সুন্দরবনে ডাকাত আতঙ্কে জেলেদের উৎকণ্ঠা

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি :
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 5:47 PM

সুন্দরবনে ডাকাত আতঙ্কে জেলেদের উৎকণ্ঠা
নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও উন্মুক্ত হলো বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বনবিভাগের পাশ-পরমিট সংগ্রহ করে নৌকা ভরে মাছ ও কাঁকড়া ধরতে বনে প্রবেশ করেছেন হাজারো জেলে। দীর্ঘ ৩ মাস বিরতির পর জীবিকার এই সুযোগ পেয়ে জেলেরা যেমন কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন, তেমনি কাঙ্ক্ষিত মাছ না পাওয়ার শঙ্কা ও বনদস্যুদের উৎপাত নিয়ে উৎকণ্ঠা তাদের পিছু ছাড়ছে না।
খুলনার কয়রা উপজেলার কাটকাটা এলাকার জেলে আল আমিন বলেন, “সুন্দরবন তো যাচ্ছি, কিন্তু বনদস্যুদের ভয়ে বুক কাঁপছে। পাশাপাশি কিছু অসাধু মানুষ পাস নিয়ে হরিণ শিকার বা বিষ দিয়ে মাছ ধরে। তাদের অপরাধের দায়ও এসে পড়ে আমাদের ঘাড়ে। আমরা চাই কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষভাবে ব্যবস্থা নিক।”
নিষেধাজ্ঞার তিন মাস ছিল জেলেদের জন্য দুর্ভোগের সময়। সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে স্থানীয় মহাজন, দাদন ব্যবসায়ী কিংবা এনজিও থেকে ঋণ নিতে হয়েছে তাদের। এখন মাছ ও কাঁকড়ার আশানুরূপ ফল না মিললে সেই ঋণের বোঝা তাদের আরও ভারী হয়ে উঠবে।
দক্ষিণ বেদকাশি এলাকার জেলে মফিজুল ইসলাম বলেন, “পরিবারের খাওয়া থেকে শুরু করে চিকিৎসা ও শিক্ষার খরচ আসে সুন্দরবন থেকে। কিন্তু বছরে বারবার বনে প্রবেশ বন্ধ থাকায় ঋণের বোঝা বাড়ছে। এখন ডাকাত আতঙ্ক আর কোম্পানির আধিপত্য—সব মিলে আমরা দিশেহারা।”
পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এ জেড এম হাসানুর রহমান বলেন, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রতি বছরের মতো এবারও তিন মাস নিষেধাজ্ঞা ছিল। এতে মাছ ও অন্যান্য প্রজাতির প্রজনন বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, “আমরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছি। কোনো সিন্ডিকেট বা বিশেষ গোষ্ঠীর কাছে বিক্রি হয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। ডাকাত ও চোরা শিকারিদের দমনেও টহল জোরদার রয়েছে।”
জেলেদের অভিযোগ, বনের ভেতরে নিরাপত্তার ঘাটতি থাকায় প্রায়ই তারা হামলা-লুটপাটের শিকার হন। সুন্দরবনে নির্ভরশীল লাখো মানুষের জীবনযাত্রা যাতে টিকে থাকে, সে জন্য তারা সহজ শর্তে ঋণপ্রাপ্তি, বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বনকর্মীদের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছেন।
জেলেরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এসব দাবি পূরণ না হলে বনদস্যু, চোরা শিকারি ও দাদন ব্যবসায়ীর দাপটে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল মানুষের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।
কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি :
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, 5:47 PM

নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও উন্মুক্ত হলো বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বনবিভাগের পাশ-পরমিট সংগ্রহ করে নৌকা ভরে মাছ ও কাঁকড়া ধরতে বনে প্রবেশ করেছেন হাজারো জেলে। দীর্ঘ ৩ মাস বিরতির পর জীবিকার এই সুযোগ পেয়ে জেলেরা যেমন কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন, তেমনি কাঙ্ক্ষিত মাছ না পাওয়ার শঙ্কা ও বনদস্যুদের উৎপাত নিয়ে উৎকণ্ঠা তাদের পিছু ছাড়ছে না।
খুলনার কয়রা উপজেলার কাটকাটা এলাকার জেলে আল আমিন বলেন, “সুন্দরবন তো যাচ্ছি, কিন্তু বনদস্যুদের ভয়ে বুক কাঁপছে। পাশাপাশি কিছু অসাধু মানুষ পাস নিয়ে হরিণ শিকার বা বিষ দিয়ে মাছ ধরে। তাদের অপরাধের দায়ও এসে পড়ে আমাদের ঘাড়ে। আমরা চাই কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষভাবে ব্যবস্থা নিক।”
নিষেধাজ্ঞার তিন মাস ছিল জেলেদের জন্য দুর্ভোগের সময়। সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে স্থানীয় মহাজন, দাদন ব্যবসায়ী কিংবা এনজিও থেকে ঋণ নিতে হয়েছে তাদের। এখন মাছ ও কাঁকড়ার আশানুরূপ ফল না মিললে সেই ঋণের বোঝা তাদের আরও ভারী হয়ে উঠবে।
দক্ষিণ বেদকাশি এলাকার জেলে মফিজুল ইসলাম বলেন, “পরিবারের খাওয়া থেকে শুরু করে চিকিৎসা ও শিক্ষার খরচ আসে সুন্দরবন থেকে। কিন্তু বছরে বারবার বনে প্রবেশ বন্ধ থাকায় ঋণের বোঝা বাড়ছে। এখন ডাকাত আতঙ্ক আর কোম্পানির আধিপত্য—সব মিলে আমরা দিশেহারা।”
পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এ জেড এম হাসানুর রহমান বলেন, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রতি বছরের মতো এবারও তিন মাস নিষেধাজ্ঞা ছিল। এতে মাছ ও অন্যান্য প্রজাতির প্রজনন বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, “আমরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছি। কোনো সিন্ডিকেট বা বিশেষ গোষ্ঠীর কাছে বিক্রি হয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। ডাকাত ও চোরা শিকারিদের দমনেও টহল জোরদার রয়েছে।”
জেলেদের অভিযোগ, বনের ভেতরে নিরাপত্তার ঘাটতি থাকায় প্রায়ই তারা হামলা-লুটপাটের শিকার হন। সুন্দরবনে নির্ভরশীল লাখো মানুষের জীবনযাত্রা যাতে টিকে থাকে, সে জন্য তারা সহজ শর্তে ঋণপ্রাপ্তি, বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বনকর্মীদের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছেন।
জেলেরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এসব দাবি পূরণ না হলে বনদস্যু, চোরা শিকারি ও দাদন ব্যবসায়ীর দাপটে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল মানুষের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।