গাজীপুরে হাসনাত আব্দুল্লার উপর হামলা, আটক-৫৪

গাজীপুর প্রতিনিধি :
০৫ মে, ২০২৫, 11:46 PM

গাজীপুরে হাসনাত আব্দুল্লার উপর হামলা, আটক-৫৪
গাজীপুরে হাসনাত আবদুল্লার গাড়িতে হামলার ঘটনায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের হয়েছে। ১০০ জনকে আসামী করে নগরীর বাসন মেট্রো থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন গাজীপুর জেলা সদরের এনসিপির এক নেতা খন্দকার আল-আমিন। জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চল কেন্দ্রীয় সংগঠক আব্দুল্লা আল-মুহিম জানান মামলায় প্রায় শতজনের কাছাকাছি ব্যাক্তিকে আসামী করা হয়েছে।
গাজীপুর জেলা সদরের সংগঠক খন্দকার আল-আমিন বলেন, ১০০ জনকে আসামী করা হয়েছে এ হত্যাচেষ্টা মামলায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ও বিভিন্ন সংস্থা দোষীদের চিহ্নিত করে ব্যাবস্থা নিবে এমনটি প্রত্যাশা জানান সাংবাদিকদের কাছে এনসিপির মহানগর জেলা, উপজেলাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
গাজীপুরে এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লার উপর হামলার ঘটনায় ৫৪জনকে আটক করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। এর মধ্যে সদর থানায় - ৫জন, বাসন থানায় - ১২জন, কোনাবাড়ী থানায় - ৬জন, কাশিমপুর থানা - ২জন, গাছা থানা - ৪জন, পূবাইল থানা - ৫জন, টঙ্গী পূর্ব থানা - ১জন, টঙ্গী পশ্চিম থানা - ৩জন, ডিবি উত্তর - ৯জন ও ডিবি দক্ষিণ - ৭জন আটক করে। সদস্যরা। তবে পুলিশ বলছেন, হাসনাত আব্দুল্লাহকে হামলার ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।
তবে আটক ব্যক্তিদের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। জিএমপি'র সিটিএসবি'র সি আই ও-১ সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (৫মে) বেলা সোয়া ১২টার দিকে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লার গাড়িতে হামলার ঘটনায় নগরীর বিভিন্ন থানায় চিরুনি অভিযানে ৫৪জন'কে আটক করা হয়েছে। তাদের যাচাই-বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চিরুনি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে আটককৃতদের নাম পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
এ ঘটনায় তদন্ত করে আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। তবে হামলার ঘটনায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। তবে হামলায় জড়িত মটরসাইকেল আরোহী কারা ছিলো ক'জন ছিলো এ বিষয়ে কিছু জানায়নি পুলিশ।
মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় মহানগর পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে আটকের পর থানায় ভিড় করতে দেখা গেছে আটককৃত ব্যক্তিদের স্বজনদের।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ-কমিশনার রবিউল ইসলাম ঘটনার পরপর-ই সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জুলাই বিপ্লবের একজন নেতার ওপর হামলার ঘটনার পর থেকে মহানগর পুলিশের একাধিক দল হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে কাজ শুরু করেছে। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে সকলে মাঠে সরব রয়েছেন মহানগর পুলিশের সদস্যরা। এছারা গোয়েন্দা বিভাগসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও মাঠে কাজ করছেন বলেও জানা গেছে।
তিনি বলেন, গাজীপুরের সালনা থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ। পথে মহানগরীর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছালে যানজটে আটকে থাকা অবস্থায় কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে এসে একদল দুর্বৃত্ত তার গাড়ীতে হামলা করে দ্রুত পালিয়ে যায়। হামলায় তার গাড়ীর একটি গ্লাস ভেঙ্গে যায়। এতে তিনি হাতে আঘাত প্রাপ্ত হন।। এ হামলার ঘটনায় মামলার মূল দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ প্রকৃয়াধীন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় এনসিপির জেলা সমন্বয়ক এক নেতা ১শ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন নগরীর বাসন মেট্রো থানায়।
এ ব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) জাহিদ হাসান জানান, আটককৃতদের বিভিন্ন তথ্য যাচাই করে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান চলমান রয়েছে।
গাজীপুর প্রতিনিধি :
০৫ মে, ২০২৫, 11:46 PM

গাজীপুরে হাসনাত আবদুল্লার গাড়িতে হামলার ঘটনায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের হয়েছে। ১০০ জনকে আসামী করে নগরীর বাসন মেট্রো থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন গাজীপুর জেলা সদরের এনসিপির এক নেতা খন্দকার আল-আমিন। জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চল কেন্দ্রীয় সংগঠক আব্দুল্লা আল-মুহিম জানান মামলায় প্রায় শতজনের কাছাকাছি ব্যাক্তিকে আসামী করা হয়েছে।
গাজীপুর জেলা সদরের সংগঠক খন্দকার আল-আমিন বলেন, ১০০ জনকে আসামী করা হয়েছে এ হত্যাচেষ্টা মামলায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ও বিভিন্ন সংস্থা দোষীদের চিহ্নিত করে ব্যাবস্থা নিবে এমনটি প্রত্যাশা জানান সাংবাদিকদের কাছে এনসিপির মহানগর জেলা, উপজেলাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
গাজীপুরে এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লার উপর হামলার ঘটনায় ৫৪জনকে আটক করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। এর মধ্যে সদর থানায় - ৫জন, বাসন থানায় - ১২জন, কোনাবাড়ী থানায় - ৬জন, কাশিমপুর থানা - ২জন, গাছা থানা - ৪জন, পূবাইল থানা - ৫জন, টঙ্গী পূর্ব থানা - ১জন, টঙ্গী পশ্চিম থানা - ৩জন, ডিবি উত্তর - ৯জন ও ডিবি দক্ষিণ - ৭জন আটক করে। সদস্যরা। তবে পুলিশ বলছেন, হাসনাত আব্দুল্লাহকে হামলার ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।
তবে আটক ব্যক্তিদের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। জিএমপি'র সিটিএসবি'র সি আই ও-১ সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (৫মে) বেলা সোয়া ১২টার দিকে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লার গাড়িতে হামলার ঘটনায় নগরীর বিভিন্ন থানায় চিরুনি অভিযানে ৫৪জন'কে আটক করা হয়েছে। তাদের যাচাই-বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চিরুনি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে আটককৃতদের নাম পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
এ ঘটনায় তদন্ত করে আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। তবে হামলার ঘটনায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। তবে হামলায় জড়িত মটরসাইকেল আরোহী কারা ছিলো ক'জন ছিলো এ বিষয়ে কিছু জানায়নি পুলিশ।
মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় মহানগর পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে আটকের পর থানায় ভিড় করতে দেখা গেছে আটককৃত ব্যক্তিদের স্বজনদের।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ-কমিশনার রবিউল ইসলাম ঘটনার পরপর-ই সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জুলাই বিপ্লবের একজন নেতার ওপর হামলার ঘটনার পর থেকে মহানগর পুলিশের একাধিক দল হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে কাজ শুরু করেছে। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে সকলে মাঠে সরব রয়েছেন মহানগর পুলিশের সদস্যরা। এছারা গোয়েন্দা বিভাগসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও মাঠে কাজ করছেন বলেও জানা গেছে।
তিনি বলেন, গাজীপুরের সালনা থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ। পথে মহানগরীর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছালে যানজটে আটকে থাকা অবস্থায় কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে এসে একদল দুর্বৃত্ত তার গাড়ীতে হামলা করে দ্রুত পালিয়ে যায়। হামলায় তার গাড়ীর একটি গ্লাস ভেঙ্গে যায়। এতে তিনি হাতে আঘাত প্রাপ্ত হন।। এ হামলার ঘটনায় মামলার মূল দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ প্রকৃয়াধীন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় এনসিপির জেলা সমন্বয়ক এক নেতা ১শ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন নগরীর বাসন মেট্রো থানায়।
এ ব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) জাহিদ হাসান জানান, আটককৃতদের বিভিন্ন তথ্য যাচাই করে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান চলমান রয়েছে।