নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলবে বেক্সিমকো; থাকছে না রিসিভার

নিজস্ব প্রতিবেদক :
১২ মার্চ, ২০২৫, 7:24 PM

নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলবে বেক্সিমকো; থাকছে না রিসিভার
বেক্সিমকো গ্রুপ অব কোম্পানিজ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলবে বলে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট বিভাগ।
এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কঠোর মনিটরিংয়ে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে চলবে বেক্সিমকো গ্রুপের সব প্রতিষ্ঠান বলে জানান আইনজীবীরা।
আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস ও আইনজীবী ব্যারিস্টার মুনীরুজ্জামান। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও আইনজীবী আনিসুল হাসান। রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মাসুদ আর সোবহান।
সিনিয়র এডভোকেট মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে একজন জনস্বার্থে রিট আবেদন করেন। সেই রিটের প্রেক্ষিতে ৫ সেপ্টেম্বর বেক্সিমকো গ্রুপের সকল প্রতিষ্ঠানে রিসিভার নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট বিভাগ।
পরবর্তীতে বেক্সিমকো ফার্মা আপিলে যায়। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশটি মডিফাই করে শুধু ফার্মাকে নিজস্ব পরিচালনা করার অনুমতি দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো রিসিভার নিয়োগ করেছিল। পরে হাইকোর্ট শুনানি শেষে আজ সেই রুলটি নিষ্পত্তি করে।
আদালত নয়টি পর্যবেক্ষণসহ রুলটি নিষ্পত্তি করেছে। রুল নিষ্পত্তির কারণে সেই রিসিভারগুলো আর থাকল না। এই কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা তারা নিজেরা করবেন। তবে আদালত বলেছেন, এসব প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ রেগুলেটরি বডির সুপারভিশন ও মনিটরিং আইন অনুযায়ী থাকবে।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান এ বিষয়ে একটি রিট করেন। ওই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট আদেশ দেন। আদেশে বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি দেখভাল করার জন্য রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ছয় মাসের জন্য গ্রুপটির সকল সম্পত্তি সংযুক্ত (অ্যাটাচ) করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া বেক্সিমকো গ্রুপের সব কোম্পানির তথ্য সরবরাহে, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কী পরিমাণ অপরিশোধিত ঋণ আছে, ঋণের বর্তমান অবস্থা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি দেখভাল করার জন্য রিসিভার নিয়োগে ও সম্পত্তি সংযুক্ত করতে রুল জারি করা হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থসচিব, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সালমান এফ রহমানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পক্ষে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করা হয়। আপিল বিভাগ গত ১২ নভেম্বর শুধু বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ক্ষেত্রে ‘রিসিভার’ নিয়োগের আদেশ স্থগিত করেন। পাশাপাশি বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে এ-সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
১২ মার্চ, ২০২৫, 7:24 PM

বেক্সিমকো গ্রুপ অব কোম্পানিজ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলবে বলে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট বিভাগ।
এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কঠোর মনিটরিংয়ে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে চলবে বেক্সিমকো গ্রুপের সব প্রতিষ্ঠান বলে জানান আইনজীবীরা।
আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস ও আইনজীবী ব্যারিস্টার মুনীরুজ্জামান। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও আইনজীবী আনিসুল হাসান। রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মাসুদ আর সোবহান।
সিনিয়র এডভোকেট মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে একজন জনস্বার্থে রিট আবেদন করেন। সেই রিটের প্রেক্ষিতে ৫ সেপ্টেম্বর বেক্সিমকো গ্রুপের সকল প্রতিষ্ঠানে রিসিভার নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট বিভাগ।
পরবর্তীতে বেক্সিমকো ফার্মা আপিলে যায়। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশটি মডিফাই করে শুধু ফার্মাকে নিজস্ব পরিচালনা করার অনুমতি দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো রিসিভার নিয়োগ করেছিল। পরে হাইকোর্ট শুনানি শেষে আজ সেই রুলটি নিষ্পত্তি করে।
আদালত নয়টি পর্যবেক্ষণসহ রুলটি নিষ্পত্তি করেছে। রুল নিষ্পত্তির কারণে সেই রিসিভারগুলো আর থাকল না। এই কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা তারা নিজেরা করবেন। তবে আদালত বলেছেন, এসব প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ রেগুলেটরি বডির সুপারভিশন ও মনিটরিং আইন অনুযায়ী থাকবে।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান এ বিষয়ে একটি রিট করেন। ওই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট আদেশ দেন। আদেশে বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি দেখভাল করার জন্য রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ছয় মাসের জন্য গ্রুপটির সকল সম্পত্তি সংযুক্ত (অ্যাটাচ) করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া বেক্সিমকো গ্রুপের সব কোম্পানির তথ্য সরবরাহে, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কী পরিমাণ অপরিশোধিত ঋণ আছে, ঋণের বর্তমান অবস্থা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি দেখভাল করার জন্য রিসিভার নিয়োগে ও সম্পত্তি সংযুক্ত করতে রুল জারি করা হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থসচিব, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সালমান এফ রহমানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পক্ষে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করা হয়। আপিল বিভাগ গত ১২ নভেম্বর শুধু বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ক্ষেত্রে ‘রিসিভার’ নিয়োগের আদেশ স্থগিত করেন। পাশাপাশি বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে এ-সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।