সংস্কার, বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের পিছু হটার সুযোগ নেই : এবি পার্টি চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক :
১৬ মার্চ, ২০২৫, 4:26 AM

সংস্কার, বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের পিছু হটার সুযোগ নেই : এবি পার্টি চেয়ারম্যান
কাঙ্ক্ষিত সংস্কার, যথাযথ বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের পিছু হটার কোন সুযোগ নেই-মন্তব্য করে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জাতি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ প্রত্যাশা করে। কিন্তু আপনারা জানেন, আমরা অনেকেই ইতোমধ্যে যথেষ্ট অস্থির হয়ে গেছি। আমাদের মধ্যে অনেক বেশি অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। পাচ্ছি।
তিনি বলেন, এই সরকার যদি সংস্কার না করে, তবে কেন ক্ষমতায় এলো? এই সরকার যদি আমাদের সেই পুরানো ব্যবস্থার পরিবর্তন করে দিয়ে যেতে না পারে তাহলে সেই পরিবর্তন কে করবে? কারণ আমরা তো জানি যে, প্রথাগত রাজনৈতিক দলগুলো এই পরিবর্তনের জায়গায় এসে বারবার থমকে যায়, ৯০এর গণঅভ্যুত্থানের পরেও আমরা দেখেছি, আমরা যা আশা করেছিলাম, সেই আশা পূর্ণ হয়নি।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর হোটেল আগ্রাবাদের ইছামতি হলে রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, পেশাজীবী ও ব্যবসায়ীদের সম্মানে এবি পার্টির ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বাংলাদেশের প্রশাসন থেকে শুরু করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আমরা যারা এই সরকারের সময়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছি, যারা এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সমাজে তাদের স্বীকৃতি ফিরে পেয়েছেন।
আপনারা কি জানেন, যদি সংস্কার না হয়, বিচার না হয়, যদি আবার পুরানো রাজনৈতিক বন্দোবস্তে আমরা থাকি, তাহলে ২০ কিংবা ২৫ বছর পরে যদি আবার ফ্যাসিবাদ ফিরে আসে, সেদিন আমরা-আপনারা যারা সংগ্রাম করেছি, প্রত্যেককেই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সবসময় বিচারের কথা বলি, আমাদের বেদনার কথা বলি। কিন্তু যেই শিশু-কিশোরকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে বারান্দায় ছাদের উপরে হত্যা করা হয়েছে, যেই নিরপরাধ মানুষগুলোকে মেরে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, যাদের পিতামাতার পরিচয় পাওয়া যায়নি এখনো পর্যন্ত, তাদের রক্তের জীবনের বিচারটা কে করবে ?
সেইজন্য আমরা বলেছি, এই সরকারকে একটা দৃশ্যমান বিচার শুরু করতে হবে। এবং এরপর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে একটা স্বাভাবিক অবস্থায় এনে ইতিহাসের একটা স্মরণীয় নির্বাচন দিয়ে বাংলাদেশকে একটা নতুন নজির সৃষ্টি করতে হবে। যদি তা না হয়, তাহলে আমাদের এই রক্তদান আমাদের এই স্বপ্ন, আমাদের এই প্রত্যাশা ব্যর্থ হবে।
মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, এই পবিত্র রমজান আমাদেরকে যেভাবে আত্মত্যাগ শিখিয়েছে, আমাদের সকলকে একত্রিত করার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, আমাদেরকে একটা টেকসই ঐক্য তৈরি করতে হবে। এবং যেই টেকসই ঐক্য শুধু পার্লামেন্ট নির্বাচন না, আগামী ১০বছর বাংলাদেশকে একটা সঠিক অবস্থানে ফিরিয়ে নেয়ার স্বপ্ন নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। যদি আমরা শুধু সামনের নির্বাচনের বিজয়টাকে বিজয় হিসেবে দেখি, তাহলে পরবর্তীতে একটা ভয়ানক বিচার আমাদের জন্য অপেক্ষা করবে। সেই বিচার থেকে আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুক।
তিনি বলেন, আমরা যাতে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে পরস্পর একটা সুন্দর বাংলাদেশ উপহার পেতে পারি, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমরা সেই স্বপ্নকে সামনে রেখে এবি পার্টি গঠন করেছি। যে পার্টির মূলনীতিই হচ্ছে সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সুবিচার। যার ভিত্তিতে একটা কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখি।
এবি পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক আ্যাডভোকেট গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার লোকমান হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য এ বি ছিদ্দিক, কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ মাহমুদ রুমেল প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
১৬ মার্চ, ২০২৫, 4:26 AM

কাঙ্ক্ষিত সংস্কার, যথাযথ বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের পিছু হটার কোন সুযোগ নেই-মন্তব্য করে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জাতি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ প্রত্যাশা করে। কিন্তু আপনারা জানেন, আমরা অনেকেই ইতোমধ্যে যথেষ্ট অস্থির হয়ে গেছি। আমাদের মধ্যে অনেক বেশি অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। পাচ্ছি।
তিনি বলেন, এই সরকার যদি সংস্কার না করে, তবে কেন ক্ষমতায় এলো? এই সরকার যদি আমাদের সেই পুরানো ব্যবস্থার পরিবর্তন করে দিয়ে যেতে না পারে তাহলে সেই পরিবর্তন কে করবে? কারণ আমরা তো জানি যে, প্রথাগত রাজনৈতিক দলগুলো এই পরিবর্তনের জায়গায় এসে বারবার থমকে যায়, ৯০এর গণঅভ্যুত্থানের পরেও আমরা দেখেছি, আমরা যা আশা করেছিলাম, সেই আশা পূর্ণ হয়নি।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর হোটেল আগ্রাবাদের ইছামতি হলে রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, পেশাজীবী ও ব্যবসায়ীদের সম্মানে এবি পার্টির ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বাংলাদেশের প্রশাসন থেকে শুরু করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আমরা যারা এই সরকারের সময়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছি, যারা এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সমাজে তাদের স্বীকৃতি ফিরে পেয়েছেন।
আপনারা কি জানেন, যদি সংস্কার না হয়, বিচার না হয়, যদি আবার পুরানো রাজনৈতিক বন্দোবস্তে আমরা থাকি, তাহলে ২০ কিংবা ২৫ বছর পরে যদি আবার ফ্যাসিবাদ ফিরে আসে, সেদিন আমরা-আপনারা যারা সংগ্রাম করেছি, প্রত্যেককেই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সবসময় বিচারের কথা বলি, আমাদের বেদনার কথা বলি। কিন্তু যেই শিশু-কিশোরকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে বারান্দায় ছাদের উপরে হত্যা করা হয়েছে, যেই নিরপরাধ মানুষগুলোকে মেরে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, যাদের পিতামাতার পরিচয় পাওয়া যায়নি এখনো পর্যন্ত, তাদের রক্তের জীবনের বিচারটা কে করবে ?
সেইজন্য আমরা বলেছি, এই সরকারকে একটা দৃশ্যমান বিচার শুরু করতে হবে। এবং এরপর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে একটা স্বাভাবিক অবস্থায় এনে ইতিহাসের একটা স্মরণীয় নির্বাচন দিয়ে বাংলাদেশকে একটা নতুন নজির সৃষ্টি করতে হবে। যদি তা না হয়, তাহলে আমাদের এই রক্তদান আমাদের এই স্বপ্ন, আমাদের এই প্রত্যাশা ব্যর্থ হবে।
মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, এই পবিত্র রমজান আমাদেরকে যেভাবে আত্মত্যাগ শিখিয়েছে, আমাদের সকলকে একত্রিত করার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, আমাদেরকে একটা টেকসই ঐক্য তৈরি করতে হবে। এবং যেই টেকসই ঐক্য শুধু পার্লামেন্ট নির্বাচন না, আগামী ১০বছর বাংলাদেশকে একটা সঠিক অবস্থানে ফিরিয়ে নেয়ার স্বপ্ন নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। যদি আমরা শুধু সামনের নির্বাচনের বিজয়টাকে বিজয় হিসেবে দেখি, তাহলে পরবর্তীতে একটা ভয়ানক বিচার আমাদের জন্য অপেক্ষা করবে। সেই বিচার থেকে আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুক।
তিনি বলেন, আমরা যাতে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে পরস্পর একটা সুন্দর বাংলাদেশ উপহার পেতে পারি, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমরা সেই স্বপ্নকে সামনে রেখে এবি পার্টি গঠন করেছি। যে পার্টির মূলনীতিই হচ্ছে সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সুবিচার। যার ভিত্তিতে একটা কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখি।
এবি পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক আ্যাডভোকেট গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার লোকমান হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য এ বি ছিদ্দিক, কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ মাহমুদ রুমেল প্রমুখ।