গ্রামাঞ্চলেও কাঁচা মরিচের ঝাঁজে আগুন, ১ কেজি ৪০০ টাকার উপরে

নীলফামারী প্রতিনিধি :
০৫ অক্টোবর, ২০২৫, 8:39 PM

গ্রামাঞ্চলেও কাঁচা মরিচের ঝাঁজে আগুন, ১ কেজি ৪০০ টাকার উপরে
গ্রামাঞ্চলেও কাঁচা মরিচের ঝাঁজে এখন আগুন। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজি ৪০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ ক্রেতারা এক কেজি মরিচ না কিনে অল্প পরিমাণে কিনলেও ২৫০ গ্রাম মরিচের জন্য তাদের দিতে হচ্ছে অন্তত ১০০ টাকা।
পাঁচ দিন আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছিল ২০০-২২০ টাকায়। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১৮০-২০০ টাকা। কয়েক মাস আগেও মরিচের দাম ৩০০ টাকার ঘরে ছিল, যা এখন আবার ছাড়িয়েছে ৪০০ টাকার সীমা।
শনিবার (৪ অক্টোবর) ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট, পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাট, পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের কলোনি হাট, খগাখরিবাড়ি ইউনিয়নের টুনিরহাট, গয়াবাড়ি ইউনিয়নের শুটিবাড়ি বাজার ও ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের বাজার ঘুরে দেখা গেছে- সব জায়গাতেই কাঁচা মরিচের কেজি ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না।
বিক্রেতারা জানান, সাম্প্রতিক ভারী বন্যা ও বৃষ্টিপাতের কারণে স্থানীয়ভাবে সবজি উৎপাদন কমেছে। একই সঙ্গে পূজার ছুটিতে ভারত থেকে সবজি আমদানিও সীমিত হয়েছে। ফলে সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হওয়ায় বাজারে কাঁচা মরিচসহ অধিকাংশ সবজির দাম বেড়েছে।
শুধু মরিচ নয়, টমেটো, বেগুন, ফুলকপি, করলা, ঢ্যাঁড়স, বরবটি, পটোলসহ প্রায় সব সবজির দামই বেড়েছে ২৫-৩৫ টাকা করে। বর্তমানে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়, বেগুন ৬৫ টাকায়, ফুলকপি ১৮০ টাকায়। আর অন্যান্য সবজি ৫০-১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
শুটিবাড়ি বাজারের সবজি বিক্রেতা নুর ইসলাম বলেন, “দেশীয় কাঁচা মরিচ এখন বাজারে নেই বললেই চলে। যা বিক্রি হচ্ছে, তার বেশিরভাগই ভারত থেকে আসে। কিন্তু পূজার ছুটির কারণে সেই আমদানিও কমে গেছে। তাই দাম এতটা বেড়েছে।”
ডালিয়া পাউবো কলোনির বাসিন্দা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী সাঈদ আহমেদ বলেন, “সবজির দামে কোনো লাগাম নেই। তিন-চার পদের সবজি কিনলেই খরচ ৪০০ টাকার ওপরে চলে যাচ্ছে।”
স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, বাজারে নিয়মিত মনিটরিং চালু রেখে দামের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে।
এই প্রসঙ্গে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরানুজ্জামান বলেন, ''বাজারের পরিস্থিতি আমাদের নজরদারির মধ্যেই আছে। মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করছি। অযৌক্তিকভাবে কেউ দাম বাড়ালে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষা ও বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিতভাবে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাও করা হবে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত বাজার তদারকি এবং সরবরাহ ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারলে মূল্যবৃদ্ধির এই ধারা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে।
নীলফামারী প্রতিনিধি :
০৫ অক্টোবর, ২০২৫, 8:39 PM

গ্রামাঞ্চলেও কাঁচা মরিচের ঝাঁজে এখন আগুন। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে কাঁচা মরিচের দাম প্রতি কেজি ৪০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ ক্রেতারা এক কেজি মরিচ না কিনে অল্প পরিমাণে কিনলেও ২৫০ গ্রাম মরিচের জন্য তাদের দিতে হচ্ছে অন্তত ১০০ টাকা।
পাঁচ দিন আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছিল ২০০-২২০ টাকায়। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ১৮০-২০০ টাকা। কয়েক মাস আগেও মরিচের দাম ৩০০ টাকার ঘরে ছিল, যা এখন আবার ছাড়িয়েছে ৪০০ টাকার সীমা।
শনিবার (৪ অক্টোবর) ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট, পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাট, পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের কলোনি হাট, খগাখরিবাড়ি ইউনিয়নের টুনিরহাট, গয়াবাড়ি ইউনিয়নের শুটিবাড়ি বাজার ও ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের বাজার ঘুরে দেখা গেছে- সব জায়গাতেই কাঁচা মরিচের কেজি ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না।
বিক্রেতারা জানান, সাম্প্রতিক ভারী বন্যা ও বৃষ্টিপাতের কারণে স্থানীয়ভাবে সবজি উৎপাদন কমেছে। একই সঙ্গে পূজার ছুটিতে ভারত থেকে সবজি আমদানিও সীমিত হয়েছে। ফলে সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হওয়ায় বাজারে কাঁচা মরিচসহ অধিকাংশ সবজির দাম বেড়েছে।
শুধু মরিচ নয়, টমেটো, বেগুন, ফুলকপি, করলা, ঢ্যাঁড়স, বরবটি, পটোলসহ প্রায় সব সবজির দামই বেড়েছে ২৫-৩৫ টাকা করে। বর্তমানে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়, বেগুন ৬৫ টাকায়, ফুলকপি ১৮০ টাকায়। আর অন্যান্য সবজি ৫০-১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
শুটিবাড়ি বাজারের সবজি বিক্রেতা নুর ইসলাম বলেন, “দেশীয় কাঁচা মরিচ এখন বাজারে নেই বললেই চলে। যা বিক্রি হচ্ছে, তার বেশিরভাগই ভারত থেকে আসে। কিন্তু পূজার ছুটির কারণে সেই আমদানিও কমে গেছে। তাই দাম এতটা বেড়েছে।”
ডালিয়া পাউবো কলোনির বাসিন্দা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী সাঈদ আহমেদ বলেন, “সবজির দামে কোনো লাগাম নেই। তিন-চার পদের সবজি কিনলেই খরচ ৪০০ টাকার ওপরে চলে যাচ্ছে।”
স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন, বাজারে নিয়মিত মনিটরিং চালু রেখে দামের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে।
এই প্রসঙ্গে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরানুজ্জামান বলেন, ''বাজারের পরিস্থিতি আমাদের নজরদারির মধ্যেই আছে। মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করছি। অযৌক্তিকভাবে কেউ দাম বাড়ালে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষা ও বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিতভাবে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাও করা হবে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত বাজার তদারকি এবং সরবরাহ ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারলে মূল্যবৃদ্ধির এই ধারা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে।