গাজীপুরে কবরের উপর লাশ রেখে হামলা, আহত ২

গাজীপুর প্রতিনিধি :
০৯ জুলাই, ২০২৫, 9:08 PM
গাজীপুরে কবরের উপর লাশ রেখে হামলা, আহত ২
গাজীপুর মহানগর গাছা থানাধীন ৩৩নং ওয়ার্ডের উত্তর খাইলকুরে গত ৬ জুলাই, রবিবার রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকার মৃত নায়েব আলীর জানাযায় উপস্থিত হয়ে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য দাবি করেন সাবদুল আলী। তখন দুলাল গং জোড় পূর্বক ইমাম সাহেব কে দিয়ে জানাজার নামাজ পড়ান। নামাজ শেষে লাশ নিয়ে কবরস্থানে লাশ রেখে দুলালগং দলবল নিয়ে চা দোকানের সামনে সাবদুল ও ভাগিনা শহর আলীর উপর আক্রমণ করে।
ভুক্তভোগীর থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাবদুল আলীর পিতা, মৃত তমিজ উদ্দিন বেপারী বহু বছর ধরে গাজীপুর মহানগরের উত্তর খাইলকুর মৌজায় তার পৈত্রিক ৩.৫০ শতাংশ জমি ফিরে পেতে আইনি ও সামাজিকভাবে লড়াই করে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে তার চাচা, মৃত নায়েব আলী, জমিটি বুঝিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবে পরিণত হয়নি। একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হলেও এখন পর্যন্ত এর কোনো সুষ্ঠু নিষ্পত্তি হয়নি।
অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ইউনিট সভাপতি প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দুলাল ও তার দলবল স্থানীয় আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ৩৩নং ওয়ার্ডের কৃষক লীগ এর সাধারন সম্পাদক, মোঃ শাহ আলম ও এর পুত্র, নিষিদ্ধ সংগঠন, ছাত্রলীগের গাজীপুর মহানগর, ৩৩নং ওয়ার্ড নেতা সৈকত, রানা ,সবুজসহ আনুমানিক ১৫-২০ জন সাবদুলকে প্রকাশ্যে দোকানের সামনে মারধর শুরু করে। অকথ্য গালিগালাজ, কিল-ঘুষি, শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে । সাবদুল শরীরের বিভিন্ন স্থানে মাথা ও বুক-পিঠে গুরুতর জখম হয়। তার ভাগিনা শহর আলী ছুটে এসে রক্ষা করতে গেলে তাকেও হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করা হয়।
প্রচণ্ড আঘাতে অজ্ঞানপ্রায় সাবদুলকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তার অপরাধ সে তার ন্যায্য সম্পত্তি ফিরে পেতে চেয়েছে, যা দেশের সংবিধান অনুযায়ী একজন নাগরিকের অধিকার।
সাবদুল আলী বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং ন্যায়বিচারের আশায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন, বিষয়টির তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এই ঘটনায় শুধু সাবদুল নয়, বরং দেশজুড়ে হাজারো ভুক্তভোগীর চিত্র ফুটে উঠে। পৈত্রিক জমি, আত্মীয়তা, রাজনীতি ও প্রভাবশালী পরিচয়ের আড়ালে আইনের শাসন বারবার হোঁচট খাচ্ছে। অথচ সংবিধান প্রতিটি নাগরিককে সমান অধিকার ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিয়েছে।
অধিকার আদায়ের এই লড়াইয়ে রাষ্ট্র, সমাজ ও প্রশাসনের সকলের দায়িত্ব হচ্ছে—আইনের শাসন নিশ্চিত করা এবং দুর্বল মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। কারণ, সাবদুল মিয়ার মতো মানুষরা যদি ন্যায়বিচার না পায়, তবে সাধারণ মানুষের আস্থা হারাবে এই রাষ্ট্রব্যবস্থায়।
গাছা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গাজীপুর প্রতিনিধি :
০৯ জুলাই, ২০২৫, 9:08 PM
গাজীপুর মহানগর গাছা থানাধীন ৩৩নং ওয়ার্ডের উত্তর খাইলকুরে গত ৬ জুলাই, রবিবার রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকার মৃত নায়েব আলীর জানাযায় উপস্থিত হয়ে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য দাবি করেন সাবদুল আলী। তখন দুলাল গং জোড় পূর্বক ইমাম সাহেব কে দিয়ে জানাজার নামাজ পড়ান। নামাজ শেষে লাশ নিয়ে কবরস্থানে লাশ রেখে দুলালগং দলবল নিয়ে চা দোকানের সামনে সাবদুল ও ভাগিনা শহর আলীর উপর আক্রমণ করে।
ভুক্তভোগীর থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাবদুল আলীর পিতা, মৃত তমিজ উদ্দিন বেপারী বহু বছর ধরে গাজীপুর মহানগরের উত্তর খাইলকুর মৌজায় তার পৈত্রিক ৩.৫০ শতাংশ জমি ফিরে পেতে আইনি ও সামাজিকভাবে লড়াই করে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে তার চাচা, মৃত নায়েব আলী, জমিটি বুঝিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবে পরিণত হয়নি। একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হলেও এখন পর্যন্ত এর কোনো সুষ্ঠু নিষ্পত্তি হয়নি।
অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ইউনিট সভাপতি প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দুলাল ও তার দলবল স্থানীয় আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ৩৩নং ওয়ার্ডের কৃষক লীগ এর সাধারন সম্পাদক, মোঃ শাহ আলম ও এর পুত্র, নিষিদ্ধ সংগঠন, ছাত্রলীগের গাজীপুর মহানগর, ৩৩নং ওয়ার্ড নেতা সৈকত, রানা ,সবুজসহ আনুমানিক ১৫-২০ জন সাবদুলকে প্রকাশ্যে দোকানের সামনে মারধর শুরু করে। অকথ্য গালিগালাজ, কিল-ঘুষি, শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে । সাবদুল শরীরের বিভিন্ন স্থানে মাথা ও বুক-পিঠে গুরুতর জখম হয়। তার ভাগিনা শহর আলী ছুটে এসে রক্ষা করতে গেলে তাকেও হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করা হয়।
প্রচণ্ড আঘাতে অজ্ঞানপ্রায় সাবদুলকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তার অপরাধ সে তার ন্যায্য সম্পত্তি ফিরে পেতে চেয়েছে, যা দেশের সংবিধান অনুযায়ী একজন নাগরিকের অধিকার।
সাবদুল আলী বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং ন্যায়বিচারের আশায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন, বিষয়টির তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এই ঘটনায় শুধু সাবদুল নয়, বরং দেশজুড়ে হাজারো ভুক্তভোগীর চিত্র ফুটে উঠে। পৈত্রিক জমি, আত্মীয়তা, রাজনীতি ও প্রভাবশালী পরিচয়ের আড়ালে আইনের শাসন বারবার হোঁচট খাচ্ছে। অথচ সংবিধান প্রতিটি নাগরিককে সমান অধিকার ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিয়েছে।
অধিকার আদায়ের এই লড়াইয়ে রাষ্ট্র, সমাজ ও প্রশাসনের সকলের দায়িত্ব হচ্ছে—আইনের শাসন নিশ্চিত করা এবং দুর্বল মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। কারণ, সাবদুল মিয়ার মতো মানুষরা যদি ন্যায়বিচার না পায়, তবে সাধারণ মানুষের আস্থা হারাবে এই রাষ্ট্রব্যবস্থায়।
গাছা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পর্কিত