বাগেরহাটে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজী, ইউপি সদস্যের স্বামীসহ ২ জন কারাগারে
জেলা প্রতিনিধি
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪, 6:46 PM
বাগেরহাটে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজী, ইউপি সদস্যের স্বামীসহ ২ জন কারাগারে
বাগেরহাটে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজী,
ইউপি সদস্যের স্বামীসহ ২ জন কারাগারে
বাগেরহাট প্রতিনিধি :
বাগেরহাটে কাস্টগার্ডের কটি (জ্যাকেট) পরে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে
চাঁদাবাজীর অপরাধে নারী ইউপি সদস্যের স্বামীসহ দুই ব্যক্তিকে জেল হাজতে
প্রেরণ করা হয়েছে। রোববার (১৪ জানুয়ারি) বিকেল তাদের আদালতে নেয়া হলে
বিচারক জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর আগে শনিবার রাতে সদর উপজেলার
শুকদারা এলাকা থেকে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের আটক করে। আটককৃতরা
হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার ভট্টবালিয়াঘাটা এলাকার মোঃ আমজাদ হোসেনের
ছেলে আজমল হোসেন(৪৪) এবং খুলনার বটিয়াঘাটা এলাকার সাহেব আলীর ছেলে
আরাফাত শেখ (৩০)। এদের মধ্যে আরাফাত কোস্টগার্ডের কটি পড়া ছিলেন। আজমল
হোসেন সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১ নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি
সদস্যের স্বামী।
পুলিশ জানায়, শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে সিয়াম ও সালমান নামের দুই ভ্যান
চালক গ্রাম থেকে ভাঙ্গারী ক্রয় করে ফেরার পথে ভট্টবালিয়াঘাটা ব্রিজের কাছে
পৌছালে আজমল হোসেন ও আরাফাত গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ভ্যানের গতিরোধ
করে এবং বলে তোদের কাছে চোরাই মাল রয়েছে। পরে ভ্যান চালকদের কাছে ২০ হাজার
টাকা চাঁদাদাবি করেন। এক পর্যায়ে ভ্যানচালকদের আটকে রেখে, ভ্যানের মালামাল
নিয়ে শুকদারা এলাকায় বিক্রি করতে যায়। সন্দেহ হলে শুকদারার ব্যবসায়ীরা আজমল ও
আরাফাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে আরাফত দৌড়ে পালিয়ে
যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এ ঘটনায়
ভ্যান চালক সালমানের ভাই রুপসা উপজেলার রামনগর এলাকার বাসিন্দা মোঃ হেলাল
বাদী থানায় মামলা করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, স্ত্রী ইউপি সদস্য হওয়ায় এলাকায় প্রভাব বিস্তার, চাঁদাবাজী,
মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডের একটি সিন্ডিকেট গড়ে
তুলেছেন আজমল হোসেন। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই হামলা- মামলা দিয়ে
হয়রানি করা হয়।
বাগেরহাট মডেল থানার ওসি তদন্ত নিশি কান্ত সরকার বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ
পরিচয়ে ভ্যান চালকদের আটকে মালামাল নিয়ে বিক্রির সময় দুই জনকে স্থানীয়
ব্যবসায়ীরা আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে আমরা তাদেরকে আটক করি। এ
ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃতদের আদালতের মধ্যমে কারাগারে
পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন অপরাধ করেছেন বলে জানান
এস এম সামছুর রহমান
জেলা প্রতিনিধি
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪, 6:46 PM
বাগেরহাটে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজী,
ইউপি সদস্যের স্বামীসহ ২ জন কারাগারে
বাগেরহাট প্রতিনিধি :
বাগেরহাটে কাস্টগার্ডের কটি (জ্যাকেট) পরে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে
চাঁদাবাজীর অপরাধে নারী ইউপি সদস্যের স্বামীসহ দুই ব্যক্তিকে জেল হাজতে
প্রেরণ করা হয়েছে। রোববার (১৪ জানুয়ারি) বিকেল তাদের আদালতে নেয়া হলে
বিচারক জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর আগে শনিবার রাতে সদর উপজেলার
শুকদারা এলাকা থেকে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের আটক করে। আটককৃতরা
হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার ভট্টবালিয়াঘাটা এলাকার মোঃ আমজাদ হোসেনের
ছেলে আজমল হোসেন(৪৪) এবং খুলনার বটিয়াঘাটা এলাকার সাহেব আলীর ছেলে
আরাফাত শেখ (৩০)। এদের মধ্যে আরাফাত কোস্টগার্ডের কটি পড়া ছিলেন। আজমল
হোসেন সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১ নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি
সদস্যের স্বামী।
পুলিশ জানায়, শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে সিয়াম ও সালমান নামের দুই ভ্যান
চালক গ্রাম থেকে ভাঙ্গারী ক্রয় করে ফেরার পথে ভট্টবালিয়াঘাটা ব্রিজের কাছে
পৌছালে আজমল হোসেন ও আরাফাত গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ভ্যানের গতিরোধ
করে এবং বলে তোদের কাছে চোরাই মাল রয়েছে। পরে ভ্যান চালকদের কাছে ২০ হাজার
টাকা চাঁদাদাবি করেন। এক পর্যায়ে ভ্যানচালকদের আটকে রেখে, ভ্যানের মালামাল
নিয়ে শুকদারা এলাকায় বিক্রি করতে যায়। সন্দেহ হলে শুকদারার ব্যবসায়ীরা আজমল ও
আরাফাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে আরাফত দৌড়ে পালিয়ে
যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এ ঘটনায়
ভ্যান চালক সালমানের ভাই রুপসা উপজেলার রামনগর এলাকার বাসিন্দা মোঃ হেলাল
বাদী থানায় মামলা করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, স্ত্রী ইউপি সদস্য হওয়ায় এলাকায় প্রভাব বিস্তার, চাঁদাবাজী,
মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডের একটি সিন্ডিকেট গড়ে
তুলেছেন আজমল হোসেন। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই হামলা- মামলা দিয়ে
হয়রানি করা হয়।
বাগেরহাট মডেল থানার ওসি তদন্ত নিশি কান্ত সরকার বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ
পরিচয়ে ভ্যান চালকদের আটকে মালামাল নিয়ে বিক্রির সময় দুই জনকে স্থানীয়
ব্যবসায়ীরা আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে আমরা তাদেরকে আটক করি। এ
ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃতদের আদালতের মধ্যমে কারাগারে
পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন অপরাধ করেছেন বলে জানান
এস এম সামছুর রহমান