ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে সাত বছরের শিশুকে হত্যা, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
২৪ আগস্ট, ২০২৫, 11:43 PM

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে সাত বছরের শিশুকে হত্যা, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ৭ বছর বয়সী এক শিশুকে হত্যা করেছে তারই ফুফাতো ভাই। গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে সে বিষয়টি স্বীকার করেছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন। অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম জিহাদ (২১) উল্লাপাড়া উপজেলার হাওড়া গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে। নিহত শিশু ছোঁয়া মনি (৭) রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের মিরের দেউলমোড়া গ্রামের সুমন সেখের মেয়ে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের এসআই নাজমুল হক বলেন, মায়ের মৃত্যু হওয়ায় মনিরুল ইসলাম জিহাদ রায়গঞ্জ উপজেলার মিরের দেউলমোড়া গ্রামের তার মামার বাড়িতে থাকতো।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ শিশু ছোঁয়া মনি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর জিহাদ গ্রামের মসজিদের মাইকে মামাতো বোন ছোঁয়া মনির নিখোঁজ সংবাদ প্রচার করে। দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত টয়লেট থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার হয়। তাকে মুখ, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছিল।
এসআই নাজমুল আরো বলেন, শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর জিহাদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এরপর রাতে 'মায়ের পরকীয়ার বলি হলো শিশু' লিখে নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। এ ঘটনায় শিশুটির দাদি ফিরোজা খাতুন বাদি হয়ে রায়গঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে মামলা দায়ের করেন। এরপর ডিবি পুলিশের অভিযানে শুক্রবার রাতে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে জিহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার বিকেলে আদালতে হাজির করা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
জিহাদ আদালতকে জানায়, মামাতো বোন ছোঁয়াকে সে ওই পরিত্যক্ত টয়লেটে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ছোঁয়া মনি বিষয়টি অভিভাবকদের জানানোর কথা বলায় সে একাই তাকে হত্যা করেছে।
জবানবন্দি রেকর্ড করার পর জিহাদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
২৪ আগস্ট, ২০২৫, 11:43 PM

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ৭ বছর বয়সী এক শিশুকে হত্যা করেছে তারই ফুফাতো ভাই। গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে সে বিষয়টি স্বীকার করেছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন। অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম জিহাদ (২১) উল্লাপাড়া উপজেলার হাওড়া গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে। নিহত শিশু ছোঁয়া মনি (৭) রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের মিরের দেউলমোড়া গ্রামের সুমন সেখের মেয়ে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের এসআই নাজমুল হক বলেন, মায়ের মৃত্যু হওয়ায় মনিরুল ইসলাম জিহাদ রায়গঞ্জ উপজেলার মিরের দেউলমোড়া গ্রামের তার মামার বাড়িতে থাকতো।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ শিশু ছোঁয়া মনি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর জিহাদ গ্রামের মসজিদের মাইকে মামাতো বোন ছোঁয়া মনির নিখোঁজ সংবাদ প্রচার করে। দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত টয়লেট থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার হয়। তাকে মুখ, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছিল।
এসআই নাজমুল আরো বলেন, শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর জিহাদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এরপর রাতে 'মায়ের পরকীয়ার বলি হলো শিশু' লিখে নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়। এ ঘটনায় শিশুটির দাদি ফিরোজা খাতুন বাদি হয়ে রায়গঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে মামলা দায়ের করেন। এরপর ডিবি পুলিশের অভিযানে শুক্রবার রাতে গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে জিহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার বিকেলে আদালতে হাজির করা হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
জিহাদ আদালতকে জানায়, মামাতো বোন ছোঁয়াকে সে ওই পরিত্যক্ত টয়লেটে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ছোঁয়া মনি বিষয়টি অভিভাবকদের জানানোর কথা বলায় সে একাই তাকে হত্যা করেছে।
জবানবন্দি রেকর্ড করার পর জিহাদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।