সাত মাসে ১০১ খুন গাজীপুরে

গাজীপুর প্রতিনিধি :
০৫ আগস্ট, ২০২৫, 1:13 AM

সাত মাসে ১০১ খুন গাজীপুরে
পারিবারিক কলহ, পরকীয়া, জমিসংক্রান্ত বিরোধ, ছিনতাই ও পূর্বশত্রুতার জেরসহ নানা কারণে গাজীপুরে হত্যা-খুন বেড়েছে। এ ছাড়া জেলায় ভাসমান মানুষের সংখ্যার পাশাপাশি বিভিন্ন বাসাবাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছেন পোশাক শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। জনসংখ্যার তুলনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপ্রতুলতা, ঘন শাল-গজারি বেষ্টিত বন,-জঙ্গল থাকায় অপরাধীরা সহজেই তাদের মিশন বাস্তবায়ন করতে এ জেলাকে বেছে নেন। এ অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডের প্রতিটি ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের পাশাপাশি অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৩ আগস্ট) ভোরে গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়নের ইদ্রবপুর গ্রামে স্বামীর বিরুদ্ধে ঘর তালাবদ্ধ করে আগুন লাগিয়ে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত স্বামী পালিয়ে যান।
নিহত পোশাক শ্রমিক মারুফা আক্তার (৪৫) উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের ইদ্রবপুর গ্রামের মো. মিজানুর রহমানের স্ত্রী। তিনি স্থানীয় মোশাররফ স্পিনিং মিলস শ্রমিকের কাজ করতেন। এ করে দুর্বৃত্তরা। লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত ২ জুলাই নাসির মারা যান। এ ঘটনায় কিশোর গ্যাং লিডার ওয়াসিফ সালিমকে (২২) প্রধান আসামি করে কোনাবাড়ি থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
নাসির পালোয়ানের ছেলে মামলার বাদী শাহ আলম পালোয়ান জানান, চাঁদা না দেওয়ায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা দায়ের কোপে তার বাবার মাথার খুলি ১৮ টুকরা করে। অস্ত্রোপচারের পর প্রথমে আইসিইউতে এবং পরে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল তার বাবাকে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি আব্দুল আলীম বলেন, দুর্বল পারিবারিক বন্ধন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামাজিক অবক্ষয়, স্বার্থপরতা, মাদকাসক্তিসহ বিভিন্ন কারণে গাজীপুরে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে মামলা দায়ের হলেও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে সময় লাগে।
গাজীপুর প্রতিনিধি :
০৫ আগস্ট, ২০২৫, 1:13 AM

পারিবারিক কলহ, পরকীয়া, জমিসংক্রান্ত বিরোধ, ছিনতাই ও পূর্বশত্রুতার জেরসহ নানা কারণে গাজীপুরে হত্যা-খুন বেড়েছে। এ ছাড়া জেলায় ভাসমান মানুষের সংখ্যার পাশাপাশি বিভিন্ন বাসাবাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছেন পোশাক শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। জনসংখ্যার তুলনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপ্রতুলতা, ঘন শাল-গজারি বেষ্টিত বন,-জঙ্গল থাকায় অপরাধীরা সহজেই তাদের মিশন বাস্তবায়ন করতে এ জেলাকে বেছে নেন। এ অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের মরদেহ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডের প্রতিটি ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের পাশাপাশি অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৩ আগস্ট) ভোরে গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়নের ইদ্রবপুর গ্রামে স্বামীর বিরুদ্ধে ঘর তালাবদ্ধ করে আগুন লাগিয়ে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত স্বামী পালিয়ে যান।
নিহত পোশাক শ্রমিক মারুফা আক্তার (৪৫) উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের ইদ্রবপুর গ্রামের মো. মিজানুর রহমানের স্ত্রী। তিনি স্থানীয় মোশাররফ স্পিনিং মিলস শ্রমিকের কাজ করতেন। এ করে দুর্বৃত্তরা। লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত ২ জুলাই নাসির মারা যান। এ ঘটনায় কিশোর গ্যাং লিডার ওয়াসিফ সালিমকে (২২) প্রধান আসামি করে কোনাবাড়ি থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
নাসির পালোয়ানের ছেলে মামলার বাদী শাহ আলম পালোয়ান জানান, চাঁদা না দেওয়ায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা দায়ের কোপে তার বাবার মাথার খুলি ১৮ টুকরা করে। অস্ত্রোপচারের পর প্রথমে আইসিইউতে এবং পরে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল তার বাবাকে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি আব্দুল আলীম বলেন, দুর্বল পারিবারিক বন্ধন, রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামাজিক অবক্ষয়, স্বার্থপরতা, মাদকাসক্তিসহ বিভিন্ন কারণে গাজীপুরে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে মামলা দায়ের হলেও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে সময় লাগে।
সম্পর্কিত