ঢাকা ১৫ অক্টোবর, ২০২৫
শিরোনামঃ
৩১ দফা বাস্তবায়নে নওগাঁয় রাতভর বিএনপির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি কোম্পানীগঞ্জে এনটিআরসিএ কর্তৃক সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিটিএ'র সংবর্ধনা  উত্তর ফটিকছড়ি উপজেলায় অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন বাগেরহাটে এমপিও ভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও  মানববন্ধন মাধবপুরে খাস জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দ্বারা  মাঠি উত্তোলন, প্রশাসন নিরব বাগেরহাটে মহিদুল নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যাঃ আটক ২  বেলকুচিতে ৪৮টি গরুসহ খামার পেলেন আত্মসমর্পন করা ৬৭ চরমপন্থী শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী টঙ্গী কলেজে লিফলেট বিতরণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাধা বাগেরহাটের পচা দিঘী থেকে মৃতদেহ উদ্ধার

“অবদান শূন্য ব্যক্তিরা রাজনীতির মঞ্চে অগ্রগামী” কর্মহীনরা মিছিল শেষে দেয় ধ্বংসের উস্কানি

#
news image

সম্প্রতি, প্রত্যন্ত এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেছে কর্মহীন অলস ব্যক্তিরা। সমাজব্যবস্থায় দৃঢ় অবস্থান তৈরি করে দাপটের সাথে চালাচ্ছে অনৈতিক কার্যকলাপ। এদের চিহ্নিত করে সমাজব্যবস্থায় নতুন নেতৃত্বে সচেতন ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে। হঠাৎ শৃঙ্খল সমাজব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, অহেতুক হামলা-মামলা, গ্রাম্যসালিশে পক্ষপাতিত্ব, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এসমস্ত অলস কর্মহীন বখাটে ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে সমাজে যুবগ্যাং, কিশোরগ্যাং, মুরুব্বীগ্যাং, ধান্দাবাজীগ্যাং, মাদকসেবীগ্যাং, নেপথ্যে বুদ্ধিদাতা গ্যাং। এদের মাধ্যমে অর্থ জোগানদাতা, অবৈধ অর্থ উপার্জনকারী ব্যক্তিদের সিন্ডিকেট প্রত্যক্ষ মদত দিয়ে এক ভয়ংকর ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে সামাজিক শৃঙ্খলভাবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা। যা দেশের প্রত্যেক এলাকায় সামাজিকভাবে সচিত্র দৃশ্যায়ন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে – বর্তমান প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মাঝে কর্মহীন অলস ব্যক্তিরা নীরব ঘাতক ব্যাধির মতো কুরে কুরে ধ্বংস করছে সমাজের গণমানুষের সেবামূলক ব্যবস্থাকে।

উন্নয়ন অনুসন্ধান ফাউন্ডেশনের অনুসন্ধানে উঠে আসে সিরাজগঞ্জ জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের সমাজব্যবস্থার বেহাল অবস্থা। দীর্ঘদিনের সামাজিক শাসন ব্যবস্থায় গড়ে ওঠা শৃঙ্খলবদ্ধ মানুষ নীরব আতঙ্কে জীবন-জীবিকা নিয়ে ভীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অস্থিরতা বিরাজ করছে দিন দিন যার প্রভাব সাধারণ মানুষের মনে দ্বিধাগ্রস্ত করে ফেলছে। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ছে সচেতন মহল। সুশৃঙ্খল সমাজব্যবস্থা হারিয়ে যাচ্ছে, সকল শ্রেণির মানুষের মনে রাজনীতিতে জন্ম নেওয়া প্রতিহিংসার আগুন উত্তাপ ছড়াচ্ছে। যার প্রভাবে সমাজে স্বজনপ্রীতি হারিয়ে যাচ্ছে, একে অপরের সাথে দূরত্ব বাড়ছে – যার পরিণতিতে পরবর্তী প্রজন্ম এক হিংসাত্মক জীবন হিসেবে অমানুষ রূপে আত্মপ্রকাশ করবে। সমাজব্যবস্থার এমন অবক্ষয় একমাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া বিবেকহীন এবং অলস কর্মহীন ও বখাটেদের কারণেই দৃশ্যমান হচ্ছে।

এলাকায় রাজনীতির সাথে যুক্ত হওয়া ব্যক্তিদের ব্যক্তিত্ব, সামাজিক মর্যাদা, মানবিক অবদান, ধর্মীয় অনুশাসন, নেতৃত্ব দেওয়ার শৃঙ্খল জ্ঞান, জনসেবা দেওয়ার মতো যোগ্যতা যাচাই করে রাজনীতির পদ-পদবি দেওয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অযথা ভবঘুরে অলস, বেকার, বখাটে, কুচিন্তার ধারক-বাহক, পেশিশক্তি প্রয়োগকারী, সমাজে বিশৃঙ্খলাকারী, মাদকসেবী, অনৈতিক কার্যকলাপে যুক্ত ব্যক্তি, চিহ্নিত  অপরাধী – এদের দিয়ে রাজনীতির পদ-পদবি অলংকৃত করলে কলঙ্কিত হয়ে পালাতে হবে নিশ্চিত। যার উদাহরণ এবং ইতিহাস সাক্ষ্য বহন করছে দেশের সমাজব্যবস্থায়।

সিরাজগঞ্জ জেলার নয়টি উপজেলার অধিকাংশ গ্রাম, পাড়া-মহল্লা ঘুরে, বয়োবৃদ্ধদের, শৃঙ্খল যুবকদের, সুস্থ সচেতন ব্যক্তিদের সাথে অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে তথ্য উদ্ঘাটনের উদ্দেশ্যে একান্ত সহ পরিবেশে খোলামেলা মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায় সমাজব্যবস্থার বিশৃঙ্খলার কারণ কি?  এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উল্লেখ্য হয় রাজনীতির মঞ্চে অরাজনৈতিক ব্যক্তির নেতৃত্ব – যার কারণে তাদের দ্বারা গঠনমূলক বক্তব্যের পরিবর্তে হিংসাত্মক বা প্রতিহিংসাপরায়ণ বক্তব্য মঞ্চে অগ্রাধিকার পায়। ওদের বক্তব্যের কারণেই সহযোগীরা অতি উৎসাহী হয়ে ঘটায় নানা ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ। যার কারণে হামলা-মামলার উদ্ভব হয়, অবশেষে পরিবার হয় নিঃস্ব। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া ভালো ব্যক্তিরা। অবশেষে এসবের দায়ভার বহন করতে হয় রাজনীতির সংগঠনের কেন্দ্রীয় কর্তাব্যক্তিদের।

শৃঙ্খল মানব সভ্যতা আর আদর্শ জ্ঞানের চর্চা যে রাজনীতির দলে বিকশিত হয় না, সেই রাজনীতির দলের সকল কর্মই জনসার্থে বৃথা হয়ে যায়। বাস্তব চিত্রে এটাই দৃশ্যমান। যদিও সমাজব্যবস্থায় কেউ বিশৃঙ্খলা চায় না। একজনের মৃত্যু হলে সমাজব্যবস্থায় সকলেই একত্রিত হয়ে মৃত ব্যক্তির কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করে থাকে, ভুলে যায় তখন সকল হিংসা বিদ্বেষ ক্ষণিকের জন্য। অতঃপর আবার লিপ্ত হয় হিংসার আগুনে – কাকে পোড়ানো যায় তার ব্যবস্থায়। জীবনের প্রতিটি সময়ের মূল্য কিভাবে রেখে যাচ্ছে প্রকৃতির কোলে সেখানেই হিসাবটা বুঝিয়ে দেবে এক অদৃশ্য খেয়ালে। ভাবনার অন্তরালে কোনো কর্মই জীবনকে জাগ্রত রাখে না। বাস্তব কর্মফল অজান্তেই পৌঁছে দেয় প্রকৃতি তার ওয়াদাকৃত প্রতিদানে।

এমন বিধান যাদের পূর্ণ জীবনকে আকৃষ্ট করে রেখেছে এক অজানা রহস্যে, সেখানে রাজনীতি, অর্থনীতি, কর্মনীতি, ধর্মনীতি, ভাবনানীতি, ক্ষমতানীতি – এসবের লোভ-লালসায় পড়ে ক্ষণিকের জন্য পুরো জীবনব্যবস্থায় কেনো ধ্বংসের নিশান উড়ানো হয়। এ যেন শয়তান রচিত এক নাট্যমঞ্চে উপস্থাপন করা জীবনব্যবস্থা। অযথা অহমিকা পূর্ণ, পাপে গণ্য, ধর্মকর্মশূন্য সমাজব্যবস্থায় গড়ে উঠেছে অলস মস্তিষ্কের শয়তানের আড্ডাখানা। এই আড্ডাস্থলে অতি উৎসাহী ব্যক্তিদের নরকমুক্ত এক সুশৃঙ্খল স্বর্গীয় পরিবেশ ফিরাতে কঠোর মানবিক ও ধর্মীয় শাসনব্যবস্থা প্রয়োজন। যা সমষ্টিগত রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় অনুশাসনের মাধ্যমে দেশের সমাজ ব্যাবস্থায় ফিরে আসবে সেবা প্রত্যাশিদের অনুদান। 

খন্দকার মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো চিফ :

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫,  5:48 PM

news image

সম্প্রতি, প্রত্যন্ত এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেছে কর্মহীন অলস ব্যক্তিরা। সমাজব্যবস্থায় দৃঢ় অবস্থান তৈরি করে দাপটের সাথে চালাচ্ছে অনৈতিক কার্যকলাপ। এদের চিহ্নিত করে সমাজব্যবস্থায় নতুন নেতৃত্বে সচেতন ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে। হঠাৎ শৃঙ্খল সমাজব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, অহেতুক হামলা-মামলা, গ্রাম্যসালিশে পক্ষপাতিত্ব, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এসমস্ত অলস কর্মহীন বখাটে ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে সমাজে যুবগ্যাং, কিশোরগ্যাং, মুরুব্বীগ্যাং, ধান্দাবাজীগ্যাং, মাদকসেবীগ্যাং, নেপথ্যে বুদ্ধিদাতা গ্যাং। এদের মাধ্যমে অর্থ জোগানদাতা, অবৈধ অর্থ উপার্জনকারী ব্যক্তিদের সিন্ডিকেট প্রত্যক্ষ মদত দিয়ে এক ভয়ংকর ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে সামাজিক শৃঙ্খলভাবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা। যা দেশের প্রত্যেক এলাকায় সামাজিকভাবে সচিত্র দৃশ্যায়ন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে – বর্তমান প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মাঝে কর্মহীন অলস ব্যক্তিরা নীরব ঘাতক ব্যাধির মতো কুরে কুরে ধ্বংস করছে সমাজের গণমানুষের সেবামূলক ব্যবস্থাকে।

উন্নয়ন অনুসন্ধান ফাউন্ডেশনের অনুসন্ধানে উঠে আসে সিরাজগঞ্জ জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের সমাজব্যবস্থার বেহাল অবস্থা। দীর্ঘদিনের সামাজিক শাসন ব্যবস্থায় গড়ে ওঠা শৃঙ্খলবদ্ধ মানুষ নীরব আতঙ্কে জীবন-জীবিকা নিয়ে ভীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অস্থিরতা বিরাজ করছে দিন দিন যার প্রভাব সাধারণ মানুষের মনে দ্বিধাগ্রস্ত করে ফেলছে। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ছে সচেতন মহল। সুশৃঙ্খল সমাজব্যবস্থা হারিয়ে যাচ্ছে, সকল শ্রেণির মানুষের মনে রাজনীতিতে জন্ম নেওয়া প্রতিহিংসার আগুন উত্তাপ ছড়াচ্ছে। যার প্রভাবে সমাজে স্বজনপ্রীতি হারিয়ে যাচ্ছে, একে অপরের সাথে দূরত্ব বাড়ছে – যার পরিণতিতে পরবর্তী প্রজন্ম এক হিংসাত্মক জীবন হিসেবে অমানুষ রূপে আত্মপ্রকাশ করবে। সমাজব্যবস্থার এমন অবক্ষয় একমাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া বিবেকহীন এবং অলস কর্মহীন ও বখাটেদের কারণেই দৃশ্যমান হচ্ছে।

এলাকায় রাজনীতির সাথে যুক্ত হওয়া ব্যক্তিদের ব্যক্তিত্ব, সামাজিক মর্যাদা, মানবিক অবদান, ধর্মীয় অনুশাসন, নেতৃত্ব দেওয়ার শৃঙ্খল জ্ঞান, জনসেবা দেওয়ার মতো যোগ্যতা যাচাই করে রাজনীতির পদ-পদবি দেওয়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অযথা ভবঘুরে অলস, বেকার, বখাটে, কুচিন্তার ধারক-বাহক, পেশিশক্তি প্রয়োগকারী, সমাজে বিশৃঙ্খলাকারী, মাদকসেবী, অনৈতিক কার্যকলাপে যুক্ত ব্যক্তি, চিহ্নিত  অপরাধী – এদের দিয়ে রাজনীতির পদ-পদবি অলংকৃত করলে কলঙ্কিত হয়ে পালাতে হবে নিশ্চিত। যার উদাহরণ এবং ইতিহাস সাক্ষ্য বহন করছে দেশের সমাজব্যবস্থায়।

সিরাজগঞ্জ জেলার নয়টি উপজেলার অধিকাংশ গ্রাম, পাড়া-মহল্লা ঘুরে, বয়োবৃদ্ধদের, শৃঙ্খল যুবকদের, সুস্থ সচেতন ব্যক্তিদের সাথে অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে তথ্য উদ্ঘাটনের উদ্দেশ্যে একান্ত সহ পরিবেশে খোলামেলা মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায় সমাজব্যবস্থার বিশৃঙ্খলার কারণ কি?  এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উল্লেখ্য হয় রাজনীতির মঞ্চে অরাজনৈতিক ব্যক্তির নেতৃত্ব – যার কারণে তাদের দ্বারা গঠনমূলক বক্তব্যের পরিবর্তে হিংসাত্মক বা প্রতিহিংসাপরায়ণ বক্তব্য মঞ্চে অগ্রাধিকার পায়। ওদের বক্তব্যের কারণেই সহযোগীরা অতি উৎসাহী হয়ে ঘটায় নানা ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ। যার কারণে হামলা-মামলার উদ্ভব হয়, অবশেষে পরিবার হয় নিঃস্ব। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া ভালো ব্যক্তিরা। অবশেষে এসবের দায়ভার বহন করতে হয় রাজনীতির সংগঠনের কেন্দ্রীয় কর্তাব্যক্তিদের।

শৃঙ্খল মানব সভ্যতা আর আদর্শ জ্ঞানের চর্চা যে রাজনীতির দলে বিকশিত হয় না, সেই রাজনীতির দলের সকল কর্মই জনসার্থে বৃথা হয়ে যায়। বাস্তব চিত্রে এটাই দৃশ্যমান। যদিও সমাজব্যবস্থায় কেউ বিশৃঙ্খলা চায় না। একজনের মৃত্যু হলে সমাজব্যবস্থায় সকলেই একত্রিত হয়ে মৃত ব্যক্তির কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করে থাকে, ভুলে যায় তখন সকল হিংসা বিদ্বেষ ক্ষণিকের জন্য। অতঃপর আবার লিপ্ত হয় হিংসার আগুনে – কাকে পোড়ানো যায় তার ব্যবস্থায়। জীবনের প্রতিটি সময়ের মূল্য কিভাবে রেখে যাচ্ছে প্রকৃতির কোলে সেখানেই হিসাবটা বুঝিয়ে দেবে এক অদৃশ্য খেয়ালে। ভাবনার অন্তরালে কোনো কর্মই জীবনকে জাগ্রত রাখে না। বাস্তব কর্মফল অজান্তেই পৌঁছে দেয় প্রকৃতি তার ওয়াদাকৃত প্রতিদানে।

এমন বিধান যাদের পূর্ণ জীবনকে আকৃষ্ট করে রেখেছে এক অজানা রহস্যে, সেখানে রাজনীতি, অর্থনীতি, কর্মনীতি, ধর্মনীতি, ভাবনানীতি, ক্ষমতানীতি – এসবের লোভ-লালসায় পড়ে ক্ষণিকের জন্য পুরো জীবনব্যবস্থায় কেনো ধ্বংসের নিশান উড়ানো হয়। এ যেন শয়তান রচিত এক নাট্যমঞ্চে উপস্থাপন করা জীবনব্যবস্থা। অযথা অহমিকা পূর্ণ, পাপে গণ্য, ধর্মকর্মশূন্য সমাজব্যবস্থায় গড়ে উঠেছে অলস মস্তিষ্কের শয়তানের আড্ডাখানা। এই আড্ডাস্থলে অতি উৎসাহী ব্যক্তিদের নরকমুক্ত এক সুশৃঙ্খল স্বর্গীয় পরিবেশ ফিরাতে কঠোর মানবিক ও ধর্মীয় শাসনব্যবস্থা প্রয়োজন। যা সমষ্টিগত রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় অনুশাসনের মাধ্যমে দেশের সমাজ ব্যাবস্থায় ফিরে আসবে সেবা প্রত্যাশিদের অনুদান। 

সম্পর্কিত