকে যেন কারো হাতে দায়িত্ব দিয়ে চলে যাবার চিন্তা না করে।

আজ সোমবার দুপুরে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা শহরে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শেষে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি উত্তরাঞ্চলে সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশে হিসেবে বৃষ্টি উপেক্ষা করে আজ দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা উপজেলায় পথসভা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা বিগত বছরগুলোতে দেখেছি যে, এমপিরা, চেয়ারম্যানরা তাদের জায়গা থেকে টাকা দিয়ে মনোনয়ন কিনত। সেই মনোনয়ন কেনার পরে তারা দলীয় প্রভাবে নির্বাচিত হতো। এরপর জনগণের কথা চিন্তা না করে ওদের ওপরের নেতাকে তেল দিতে আর নেতার তোষামোদি করতে করতে তার দিন যেত। কিন্তু জনগণের দিকে খেয়াল করার সময় পায়নি। আমরা এতোদিন দেখেছি, এই নেতারা নির্বাচনের আগে জনগণের পকেটে ৫০০, এক হাজার টাকা ঢুকিয়ে দিয়ে জনগণকে প্ররোচিত করতো। কিন্তু নির্বাচনের পরে সেটা বয়স্ক ভাতা হোক, বিধবা ভাতা হোক, অন্য কোনো সরকারি কার্ড হোক, বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা হোক যখনই জনগণ তাদের কাছে গিয়েছে, তারা হাজার হাজার টাকা জনগণের পকেট থেকে নিয়েছে। এখানে আমার ভাইয়েরা আছেন, দাদার বয়সী অনেকে আছেন, বোনেরা আছেন, মায়েরা আছেন। এখন সময় এসেছে, আপনাদেরকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আগামীতে এই ডোমার উপজেলা, নীলফামারী জেলা কারা চালাবে। যারা ভালো মানুষ তারা চালাবে, না কি যারা এই জনগণের টাকা খায়, দুর্নীতি করে, চাঁদাবাজি করে তারা চালাবে। তাহলে আগামীতে আপনাদেরকে এই ডোমার থেকে এটা শুরু করতে হবে যে যেই মানুষটা ভালো, সে  দলের হোক, কোনো মার্কার হোক এইটা দেখার দরকার নাই। সে ভালো মানুষ কিনা এইটা দেখতে হবে এবং তাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে দিতে হবে।’

এনসিপি মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘ উত্তরাঞ্চলে এনসিপির সাংগঠনিক কার্যক্রমের যে নতুন যাত্রা এই যাত্রায় প্রথম নীলফামারী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এসেছি। আমরা আমাদের জায়গা থেকে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নে যেতে চাই। বাংলাদেশের মানুষের কথা শুনতে চাই এবং সেই কথাগুলো  জাতীয় সংসদে আমরা তুলে ধরতে চাই। সেই কথাগুলোই যেন আইনে বাস্তবায়িত হয় সেগুলো আমরা আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো’। 

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, ড. আতিক মুজাহিদ প্রমুখ।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

২৭ মে, ২০২৫,  9:14 AM

news image

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, ‘আমরা এই বাংলাদেশে খুনিদের বিচার দেখতে চাই। যেই খুনি শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য হাজারের উপর মায়ের বুক খালি করেছে। ভাই-বোনদেরকে হত্যা করেছে। সেই খুনির বিচার বাংলাদেশে হওয়া উচিত। এই খুনির বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জায়গা থেকে যেন কারো হাতে দায়িত্ব দিয়ে চলে যাবার চিন্তা না করে।

আজ সোমবার দুপুরে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা শহরে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শেষে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি উত্তরাঞ্চলে সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশে হিসেবে বৃষ্টি উপেক্ষা করে আজ দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা উপজেলায় পথসভা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা বিগত বছরগুলোতে দেখেছি যে, এমপিরা, চেয়ারম্যানরা তাদের জায়গা থেকে টাকা দিয়ে মনোনয়ন কিনত। সেই মনোনয়ন কেনার পরে তারা দলীয় প্রভাবে নির্বাচিত হতো। এরপর জনগণের কথা চিন্তা না করে ওদের ওপরের নেতাকে তেল দিতে আর নেতার তোষামোদি করতে করতে তার দিন যেত। কিন্তু জনগণের দিকে খেয়াল করার সময় পায়নি। আমরা এতোদিন দেখেছি, এই নেতারা নির্বাচনের আগে জনগণের পকেটে ৫০০, এক হাজার টাকা ঢুকিয়ে দিয়ে জনগণকে প্ররোচিত করতো। কিন্তু নির্বাচনের পরে সেটা বয়স্ক ভাতা হোক, বিধবা ভাতা হোক, অন্য কোনো সরকারি কার্ড হোক, বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা হোক যখনই জনগণ তাদের কাছে গিয়েছে, তারা হাজার হাজার টাকা জনগণের পকেট থেকে নিয়েছে। এখানে আমার ভাইয়েরা আছেন, দাদার বয়সী অনেকে আছেন, বোনেরা আছেন, মায়েরা আছেন। এখন সময় এসেছে, আপনাদেরকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আগামীতে এই ডোমার উপজেলা, নীলফামারী জেলা কারা চালাবে। যারা ভালো মানুষ তারা চালাবে, না কি যারা এই জনগণের টাকা খায়, দুর্নীতি করে, চাঁদাবাজি করে তারা চালাবে। তাহলে আগামীতে আপনাদেরকে এই ডোমার থেকে এটা শুরু করতে হবে যে যেই মানুষটা ভালো, সে  দলের হোক, কোনো মার্কার হোক এইটা দেখার দরকার নাই। সে ভালো মানুষ কিনা এইটা দেখতে হবে এবং তাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে দিতে হবে।’

এনসিপি মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘ উত্তরাঞ্চলে এনসিপির সাংগঠনিক কার্যক্রমের যে নতুন যাত্রা এই যাত্রায় প্রথম নীলফামারী জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এসেছি। আমরা আমাদের জায়গা থেকে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নে যেতে চাই। বাংলাদেশের মানুষের কথা শুনতে চাই এবং সেই কথাগুলো  জাতীয় সংসদে আমরা তুলে ধরতে চাই। সেই কথাগুলোই যেন আইনে বাস্তবায়িত হয় সেগুলো আমরা আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো’। 

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, ড. আতিক মুজাহিদ প্রমুখ।