হবিগঞ্জ জেলাজুড়ে গ্রেফতার ১০ আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে

মোঃ রিপন মিয়া, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 4:20 PM

হবিগঞ্জ জেলাজুড়ে গ্রেফতার ১০ আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে
যৌথ বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনে হামলায় জড়িত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও মামলার আসামীদের গ্রেফতার মরিয়া হয়ে উঠেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে ডেভিলহান্ট অভিযানে জেলা বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ মানিক মিয়া ও বুধবার দিবাগত রাতে মাধবপুর পৌর যুবলীগ নেতা পরিতোষ মালাকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে, গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আত্মগোপন ও দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন অনেকেই। পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনে হামলা ও মামলায় জড়িত নয় এমন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যেও গ্রেফতার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গ্রেফতারের ভয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে উঠেছেন অনেকেই। দিন-রাত পার করছেন হতাশায়।
পুলিশ জানায়, জেলাজুড়ে বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনে হামলার সাথে জড়িত ও মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ। বিভিন্ন এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে হামলা-মামলায় জড়িত নয়, এমন ব্যক্তিদের গ্রেফতার বা হয়রানী থেকে বিরত রয়েছে পুলিশ। যাচাই-বাছাই ও তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। অনেক আসামী আত্মগোপনে ও দেশের বাহিরে থাকায় তাদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না।
জানা যায়, গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) সারাদেশে অপারেশন ডেভিলহান্ট নামে বিশেষ অভিযান পরিচালনা শুরু করে যৌথ বাহিনী। এরপর থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন চিহ্নিত আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত হবিগঞ্জ সদর-বাহুবল, শায়েস্তাগঞ্জ, নবীগঞ্জ, লাখাই ও মাধবপুর উপজেলা থেকে ১০ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি মানিক মিয়াকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। সদর থানার ওসি আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শহরের সিনেমা হল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গতকাল তাকে আটক করেন। তিনি ওই এলাকার রইছ উল্লার ছেলে। এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে মাধবপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সরকারি বেসরকারি স্থাপনা ভাংচুরের অভিযোগে যুবলীগ নেতা পরিতোষ মালাকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মাধবপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই শাহনূর এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ পৌরসভার কাছারি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। পরিতোষ মালাকার মাধবপুর পৌরসভার মালাকার পাড়ার চানধন মালাকারের ছেলে ও ২নং ওয়ার্ড যুবলীগেরর সাংগঠনিক সম্পাদক।
মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ৪ আগস্ট মাধবপুর উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মামলার তদন্তে পরিতোষ মালাকার এর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর ওসি আলমগীর কবির বলেন, ‘ডেভিল হান্ট অপারেশন অব্যাহত রয়েছে। বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনে হামলার সাথে জড়িত ও মামলার আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে। নিরাপরাধ ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও হয়রানী করা হবে না। যাচাই-বাছাই ও তদন্ত করে আসামীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। হামলা-মামলায় জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না’।
মোঃ রিপন মিয়া, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, 4:20 PM

যৌথ বাহিনীর অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনে হামলায় জড়িত আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও মামলার আসামীদের গ্রেফতার মরিয়া হয়ে উঠেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে ডেভিলহান্ট অভিযানে জেলা বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ মানিক মিয়া ও বুধবার দিবাগত রাতে মাধবপুর পৌর যুবলীগ নেতা পরিতোষ মালাকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে, গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আত্মগোপন ও দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন অনেকেই। পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনে হামলা ও মামলায় জড়িত নয় এমন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যেও গ্রেফতার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গ্রেফতারের ভয়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে উঠেছেন অনেকেই। দিন-রাত পার করছেন হতাশায়।
পুলিশ জানায়, জেলাজুড়ে বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনে হামলার সাথে জড়িত ও মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ। বিভিন্ন এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে হামলা-মামলায় জড়িত নয়, এমন ব্যক্তিদের গ্রেফতার বা হয়রানী থেকে বিরত রয়েছে পুলিশ। যাচাই-বাছাই ও তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। অনেক আসামী আত্মগোপনে ও দেশের বাহিরে থাকায় তাদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না।
জানা যায়, গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) সারাদেশে অপারেশন ডেভিলহান্ট নামে বিশেষ অভিযান পরিচালনা শুরু করে যৌথ বাহিনী। এরপর থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন চিহ্নিত আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত হবিগঞ্জ সদর-বাহুবল, শায়েস্তাগঞ্জ, নবীগঞ্জ, লাখাই ও মাধবপুর উপজেলা থেকে ১০ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি মানিক মিয়াকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। সদর থানার ওসি আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ শহরের সিনেমা হল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গতকাল তাকে আটক করেন। তিনি ওই এলাকার রইছ উল্লার ছেলে। এর আগে বুধবার দিবাগত রাতে মাধবপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সরকারি বেসরকারি স্থাপনা ভাংচুরের অভিযোগে যুবলীগ নেতা পরিতোষ মালাকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মাধবপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই শাহনূর এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ পৌরসভার কাছারি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। পরিতোষ মালাকার মাধবপুর পৌরসভার মালাকার পাড়ার চানধন মালাকারের ছেলে ও ২নং ওয়ার্ড যুবলীগেরর সাংগঠনিক সম্পাদক।
মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ৪ আগস্ট মাধবপুর উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মামলার তদন্তে পরিতোষ মালাকার এর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর ওসি আলমগীর কবির বলেন, ‘ডেভিল হান্ট অপারেশন অব্যাহত রয়েছে। বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনে হামলার সাথে জড়িত ও মামলার আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে। নিরাপরাধ ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও হয়রানী করা হবে না। যাচাই-বাছাই ও তদন্ত করে আসামীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। হামলা-মামলায় জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না’।