অধ্যক্ষ আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে ৪০লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
শাকিল আহমেদ, রংপুর প্রতিনিধি :
২৫ জুন, ২০২৫, 8:19 PM
অধ্যক্ষ আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে ৪০লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
রংপুরের বদরগঞ্জে ওয়ারেছিয়া ইসলামীয়া আলীম মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাতসহ নব নির্বাচিত এডহক কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, অত্র মাদরাসার অধ্যক্ষ ও সাবেক ওলামালীগ নেতা আব্দুল আলীম বিগত আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে ক্ষমতার দাপটে কর্মচারী নিয়োগের ডোনেশনকৃত টাকা মাদরাসার উন্নয়নের নামে প্রদান করা হলেও তিনি তা সমুদয় আত্মসাত করেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে আরো অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এবিষয়ে গত ১১মে/২০ ১৯সালে গভর্নিং বডির সভায় জুলাই-২০১৫ হতে ডিসেম্বর-২০১৮সাল মোট ৪২মাসের আয়-ব্যায় নিরিক্ষা করার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে ৩সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। যার স্মারক নং-১০৯/২০১৯ইং, উক্ত নিরিক্ষন কমিটি তার বিরুদ্ধে ৮লক্ষ ৮৯নব্বই ৬শত ৫১টাকা তছরুপের অভিযোগ এনে ১৫ই মে/২০১৯ সালে একটি প্রতিবেদন মাদরাসা অফিস সহকারীর কাছে দাখিল করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় অদ্যবধি অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম বিষয়টি সুরাহা না করে শিক্ষক কর্মচারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তার অনিয়ম দুর্নীতি ধামাচাপা দিয়ে রাখেন। এতে করে শিক্ষক কর্মচারীরা দিনদিন প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ্য রয়েছে, অত্র মাদরাসার ২০১২সালে আলিম একাদশ শ্রেণিতে পাঠ্যদান শুরু করা হয়। অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম তার নিজস্ব আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে ৩জন প্রভাষক নিয়োগ করেন। তার মধ্যে মোঃ ইমদাদুল হক অধ্যক্ষের ভগ্নিপতি। ২০১২সাল হইতে ২০২৫ইং পর্যন্ত একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তি রেজিষ্ট্রেশন ফরম পুরন, প্রসংশা পত্র, সার্টিফিকেট প্রদান সহ সব ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতিমুলক কার্যক্রম তার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করেন। আলিম একাদশ শ্রেণির অফিস সহকারী আয় ব্যায় সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র দেখাতে পারবেন না। সম্পুর্ন কাগজপত্র অধ্যক্ষের ভগ্নিপতি ইমদাদুলের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রভাষকগণ প্রতিষ্ঠানে আগমন-প্রস্থান তোয়াক্কা করেন না। অধ্যক্ষকে প্রভাষকদের আগমন প্রস্থান সম্পর্কে অত্র মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রউফের কাছে বারংবার অভিযোগ করার পরেও অধ্যক্ষের আত্মীয়তা সম্পর্কের কারণে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি। এছাড়াও সরকারী বিধি মোতাবেক অত্র প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটি গঠন করার নিমিত্তে অধ্যক্ষ আব্দুল আলীমের নিকট নির্দেশ আসে। এরপর তিনি পুর্বের দুর্নীতিগুলোকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তার ভগ্নিপতির ভাতিজা জামাইকে শিক্ষক প্রতিনিধি পদে তালিকাভুক্ত করেন। যা তদন্ত করলেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। অপরদিকে অধ্যক্ষ আব্দুল আলীমের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত চেয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিস সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে ।
গতকাল বুধবার অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ অব্দুল আলীম সাংবাদিকদের বলেন, তৎকালিন সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের এমপি ডিউক চৌধুরী আমাকে জিম্মি করে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তাই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য প্রতিটি নিয়োগ বাবদ কত টাকা ডোনেশন নেওয়া হয়েছিল ওই বিষয়টি আমার জানা নেই।
এবিষয়ে বদরগঞ্জ নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ফলে তার কোন মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
শাকিল আহমেদ, রংপুর প্রতিনিধি :
২৫ জুন, ২০২৫, 8:19 PM
রংপুরের বদরগঞ্জে ওয়ারেছিয়া ইসলামীয়া আলীম মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাতসহ নব নির্বাচিত এডহক কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, অত্র মাদরাসার অধ্যক্ষ ও সাবেক ওলামালীগ নেতা আব্দুল আলীম বিগত আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে ক্ষমতার দাপটে কর্মচারী নিয়োগের ডোনেশনকৃত টাকা মাদরাসার উন্নয়নের নামে প্রদান করা হলেও তিনি তা সমুদয় আত্মসাত করেন। এমনকি তার বিরুদ্ধে আরো অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এবিষয়ে গত ১১মে/২০ ১৯সালে গভর্নিং বডির সভায় জুলাই-২০১৫ হতে ডিসেম্বর-২০১৮সাল মোট ৪২মাসের আয়-ব্যায় নিরিক্ষা করার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে ৩সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। যার স্মারক নং-১০৯/২০১৯ইং, উক্ত নিরিক্ষন কমিটি তার বিরুদ্ধে ৮লক্ষ ৮৯নব্বই ৬শত ৫১টাকা তছরুপের অভিযোগ এনে ১৫ই মে/২০১৯ সালে একটি প্রতিবেদন মাদরাসা অফিস সহকারীর কাছে দাখিল করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় অদ্যবধি অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম বিষয়টি সুরাহা না করে শিক্ষক কর্মচারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তার অনিয়ম দুর্নীতি ধামাচাপা দিয়ে রাখেন। এতে করে শিক্ষক কর্মচারীরা দিনদিন প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ্য রয়েছে, অত্র মাদরাসার ২০১২সালে আলিম একাদশ শ্রেণিতে পাঠ্যদান শুরু করা হয়। অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম তার নিজস্ব আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে ৩জন প্রভাষক নিয়োগ করেন। তার মধ্যে মোঃ ইমদাদুল হক অধ্যক্ষের ভগ্নিপতি। ২০১২সাল হইতে ২০২৫ইং পর্যন্ত একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তি রেজিষ্ট্রেশন ফরম পুরন, প্রসংশা পত্র, সার্টিফিকেট প্রদান সহ সব ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতিমুলক কার্যক্রম তার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করেন। আলিম একাদশ শ্রেণির অফিস সহকারী আয় ব্যায় সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র দেখাতে পারবেন না। সম্পুর্ন কাগজপত্র অধ্যক্ষের ভগ্নিপতি ইমদাদুলের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রভাষকগণ প্রতিষ্ঠানে আগমন-প্রস্থান তোয়াক্কা করেন না। অধ্যক্ষকে প্রভাষকদের আগমন প্রস্থান সম্পর্কে অত্র মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রউফের কাছে বারংবার অভিযোগ করার পরেও অধ্যক্ষের আত্মীয়তা সম্পর্কের কারণে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি। এছাড়াও সরকারী বিধি মোতাবেক অত্র প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটি গঠন করার নিমিত্তে অধ্যক্ষ আব্দুল আলীমের নিকট নির্দেশ আসে। এরপর তিনি পুর্বের দুর্নীতিগুলোকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তার ভগ্নিপতির ভাতিজা জামাইকে শিক্ষক প্রতিনিধি পদে তালিকাভুক্ত করেন। যা তদন্ত করলেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। অপরদিকে অধ্যক্ষ আব্দুল আলীমের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত চেয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিস সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে ।
গতকাল বুধবার অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ অব্দুল আলীম সাংবাদিকদের বলেন, তৎকালিন সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের এমপি ডিউক চৌধুরী আমাকে জিম্মি করে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তাই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য প্রতিটি নিয়োগ বাবদ কত টাকা ডোনেশন নেওয়া হয়েছিল ওই বিষয়টি আমার জানা নেই।
এবিষয়ে বদরগঞ্জ নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ফলে তার কোন মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।