সরিষাবাড়ীতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নিকট দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় কাজ বন্ধ

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি :
০৯ জুলাই, ২০২৫, 9:15 PM

সরিষাবাড়ীতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নিকট দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় কাজ বন্ধ
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় দিগপাইত-সরিষাবাড়ী-তারাকান্দি বাইপাস মহা সড়কের নির্মাণকাজে দাবীকৃত চাদা না দেওয়ায় ঠিকাদারী ফার্মের সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজা ও সাইড প্রকৌশলী কে মারধর করার অভিযোগ করেছেন চাঁদা দাবীকারীদের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার সকাল ১০ টার দিকে পৌর সভার কোনাবাড়ী হাবুর মোড় এলকায় এ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মহাসড়ক নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান সুত্রে জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অর্থায়নে দিগপাইত-সরিষাবাড়ী-তারাকান্দি বাইপাস মহাসড়কের প্রশস্ত করন কাজে কংক্রিট অ্যান্ড স্টিল টেকনোলজি লিমিটেড, আবেদ মনসুর কনস্ট্রাকশন, ও হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড (জেভি) নামে তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এ বাইপাস মহাসড়কের ৭৮ কোটি টাকা ব্যায়ে ৬.৪০০ মিটার নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। গত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ১০টার দিকে মহা সড়কের হাবুর মোড এলাকায় রাস্তায় সামিদুল ও জহুরুল ইসলাম ২টি ড্রাম ট্রাক ভর্তি বালি ফেলতে যায়। এ সময় স্থানীয় কোনাবাড়ি গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে নাঈম মিয়া, ময়েজ উদ্দিন এর ছেলে বাচ্চু মিয়া, এবং সোহরাব আলীর ছেলে ফারুক এর নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। দাবীকৃত চাদা না দেওয়ায় কাজ বন্ধ করে দেয়। পরদিন গতকাল বুধবার সকাল ১০ টার দিকে একই স্থানে প্রকল্পের সুপারভাইজার সানি ও ইঞ্জিনিয়ার মাজেদুর রহমান কাজ করতে গেলে তাদেরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। আত্নরক্ষায় ঘটনাস্থল হতে চলে আসার জন্য মোটর সাইকেলে ওঠলে তারা পিছন থেকে ধাওয়া করে। ফার্মের সুপারভাইজার সানির নিকট থাকা দামী মোবইল ফোনটিও কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। এ ঘটনায় নির্মাণ কাজে জড়িত শ্রমিকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে আবেদ মনসুর কনস্ট্রাকশন ঠিকাদার ফার্মের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তারাকান্দি সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার এর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী আনোয়ার হোসেন ও এলাকাবাসী জানান, তারা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তারাও গালিগালাজ ও হুমকির শিকার হন। সাধারণ মানুষ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সরকার যেখানে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, সেখানে একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কায়দায় বাধা সৃষ্টি করছে।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল হাসান (রাশেদ) বলেন, এ ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জনসাধারণ ও স্থানীয় সচেতন মহল দ্রুত এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন এবং নির্মাণকাজ যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি কামনা করেছেন।
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি :
০৯ জুলাই, ২০২৫, 9:15 PM

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় দিগপাইত-সরিষাবাড়ী-তারাকান্দি বাইপাস মহা সড়কের নির্মাণকাজে দাবীকৃত চাদা না দেওয়ায় ঠিকাদারী ফার্মের সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজা ও সাইড প্রকৌশলী কে মারধর করার অভিযোগ করেছেন চাঁদা দাবীকারীদের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার সকাল ১০ টার দিকে পৌর সভার কোনাবাড়ী হাবুর মোড় এলকায় এ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মহাসড়ক নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান সুত্রে জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অর্থায়নে দিগপাইত-সরিষাবাড়ী-তারাকান্দি বাইপাস মহাসড়কের প্রশস্ত করন কাজে কংক্রিট অ্যান্ড স্টিল টেকনোলজি লিমিটেড, আবেদ মনসুর কনস্ট্রাকশন, ও হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড (জেভি) নামে তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এ বাইপাস মহাসড়কের ৭৮ কোটি টাকা ব্যায়ে ৬.৪০০ মিটার নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। গত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ১০টার দিকে মহা সড়কের হাবুর মোড এলাকায় রাস্তায় সামিদুল ও জহুরুল ইসলাম ২টি ড্রাম ট্রাক ভর্তি বালি ফেলতে যায়। এ সময় স্থানীয় কোনাবাড়ি গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে নাঈম মিয়া, ময়েজ উদ্দিন এর ছেলে বাচ্চু মিয়া, এবং সোহরাব আলীর ছেলে ফারুক এর নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। দাবীকৃত চাদা না দেওয়ায় কাজ বন্ধ করে দেয়। পরদিন গতকাল বুধবার সকাল ১০ টার দিকে একই স্থানে প্রকল্পের সুপারভাইজার সানি ও ইঞ্জিনিয়ার মাজেদুর রহমান কাজ করতে গেলে তাদেরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। আত্নরক্ষায় ঘটনাস্থল হতে চলে আসার জন্য মোটর সাইকেলে ওঠলে তারা পিছন থেকে ধাওয়া করে। ফার্মের সুপারভাইজার সানির নিকট থাকা দামী মোবইল ফোনটিও কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। এ ঘটনায় নির্মাণ কাজে জড়িত শ্রমিকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে আবেদ মনসুর কনস্ট্রাকশন ঠিকাদার ফার্মের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তারাকান্দি সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার এর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী আনোয়ার হোসেন ও এলাকাবাসী জানান, তারা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তারাও গালিগালাজ ও হুমকির শিকার হন। সাধারণ মানুষ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সরকার যেখানে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, সেখানে একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কায়দায় বাধা সৃষ্টি করছে।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল হাসান (রাশেদ) বলেন, এ ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জনসাধারণ ও স্থানীয় সচেতন মহল দ্রুত এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন এবং নির্মাণকাজ যাতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি কামনা করেছেন।