জিঞ্জিরায় রূপালী ব্যাংকে তিন ডাকাতের আত্মসমর্পণ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, 1:34 AM
জিঞ্জিরায় রূপালী ব্যাংকে তিন ডাকাতের আত্মসমর্পণ
কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরায় রূপালী ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তিন ডাকাত আত্মসমর্পণ করেছে।
কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, ডাকাতদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ এর মধ্যে। কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই এই ব্যাংক ডাকাতদের আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হয়। তিনি বলেন, ডাকাত দল সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আজ দুপুর ১টার দিকে অস্ত্রসহ ব্যাংকে ঢুকে পড়ে। সে সময় ব্যাংক ম্যানেজার শিখর মন্ডল ব্যাংকের বাইরে ছিলেন।
ডাকাতরা পিস্তল বের করে সকলকে যার যার স্থানে থাকতে বলে এবং তারা ক্যাশ কাউন্টারের দিকে এগিয়ে যায়। সে সময় পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে সিকিউরিটি গার্ড প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। তখন ব্যাংকের ভিতরে থাকা গ্রাহকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। গ্রাহকরা ভিতর থেকে নিকটজনকে ফোন করে তাদের অবস্থা জানালে লোকজন এসে ব্যাংকের সামনে জড়ো হয়। এছাড়া ডাকাতির বিষয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়া হলে স্থানীয় এলাকাবাসী ব্যাংকের কাছে এসে অবস্থান নেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া খবর পেয়ে পুলিশকে জানালে দ্রুত পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে।
পরে সেখানে সেনাবাহিনীর বিগ্রেডিয়ার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে অপারেশন পরিচালিত হয়। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘন্টা দফায় দফায় ডাকাতদের সাথে আলোচনার পর সন্ধ্যা পৌণে ৬ টায় ডাকাত দলের তিনজন আত্মসমর্পণ করে। ডাকাতরা জানালা দিয়ে প্রথমে অস্ত্র জমা দেয়। খালি হাতে বের হয়ে এলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ডাকাতদের তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম আরো জানান, ডাকাতরা ১০-১২ জন থাকলেও ব্যাংকে ঢুকেছিল তিনজন। লোকজন এসে পড়লে বাকিরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ডাকাতরা আটকা পড়ে গেলে তারা নিরাপদে বের হয়ে যাওয়ার শর্ত দেয়। সেই সাথে কিছু টাকা দাবি করে। অনেক নাটকীয়তার পরে কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই ডাকাতদের আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হয়। সেই সাথে ডাকাতির ঘটনার অবসান হয়। ডাকাত দলের সদস্যরা নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, 1:34 AM
কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরায় রূপালী ব্যাংকে ডাকাতির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তিন ডাকাত আত্মসমর্পণ করেছে।
কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, ডাকাতদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ এর মধ্যে। কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই এই ব্যাংক ডাকাতদের আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হয়। তিনি বলেন, ডাকাত দল সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আজ দুপুর ১টার দিকে অস্ত্রসহ ব্যাংকে ঢুকে পড়ে। সে সময় ব্যাংক ম্যানেজার শিখর মন্ডল ব্যাংকের বাইরে ছিলেন।
ডাকাতরা পিস্তল বের করে সকলকে যার যার স্থানে থাকতে বলে এবং তারা ক্যাশ কাউন্টারের দিকে এগিয়ে যায়। সে সময় পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে সিকিউরিটি গার্ড প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। তখন ব্যাংকের ভিতরে থাকা গ্রাহকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। গ্রাহকরা ভিতর থেকে নিকটজনকে ফোন করে তাদের অবস্থা জানালে লোকজন এসে ব্যাংকের সামনে জড়ো হয়। এছাড়া ডাকাতির বিষয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়া হলে স্থানীয় এলাকাবাসী ব্যাংকের কাছে এসে অবস্থান নেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া খবর পেয়ে পুলিশকে জানালে দ্রুত পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে।
পরে সেখানে সেনাবাহিনীর বিগ্রেডিয়ার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে অপারেশন পরিচালিত হয়। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘন্টা দফায় দফায় ডাকাতদের সাথে আলোচনার পর সন্ধ্যা পৌণে ৬ টায় ডাকাত দলের তিনজন আত্মসমর্পণ করে। ডাকাতরা জানালা দিয়ে প্রথমে অস্ত্র জমা দেয়। খালি হাতে বের হয়ে এলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ডাকাতদের তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম আরো জানান, ডাকাতরা ১০-১২ জন থাকলেও ব্যাংকে ঢুকেছিল তিনজন। লোকজন এসে পড়লে বাকিরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ডাকাতরা আটকা পড়ে গেলে তারা নিরাপদে বের হয়ে যাওয়ার শর্ত দেয়। সেই সাথে কিছু টাকা দাবি করে। অনেক নাটকীয়তার পরে কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই ডাকাতদের আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হয়। সেই সাথে ডাকাতির ঘটনার অবসান হয়। ডাকাত দলের সদস্যরা নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে রয়েছে।