সরকারি পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে বিরোধ, বেলকুচিতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৭

খন্দকার মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো চিফ :
২৯ জুলাই, ২০২৫, 8:38 PM

সরকারি পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে বিরোধ, বেলকুচিতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৭
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় সরকারি একটি পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত সাতজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বেলকুচি পৌরসভার মুকুন্দগাঁতী এলাকায়, আল-আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদের পাশের একটি সরকারি পুকুরে। দীর্ঘদিন ধরে ওই পুকুরে মাছ চাষ করে আসছিলেন পৌর বিএনপির সাবেক ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হাফিজুল ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পুকুরে মাছ চুরির সন্দেহকে কেন্দ্র করে হাফিজুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিবেশী উপজেলা ও পৌর টাইলস, রং ও স্যানিটারি শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুর রহমানের (৪৫) মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
আব্দুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, “আমার পাঁচ বছরের ভাতিজা খেলতে গিয়ে একটি বোতল পুকুরে ফেলে দেয়। এ নিয়ে হাফিজুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে গালিগালাজ করেন, পরে সকালে দোকানে যাওয়ার পথে শিশুটিকে মারধর করেন।”
এর জেরে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। অভিযোগ অনুযায়ী, হাফিজুল ইসলাম ও তার সমর্থকরা আব্দুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালালে উভয়পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় আব্দুর রহমান (৪৫), আব্দুল্লাহ (৩৫), আইয়ুব আলী (৩২), আরিফ (২৮), রানা (৩০), কোহিনুর বেগম (৪০) ও হাওয়া খাতুন (৩২) আহত হন। আহতদের সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে হাফিজুল ইসলাম দাবি করেন, “আমি বৈধভাবে সরকারি অনুমতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পুকুরে মাছ চাষ করছি। কিন্তু আব্দুর রহমানের লোকজন প্রায়ই মাছ চুরি করে। আজ সকালে মাছের খাদ্য দিতে গিয়ে চায়না জাল দেখতে পেয়ে বিষয়টি জানাই। তখন তারা উল্টো আমাকে ও আমার ছেলে শৈশবকে মারধর করে।”
তিনি আরও জানান, স্থানীয়দের সহায়তায় তারা বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন, “সংঘর্ষের ঘটনায় একটি পক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঘটনার পর এলাকা জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।
খন্দকার মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো চিফ :
২৯ জুলাই, ২০২৫, 8:38 PM

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় সরকারি একটি পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত সাতজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বেলকুচি পৌরসভার মুকুন্দগাঁতী এলাকায়, আল-আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদের পাশের একটি সরকারি পুকুরে। দীর্ঘদিন ধরে ওই পুকুরে মাছ চাষ করে আসছিলেন পৌর বিএনপির সাবেক ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হাফিজুল ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পুকুরে মাছ চুরির সন্দেহকে কেন্দ্র করে হাফিজুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিবেশী উপজেলা ও পৌর টাইলস, রং ও স্যানিটারি শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুর রহমানের (৪৫) মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
আব্দুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, “আমার পাঁচ বছরের ভাতিজা খেলতে গিয়ে একটি বোতল পুকুরে ফেলে দেয়। এ নিয়ে হাফিজুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে গালিগালাজ করেন, পরে সকালে দোকানে যাওয়ার পথে শিশুটিকে মারধর করেন।”
এর জেরে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। অভিযোগ অনুযায়ী, হাফিজুল ইসলাম ও তার সমর্থকরা আব্দুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালালে উভয়পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় আব্দুর রহমান (৪৫), আব্দুল্লাহ (৩৫), আইয়ুব আলী (৩২), আরিফ (২৮), রানা (৩০), কোহিনুর বেগম (৪০) ও হাওয়া খাতুন (৩২) আহত হন। আহতদের সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে হাফিজুল ইসলাম দাবি করেন, “আমি বৈধভাবে সরকারি অনুমতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পুকুরে মাছ চাষ করছি। কিন্তু আব্দুর রহমানের লোকজন প্রায়ই মাছ চুরি করে। আজ সকালে মাছের খাদ্য দিতে গিয়ে চায়না জাল দেখতে পেয়ে বিষয়টি জানাই। তখন তারা উল্টো আমাকে ও আমার ছেলে শৈশবকে মারধর করে।”
তিনি আরও জানান, স্থানীয়দের সহায়তায় তারা বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম বলেন, “সংঘর্ষের ঘটনায় একটি পক্ষ লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঘটনার পর এলাকা জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ নজরদারি অব্যাহত রেখেছে।