প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন দাবি করে - ভুক্তভোগী সংবাদ সম্মেলন
চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫, 7:16 PM
প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন দাবি করে - ভুক্তভোগী সংবাদ সম্মেলন
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরের বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের সালাম শিকদারের ছেলে জামাল শিকদার (৪৬) এর বিরুদ্ধে ভূমি দখলের অভিযোগে গত ক’দিন আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে জামাল শিকদার তার নিজ বাড়ীতে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সংবাদ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন চরভদ্রাসন প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ মেজবাহ উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চরভদ্রাসন প্রেসক্লাবের সেক্রেটারী লিয়াকত আলী লাভলু, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম উজ্জল ও মোস্তফা মাহমুদ প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে জামাল শিকদার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৬ নভেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমাকে জড়িয়ে “চরভদ্রাসনে ফ্যাসিষ্ট দখলদারের কবল থেকে জমি উদ্ধার করলো স্থানীয়রা” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। মূলতঃ আমি কারো জমি দখল করি নাই বা আমি কোনো দখলদার না। আমি ক্রয় স্বত্তে জমির মালিক ও দখলদার আছি। আমি দু’বছর আগে ৩০৮ নং সাফ-কবলা দলিলমূলে দিয়ারা ১১ নং চরভদ্রান মৌজার দিয়ারা প্রস্তাবিত ৩১৪৩ নং খতিয়ানের ৭০৪৩, ৭০৪৪ ও ৭৫৯৬ নং দাগ থেকে মোট ২৫ শতাংশ জমি ক্রয় করি। আরেক দলিলে ১১ শতাংশ জমি ক্রয় করে আমি মোট ৩৬ শতাংশ জমিতে ভোগ দখলে আছি।
জামাল শিকদার বলেন, বিরোধীয় জমির রেকর্ডীয় স্বত্তের মালিক তিন ভাই। এরা হলেন-খগেন্দ্র চন্দ্র সরকার, কৃষ্ণ মোহন সরকার ও হরিপদ সরকার। এদের মধ্যে দুই ভাই খগেন্দ্র চন্দ্র সরকার, কৃষ্ণ মোহন সরকারের অংশ স্থানীয় শহিদ মোল্যা গং ভোগ দখলে আছে। আর আমি আরেক ভাই রেকর্ডীয় মালিক হরিপদ সরকারের অংশের জমিতে ভোগ দখলে আছি।
তিনি বলেন, আমার প্রতিপক্ষ একটি মহল আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৪১) ইসমাইল ফকির (৫৩) মিজানুর রহমান খান (৫৮) এরা ৬৮৫৯ নং দাগ হইতে সাড়ে ১৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন। উক্ত দাগে মোট জমি ১১৭ শতাংশ। প্রতিপক্ষরা অত্র দাগের অন্য শরীকানাদের জমিতে না গিয়ে জোরপূর্বক আমার জমিতে ঢুকার চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতিপক্ষরা তাদের স্বীয় স্বার্থ উদ্ধারের জন্য স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে ম্যানেজ করে এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের ভুল তথ্যে প্ররোচিত করে আমার বিরুদ্ধে দখলদারের তকমা লাগিয়ে সংবাদটি প্রকাশ করিয়েছে। যাহা আদৌ সত্য নয় বিধায় আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আমাকে আ’লীগের তকমা লাগিয়ে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, আমার প্রতিপক্ষ মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ও তার পরিবার অত্র এলাকার চিহ্নিত আ’লীগ পরিবার। ও ভূমি দখলদার হিসেবে পরিচিত তার বিরুদ্ধে একাধিক ভূমি দখলের অভিযোগ রয়েছে।
জামাল শিকদার আরও বলেন, আমার দখলীয় জমির একটি দাগে ভুল থাকায় আমি ফরিদপুর দেওয়ানী কোর্টে ২০/২৫ নং মামলা করেছি। এ মামলায় বিরোধীয় জমির উপর কোর্ট নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষা সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিনিয়ত আমার জমিতে ঢুকার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিপক্ষ মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ কিছুদিন আগে আমার কাছে তিন লক্ষ টাকা দাবী করেছিল। আমি টাকা দেই নাই বিধায় তারা আমার জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ব্যপারে জামাল শিকদার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে জমি দখল ও চাঁদা দাবীর অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি তদন্তধীন আছে বলে জানা যায়। তাই জামাল শিকদার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫, 7:16 PM
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরের বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের সালাম শিকদারের ছেলে জামাল শিকদার (৪৬) এর বিরুদ্ধে ভূমি দখলের অভিযোগে গত ক’দিন আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে জামাল শিকদার তার নিজ বাড়ীতে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সংবাদ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন চরভদ্রাসন প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ মেজবাহ উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চরভদ্রাসন প্রেসক্লাবের সেক্রেটারী লিয়াকত আলী লাভলু, সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম উজ্জল ও মোস্তফা মাহমুদ প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে জামাল শিকদার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৬ নভেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমাকে জড়িয়ে “চরভদ্রাসনে ফ্যাসিষ্ট দখলদারের কবল থেকে জমি উদ্ধার করলো স্থানীয়রা” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। মূলতঃ আমি কারো জমি দখল করি নাই বা আমি কোনো দখলদার না। আমি ক্রয় স্বত্তে জমির মালিক ও দখলদার আছি। আমি দু’বছর আগে ৩০৮ নং সাফ-কবলা দলিলমূলে দিয়ারা ১১ নং চরভদ্রান মৌজার দিয়ারা প্রস্তাবিত ৩১৪৩ নং খতিয়ানের ৭০৪৩, ৭০৪৪ ও ৭৫৯৬ নং দাগ থেকে মোট ২৫ শতাংশ জমি ক্রয় করি। আরেক দলিলে ১১ শতাংশ জমি ক্রয় করে আমি মোট ৩৬ শতাংশ জমিতে ভোগ দখলে আছি।
জামাল শিকদার বলেন, বিরোধীয় জমির রেকর্ডীয় স্বত্তের মালিক তিন ভাই। এরা হলেন-খগেন্দ্র চন্দ্র সরকার, কৃষ্ণ মোহন সরকার ও হরিপদ সরকার। এদের মধ্যে দুই ভাই খগেন্দ্র চন্দ্র সরকার, কৃষ্ণ মোহন সরকারের অংশ স্থানীয় শহিদ মোল্যা গং ভোগ দখলে আছে। আর আমি আরেক ভাই রেকর্ডীয় মালিক হরিপদ সরকারের অংশের জমিতে ভোগ দখলে আছি।
তিনি বলেন, আমার প্রতিপক্ষ একটি মহল আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৪১) ইসমাইল ফকির (৫৩) মিজানুর রহমান খান (৫৮) এরা ৬৮৫৯ নং দাগ হইতে সাড়ে ১৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন। উক্ত দাগে মোট জমি ১১৭ শতাংশ। প্রতিপক্ষরা অত্র দাগের অন্য শরীকানাদের জমিতে না গিয়ে জোরপূর্বক আমার জমিতে ঢুকার চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতিপক্ষরা তাদের স্বীয় স্বার্থ উদ্ধারের জন্য স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে ম্যানেজ করে এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের ভুল তথ্যে প্ররোচিত করে আমার বিরুদ্ধে দখলদারের তকমা লাগিয়ে সংবাদটি প্রকাশ করিয়েছে। যাহা আদৌ সত্য নয় বিধায় আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আমাকে আ’লীগের তকমা লাগিয়ে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, আমার প্রতিপক্ষ মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ও তার পরিবার অত্র এলাকার চিহ্নিত আ’লীগ পরিবার। ও ভূমি দখলদার হিসেবে পরিচিত তার বিরুদ্ধে একাধিক ভূমি দখলের অভিযোগ রয়েছে।
জামাল শিকদার আরও বলেন, আমার দখলীয় জমির একটি দাগে ভুল থাকায় আমি ফরিদপুর দেওয়ানী কোর্টে ২০/২৫ নং মামলা করেছি। এ মামলায় বিরোধীয় জমির উপর কোর্ট নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষা সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিনিয়ত আমার জমিতে ঢুকার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিপক্ষ মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ কিছুদিন আগে আমার কাছে তিন লক্ষ টাকা দাবী করেছিল। আমি টাকা দেই নাই বিধায় তারা আমার জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ব্যপারে জামাল শিকদার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে জমি দখল ও চাঁদা দাবীর অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি তদন্তধীন আছে বলে জানা যায়। তাই জামাল শিকদার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সম্পর্কিত