নিরপরাধ জেলবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তি ও চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন
গাজীপুর প্রতিনিধি :
২৭ নভেম্বর, ২০২৪, 1:35 PM
নিরপরাধ জেলবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তি ও চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন
পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি এবং চাকুরিচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ গাজীপুর জেলা শাখার সদস্যরা। গতকাল বুধবার গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে চাকুরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও বিডিআর পরিবারের সদস্যরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
২১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের সিনিয়র হাবিলদার মো: আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন পিলখানা হত্যাকান্ডের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ঐক্য'র আহ্বায়ক এ্যাড. আব্দুল আজিজ। প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে এ্যাড. আব্দুল আজিজ বলেন, ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি-২০০৯ পিলখানার ঘটনায় ফ্যাসিস্ট সরকারের দ্বারা ৫৭ জন সেনা অফিসার, বিডিআর অফিসারসহ ৭৪জনকে হত্যা করা হয়। এরপর ৪৭ জন বিডিআর সদস্যকে রিমান্ডে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে। এগুলো করেই ক্ষান্ত হয়নি বিনা চিকিৎসায় এই পর্যন্ত জেলাখানায় শতাধিক বিডিআর সদস্য মারা যায়, চলমান আছে মৃত্যুর মিছিলও। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান ৫ আগস্টের পরও বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করে ৬জন। এইসব হত্যাকান্ড ১৬ বছর যাবত জায়েজ করে এসেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভারত পালিয়ে গেছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী জামিন পেলেও এখনও পর্যন্ত নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের জামিন শুনানি হয়নি। অপরাধী, ফ্যাসিস্টরা জামিন পেলেও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যরা বিনা অপরাধে জেল খাটবে এটাই কি স্বাধীন বাংলাদেশের ন্যায়বিচার? আমরা পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত, নিরপরাধ জেলবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তি ও চাকুরিচ্যুতদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবি জানাই।
মানববন্ধনে বক্তারা পিলখানা হত্যাকান্ডের পুনরায় তদন্ত ও পুনরায় বিচার করে খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি-২০০৯ পিলখানার ঘটনায় ফ্যাসিস্ট সরকারের দ্বারা শহীদ সেনা অফিসার, শহীদ বিডিআর অফিসার ও অন্যান্য শহীদদের গেজেট আকারে শহীদ ঘোষনার দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন, সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী ও বিচার বিভাগের সমন্বয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। সেনা শহীদ ও বিডিআর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতিনিধি তদন্ত কমিটিতে রাখতে হবে। নিরীহ বিডিআর সদস্যদের রিমান্ডে নির্যাতনের ফলে মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটন করার জন্য সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী ও বিচার বিভাগের সমন্বয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। এবং দোষী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পিলখানা হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত যে কোন দল, গোষ্টি ও ব্যক্তিকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে তদন্ত রিপোর্ট জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে। জেলখানায় বন্দি সকল নির্দোষ বিডিআর সদস্যকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। পিলখানার ঘটনায় যে সকল সেনা কর্মকর্তা, বিডিআর কর্মকর্তা ও বিডিআর জওয়ানদের চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে, সকল সদস্যদের চাকুরিতে ক্ষতিপূরণসহ পূর্নবহাল করতে হবে। বিডিআর হত্যাকান্ডের কারণে সামরিক/বেসামরিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোকে ক্ষতিপূরণ ও পূর্নবাসন করতে হবে। বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) বর্তমান (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) বিজিবিকে কোন প্রকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না। বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) নাম প্রতিস্থাপন করতে হবে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর জর্জকোর্টের আইনজীবী এ্যাড. রিয়াজুল সালেহ মিশুক, বিডিআর কল্যাণ পরিষদের গাজীপুর জেলার সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন, ৪ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের ল্যান্স নায়েক হারুন অর রশিদ, বিডিআর সন্তান মো: শান্ত ইসলাম, মেহেদী হাসান, মো: তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় চাকুরিচ্যুত বিডিআর সদস্য, বিডিআর সদস্যদের পরিবারবর্গসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গাজীপুর প্রতিনিধি :
২৭ নভেম্বর, ২০২৪, 1:35 PM
পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি এবং চাকুরিচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ গাজীপুর জেলা শাখার সদস্যরা। গতকাল বুধবার গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে চাকুরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও বিডিআর পরিবারের সদস্যরা এ কর্মসূচি পালন করেন।
২১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের সিনিয়র হাবিলদার মো: আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন পিলখানা হত্যাকান্ডের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ঐক্য'র আহ্বায়ক এ্যাড. আব্দুল আজিজ। প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে এ্যাড. আব্দুল আজিজ বলেন, ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি-২০০৯ পিলখানার ঘটনায় ফ্যাসিস্ট সরকারের দ্বারা ৫৭ জন সেনা অফিসার, বিডিআর অফিসারসহ ৭৪জনকে হত্যা করা হয়। এরপর ৪৭ জন বিডিআর সদস্যকে রিমান্ডে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে। এগুলো করেই ক্ষান্ত হয়নি বিনা চিকিৎসায় এই পর্যন্ত জেলাখানায় শতাধিক বিডিআর সদস্য মারা যায়, চলমান আছে মৃত্যুর মিছিলও। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান ৫ আগস্টের পরও বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করে ৬জন। এইসব হত্যাকান্ড ১৬ বছর যাবত জায়েজ করে এসেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভারত পালিয়ে গেছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী জামিন পেলেও এখনও পর্যন্ত নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের জামিন শুনানি হয়নি। অপরাধী, ফ্যাসিস্টরা জামিন পেলেও নিরপরাধ বিডিআর সদস্যরা বিনা অপরাধে জেল খাটবে এটাই কি স্বাধীন বাংলাদেশের ন্যায়বিচার? আমরা পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত, নিরপরাধ জেলবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তি ও চাকুরিচ্যুতদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবি জানাই।
মানববন্ধনে বক্তারা পিলখানা হত্যাকান্ডের পুনরায় তদন্ত ও পুনরায় বিচার করে খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি-২০০৯ পিলখানার ঘটনায় ফ্যাসিস্ট সরকারের দ্বারা শহীদ সেনা অফিসার, শহীদ বিডিআর অফিসার ও অন্যান্য শহীদদের গেজেট আকারে শহীদ ঘোষনার দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন, সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী ও বিচার বিভাগের সমন্বয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। সেনা শহীদ ও বিডিআর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতিনিধি তদন্ত কমিটিতে রাখতে হবে। নিরীহ বিডিআর সদস্যদের রিমান্ডে নির্যাতনের ফলে মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটন করার জন্য সেনা, নৌ, বিমান বাহিনী ও বিচার বিভাগের সমন্বয়ে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। এবং দোষী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পিলখানা হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত যে কোন দল, গোষ্টি ও ব্যক্তিকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে তদন্ত রিপোর্ট জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে। জেলখানায় বন্দি সকল নির্দোষ বিডিআর সদস্যকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। পিলখানার ঘটনায় যে সকল সেনা কর্মকর্তা, বিডিআর কর্মকর্তা ও বিডিআর জওয়ানদের চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে, সকল সদস্যদের চাকুরিতে ক্ষতিপূরণসহ পূর্নবহাল করতে হবে। বিডিআর হত্যাকান্ডের কারণে সামরিক/বেসামরিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোকে ক্ষতিপূরণ ও পূর্নবাসন করতে হবে। বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) বর্তমান (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) বিজিবিকে কোন প্রকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না। বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) নাম প্রতিস্থাপন করতে হবে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর জর্জকোর্টের আইনজীবী এ্যাড. রিয়াজুল সালেহ মিশুক, বিডিআর কল্যাণ পরিষদের গাজীপুর জেলার সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন, ৪ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের ল্যান্স নায়েক হারুন অর রশিদ, বিডিআর সন্তান মো: শান্ত ইসলাম, মেহেদী হাসান, মো: তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় চাকুরিচ্যুত বিডিআর সদস্য, বিডিআর সদস্যদের পরিবারবর্গসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।