নেত্রকোনায় সরস্বতী পূজাকে সামনে রেখে ব্যস্ত প্রতিমা শিল্পীরা
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা :
২৭ জানুয়ারি, ২০২৫, 5:13 PM
নেত্রকোনায় সরস্বতী পূজাকে সামনে রেখে ব্যস্ত প্রতিমা শিল্পীরা
সরস্বতী পূজাকে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নেত্রকোনার মৃৎশিল্পীরা। নিখুঁত হাতের কারুকার্য দিয়ে মৃৎশিল্পীরা তৈরি করছেন ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির প্রতিমা। মৃৎশিল্পীরা তাদের তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলছেন সরস্বতী প্রতিমার মুখ।
সরেজমিনে জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখাগেছে, মৃৎশিল্পীদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। রাতদিন পরিশ্রম করে মাটি দিয়ে দেবীর অবয়ব নির্মাণ করছেন কারিগররা। পূজার সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন তারা।
জেলা ও বারহাট্টা উপজেলা সদরের কয়েকজন মৃতশিল্পীর সাথে কথা বললে তারা জানান, ইতোমধ্যে তারা ছোট-বড় অনেক প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ করেছেন। এখন ভক্তদের চাহিদা মোতাবেক চলছে প্রতিমার অবয়ব ও গায়ে রঙের প্রলেপ দেওয়ার কাজ। ভক্তরা যেভাবে দেবী সরস্বতীকে উপস্থাপন করতে চাচ্ছেন, কারিগররাও ঠিক সেভাবেই তাদের কাজ করে যাচ্ছেন।
জেলা সদরের কালী বাড়ি এলাকায় প্রতিমা তৈরি করতে আসা শিল্পী শ্যামল পাল বলেন, গত বছর ৩০০টি প্রতিমা তৈরীর কাজ করেছিলেন তিনি। এবার ছোট-বড় মিলিয়ে ২৫০টির মত প্রতিমা করেছেন। সবকয়টি প্রতিমার কাজ প্রায় শেষের পথে। এখন চলছে রং তুলির কাজ। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিমা তৈরির জিনিসপত্রের মূল্য বেশী। কিন্তু সে তুলনায় প্রতিমার দাম পাচ্ছেন তুলনামূলক কম।
বারহাট্টা উপজেলা সদরের আসমা বাজারের মদনমোহন সেবাশ্রমের প্রতিমা তৈরির কারিগর অখিল পাল বলেন, তিনি এবছর ১০টি প্রতিমার অগ্রিম বায়না পেয়েছেন। এছাড়া ছোট-বড় মিলিয়ে আরো ৪০টি প্রতিমা তৈরি করেছেন যা বিভিন্ন হাটে বিক্রি করবেন। রঙের কাজ শেষ করার আগেই আমার প্রতিমার অধিকাংশ বায়না হয়ে গেছে। একেকটা ছোট-বড় প্রতিমা পাঁচশত টাকা থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।‘ তিনি আরো বলেন, প্রতিমার ন্যায্যমূল্য পাওয়া না গেলেও ধর্মের কাজের জন্য প্রতিমা তৈরি ও বিক্রি করছেন।
ভক্তরা বলছেন, মূর্তি গড়ার শেষ মূহুর্তে বিদ্যা দেবী সরস্বতীকে বরণ করতে এখন দিন রাত নতুন নতুন সপ্ন বুনে চলেছেন এলাকার সনাতন ধর্মালম্বীরা। দেবীকে মহা আনন্দে বরণ করে নিতে সর্বত্র জেনো আনন্দ ঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের শিশু, নারী-পুরুষসহ সব বয়সী মানুষ, বিদ্যা, জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে উৎসবকে স্বার্থক করতে প্রহর গুনছে প্রতি মূহুর্তে। সব মিলিয়ে সুষ্ঠু এবং সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হবে পূজার সকল প্রস্তুতি এমনটাই প্রত্যাশা সকল ভক্তদের।
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা :
২৭ জানুয়ারি, ২০২৫, 5:13 PM
সরস্বতী পূজাকে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নেত্রকোনার মৃৎশিল্পীরা। নিখুঁত হাতের কারুকার্য দিয়ে মৃৎশিল্পীরা তৈরি করছেন ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির প্রতিমা। মৃৎশিল্পীরা তাদের তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলছেন সরস্বতী প্রতিমার মুখ।
সরেজমিনে জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখাগেছে, মৃৎশিল্পীদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। রাতদিন পরিশ্রম করে মাটি দিয়ে দেবীর অবয়ব নির্মাণ করছেন কারিগররা। পূজার সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন তারা।
জেলা ও বারহাট্টা উপজেলা সদরের কয়েকজন মৃতশিল্পীর সাথে কথা বললে তারা জানান, ইতোমধ্যে তারা ছোট-বড় অনেক প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ করেছেন। এখন ভক্তদের চাহিদা মোতাবেক চলছে প্রতিমার অবয়ব ও গায়ে রঙের প্রলেপ দেওয়ার কাজ। ভক্তরা যেভাবে দেবী সরস্বতীকে উপস্থাপন করতে চাচ্ছেন, কারিগররাও ঠিক সেভাবেই তাদের কাজ করে যাচ্ছেন।
জেলা সদরের কালী বাড়ি এলাকায় প্রতিমা তৈরি করতে আসা শিল্পী শ্যামল পাল বলেন, গত বছর ৩০০টি প্রতিমা তৈরীর কাজ করেছিলেন তিনি। এবার ছোট-বড় মিলিয়ে ২৫০টির মত প্রতিমা করেছেন। সবকয়টি প্রতিমার কাজ প্রায় শেষের পথে। এখন চলছে রং তুলির কাজ। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিমা তৈরির জিনিসপত্রের মূল্য বেশী। কিন্তু সে তুলনায় প্রতিমার দাম পাচ্ছেন তুলনামূলক কম।
বারহাট্টা উপজেলা সদরের আসমা বাজারের মদনমোহন সেবাশ্রমের প্রতিমা তৈরির কারিগর অখিল পাল বলেন, তিনি এবছর ১০টি প্রতিমার অগ্রিম বায়না পেয়েছেন। এছাড়া ছোট-বড় মিলিয়ে আরো ৪০টি প্রতিমা তৈরি করেছেন যা বিভিন্ন হাটে বিক্রি করবেন। রঙের কাজ শেষ করার আগেই আমার প্রতিমার অধিকাংশ বায়না হয়ে গেছে। একেকটা ছোট-বড় প্রতিমা পাঁচশত টাকা থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।‘ তিনি আরো বলেন, প্রতিমার ন্যায্যমূল্য পাওয়া না গেলেও ধর্মের কাজের জন্য প্রতিমা তৈরি ও বিক্রি করছেন।
ভক্তরা বলছেন, মূর্তি গড়ার শেষ মূহুর্তে বিদ্যা দেবী সরস্বতীকে বরণ করতে এখন দিন রাত নতুন নতুন সপ্ন বুনে চলেছেন এলাকার সনাতন ধর্মালম্বীরা। দেবীকে মহা আনন্দে বরণ করে নিতে সর্বত্র জেনো আনন্দ ঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের শিশু, নারী-পুরুষসহ সব বয়সী মানুষ, বিদ্যা, জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে উৎসবকে স্বার্থক করতে প্রহর গুনছে প্রতি মূহুর্তে। সব মিলিয়ে সুষ্ঠু এবং সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হবে পূজার সকল প্রস্তুতি এমনটাই প্রত্যাশা সকল ভক্তদের।