ঢাকা ১০ অক্টোবর, ২০২৫
শিরোনামঃ
নেত্রকোনায় মুদি দোকানিকে গলা কেটে হত্যা শ্রমবাজার সম্প্রসারণে ভিসা জটিলতা দূর করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা বেসরকারি টিভি চ্যানেলসমূহের আচরণবিধি জনসম্মুখে প্রকাশ করতে তথ্য উপদেষ্টার আহ্বান আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী সহ ৩ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা সাংবাদিককে আইনজীবীর হুমকি, ভূমিদস্যু-জালিয়াত চক্রের দৌরাত্ম্য শেষ কোথায় ? ইসলামী ব্যাংকে অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন শিবপুরে স্টার সিএনজি স্টেশনের নামে মিথ্যা অপপ্রচার এবং চাঁদা দাবি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ জ্বর হওয়ার সাথে সাথে ডেঙ্গু পরীক্ষার অনুরোধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সীমান্ত থেকে গাঁজা এনে রাজশাহীতে সরবরাহ: ‘বিবিজান’ চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জে নারী শিক্ষায় অবদান রাখছে জৈতুন নাহার

#
news image

নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত  জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজে শিক্ষার পরিবেশ অক্ষুণ্ন রয়েছে।শিক্ষক, ক্লাসরুম, বিজ্ঞান ভবন, একাডেমিক ভবন, ছাত্রী নিবাসসহ, এবং মনোরম পরিবেশে নারী শিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছে এ কলেজটি।
 
কলেজ সূত্রে জানা যায়,২ একর ৩১ শতাংশ জমির উপর ৯ ডিসেম্বর ২০১০  সালে জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজটি স্থাপিত হয়। কলেজটি এমপিওভুক্ত ২০২২ সালে।কলেজটি প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, এবং কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বেলায়েত হােসেন অবদান রাখেন।
 
এই কলেজে অধ্যক্ষ ১জন,উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি সব মিলিয়ে প্রভাষক ৩০ জন, স্টাফ ৯জন রয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকে ৪৮০জন শিক্ষার্থী, এবং ডিগ্রি পর্যায়েও শিক্ষার্থী রয়েছে।  
 
এ কলেজে একটি পাঠাগার রয়েছে,এতে প্রায় সহস্রাধিক অধিক বই সংগৃহীত আছ,। কলেজে ১০০ আসনের ৪ তলা বিশিষ্ট একটি ছাত্রী নিবাস রয়েছে। 
 
কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বেলায়েত হােসেন "দৈনিক আজকালের কন্ঠ" কে বলেন,দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। তাই নারীদের শিক্ষার বাহিরে রেখে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব না। নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সরকারি মুজিব কলেজে সহশিক্ষা চালু থাকলেও রক্ষণশীল পরিবারের মেয়েদের জন্য সহশিক্ষায় শিক্ষাগ্রহণ বাধাগ্রস্ত হওয়া কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় একটি মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
 
এই প্রেক্ষিতে স্থানীয় নাগরিক সমাজের আন্তরিক প্রয়াসে ২০১০ সালে জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কলেজটি নোয়াখালী জেলার  অন্যতম নারীশিক্ষা কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ক্রমে ক্রমে কলেজের ভবন এবং শিক্ষার পরিসর বাড়তে থাকে। অপরিহার্য বিবেচনায়  ২০২২ সালে কলেজটি এমপিওভুক্ত করা হয়। তখন কলেজের নামকরণ হয় 'জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজ'। 
 
নারীশিক্ষায় কলেজটি শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রসহ অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমে কলেজটি সাধ্যমত ভূমিকা রেখে আসছে।  উচ্চমাধ্যমিক এবং ডিগ্রি(পাস) পর্যায়ে এখানে পাঠদান করা হয়। বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় কলেজের সামগ্রিক ফলাফল সন্তোষজনক। এই মান আরও উন্নীত করতে কলেজ প্রশাসনের নেতৃত্বে কলেজের নিবেদিত শিক্ষকবৃন্দ আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
 
হাতের মুঠোয় তথ্যপ্রাপ্তির সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য কলেজের নিজস্ব ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। ছাত্রীরা এবং তাদের অভিভাবকবৃন্দ ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত পেতে এই ওয়েবসাইট ভূমিকা রাখবে। এছাড়া বর্তমানে সমগ্র কলেজ চত্তর সিসিটিভির আওতায় এনে শৃঙ্খলা এবং সার্বিক পরিবেশ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হয়। অধিকতর বোধগম্যভাবে পাঠ উপস্থাপনের জন্য বেশ কয়েকটি শ্রেণিকক্ষে ইতোমধ্যে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে।

শাহাদাত হোসেন, নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:

২০ এপ্রিল, ২০২৫,  6:40 PM

news image

নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত  জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজে শিক্ষার পরিবেশ অক্ষুণ্ন রয়েছে।শিক্ষক, ক্লাসরুম, বিজ্ঞান ভবন, একাডেমিক ভবন, ছাত্রী নিবাসসহ, এবং মনোরম পরিবেশে নারী শিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছে এ কলেজটি।
 
কলেজ সূত্রে জানা যায়,২ একর ৩১ শতাংশ জমির উপর ৯ ডিসেম্বর ২০১০  সালে জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজটি স্থাপিত হয়। কলেজটি এমপিওভুক্ত ২০২২ সালে।কলেজটি প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, এবং কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বেলায়েত হােসেন অবদান রাখেন।
 
এই কলেজে অধ্যক্ষ ১জন,উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি সব মিলিয়ে প্রভাষক ৩০ জন, স্টাফ ৯জন রয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকে ৪৮০জন শিক্ষার্থী, এবং ডিগ্রি পর্যায়েও শিক্ষার্থী রয়েছে।  
 
এ কলেজে একটি পাঠাগার রয়েছে,এতে প্রায় সহস্রাধিক অধিক বই সংগৃহীত আছ,। কলেজে ১০০ আসনের ৪ তলা বিশিষ্ট একটি ছাত্রী নিবাস রয়েছে। 
 
কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বেলায়েত হােসেন "দৈনিক আজকালের কন্ঠ" কে বলেন,দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। তাই নারীদের শিক্ষার বাহিরে রেখে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব না। নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় সরকারি মুজিব কলেজে সহশিক্ষা চালু থাকলেও রক্ষণশীল পরিবারের মেয়েদের জন্য সহশিক্ষায় শিক্ষাগ্রহণ বাধাগ্রস্ত হওয়া কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় একটি মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
 
এই প্রেক্ষিতে স্থানীয় নাগরিক সমাজের আন্তরিক প্রয়াসে ২০১০ সালে জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কলেজটি নোয়াখালী জেলার  অন্যতম নারীশিক্ষা কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ক্রমে ক্রমে কলেজের ভবন এবং শিক্ষার পরিসর বাড়তে থাকে। অপরিহার্য বিবেচনায়  ২০২২ সালে কলেজটি এমপিওভুক্ত করা হয়। তখন কলেজের নামকরণ হয় 'জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজ'। 
 
নারীশিক্ষায় কলেজটি শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রসহ অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমে কলেজটি সাধ্যমত ভূমিকা রেখে আসছে।  উচ্চমাধ্যমিক এবং ডিগ্রি(পাস) পর্যায়ে এখানে পাঠদান করা হয়। বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় কলেজের সামগ্রিক ফলাফল সন্তোষজনক। এই মান আরও উন্নীত করতে কলেজ প্রশাসনের নেতৃত্বে কলেজের নিবেদিত শিক্ষকবৃন্দ আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
 
হাতের মুঠোয় তথ্যপ্রাপ্তির সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য কলেজের নিজস্ব ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। ছাত্রীরা এবং তাদের অভিভাবকবৃন্দ ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত পেতে এই ওয়েবসাইট ভূমিকা রাখবে। এছাড়া বর্তমানে সমগ্র কলেজ চত্তর সিসিটিভির আওতায় এনে শৃঙ্খলা এবং সার্বিক পরিবেশ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হয়। অধিকতর বোধগম্যভাবে পাঠ উপস্থাপনের জন্য বেশ কয়েকটি শ্রেণিকক্ষে ইতোমধ্যে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে।