ঢাকা ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
শিরোনামঃ
সরিষাবাড়ীতে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল গাজীপুরে ছাত্রদলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল  গাজীপুরে কৃষক দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল  পিরোজপুরে  সাংবাদিক মাইনুল ইসলাম মামুনের উপর অতর্কিত হামলা বাগেরহাট যুবদলের কোরান খতম ও দোয়া মাহফিল বাংলাদেশে কারও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে চাইলে সরকার সহায়তা করবে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই আমাদের পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস: তারেক রহমান চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন বেগম খালেদা জিয়া : জাহিদ হোসেন এলপিজি দাম সমন্বয় করেছে সরকার

চাঁদপুরে সরকারি চাল উদ্ধার, গ্রাম পুলিশ আটক

#
news image

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গ্রাম পুলিশ সদস্য স্বপন সাহার বসতঘর থেকে ২০ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধারের পর তাকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার সকালে উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের বড়কুলে গ্রাম পুলিশের বসতঘর থেকে ২০ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে স্বপন সাহা স্থানীয় লোকজনের কাছে সরকারি চাল বিক্রি করছেন। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকার লোকজন আজ সকালে তার বসতঘরে গিয়ে সরকারি চালের বস্তা দেখতে পায়। পরে উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন ওই বাড়িতে গিয়ে স্বপন সাহার বসতঘরের ভিতরে ৫০ কেজি ওজনের ৯ বস্তা, ৩০ কেজি ওজনের ৫ বস্তা ও চালের ১২টি খালি বস্তা দেখতে পান। এসময় ৬ বস্তা চাল বিক্রি করার কথা স্বীকার করেন স্বপন।

অভিযুক্ত স্বপন সাহা বলেছেন, ভিজিএফের চালগুলো আমি মানুষের কাছ থেকে কিনে রেখেছি। এখন আবার বিক্রি করে দিচ্ছি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মুজিব বলেছেন, ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে ২ হাজার ১২৮ টি ভিজিএফের কার্ড আসে। ১৬৮ কার্ডে ১৫০ কেজি করে দেয়ার কথা রয়েছে। যা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, ইউপি সদস্য রশিদ ও গ্রাম পুলিশ স্বপন সাহা বিতরণ করেন।

চেয়ারম্যান আরো বলেছেন, স্বপনের সাথে কথা হলে সে জানায়, আতপ চালের কারণে অনেকে খেতে চায় না। তাই বিক্রি করে দিয়েছে। আর বিক্রিকৃত চালগুলো সে কিনেছে। এখন ইউএনও এর নির্দেশে চালগুলো জব্দ করা হয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে, যে জড়িত থাকুক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেছেন, চাল জব্দসহ অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশের সদস্য স্বপন সাহাকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কার কাছ থেকে চাল ক্রয় করেছে কারো নাম বলতে পারেনি। কিন্তু কার কাছে সে চাল বিক্রি করেছে তা বলতে পারছে। বিতরণের সময় কেউ কেউ চাল পায়নি এমন অভিযোগও রয়েছে।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেছেন, এই ঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন।

চাঁদপুর প্রতিনিধি :

১৯ জুন, ২০২৫,  6:13 AM

news image

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে গ্রাম পুলিশ সদস্য স্বপন সাহার বসতঘর থেকে ২০ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধারের পর তাকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার সকালে উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের বড়কুলে গ্রাম পুলিশের বসতঘর থেকে ২০ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে স্বপন সাহা স্থানীয় লোকজনের কাছে সরকারি চাল বিক্রি করছেন। বিষয়টি জানতে পেরে এলাকার লোকজন আজ সকালে তার বসতঘরে গিয়ে সরকারি চালের বস্তা দেখতে পায়। পরে উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন ওই বাড়িতে গিয়ে স্বপন সাহার বসতঘরের ভিতরে ৫০ কেজি ওজনের ৯ বস্তা, ৩০ কেজি ওজনের ৫ বস্তা ও চালের ১২টি খালি বস্তা দেখতে পান। এসময় ৬ বস্তা চাল বিক্রি করার কথা স্বীকার করেন স্বপন।

অভিযুক্ত স্বপন সাহা বলেছেন, ভিজিএফের চালগুলো আমি মানুষের কাছ থেকে কিনে রেখেছি। এখন আবার বিক্রি করে দিচ্ছি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মুজিব বলেছেন, ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে ২ হাজার ১২৮ টি ভিজিএফের কার্ড আসে। ১৬৮ কার্ডে ১৫০ কেজি করে দেয়ার কথা রয়েছে। যা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, ইউপি সদস্য রশিদ ও গ্রাম পুলিশ স্বপন সাহা বিতরণ করেন।

চেয়ারম্যান আরো বলেছেন, স্বপনের সাথে কথা হলে সে জানায়, আতপ চালের কারণে অনেকে খেতে চায় না। তাই বিক্রি করে দিয়েছে। আর বিক্রিকৃত চালগুলো সে কিনেছে। এখন ইউএনও এর নির্দেশে চালগুলো জব্দ করা হয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে, যে জড়িত থাকুক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেছেন, চাল জব্দসহ অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশের সদস্য স্বপন সাহাকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে কার কাছ থেকে চাল ক্রয় করেছে কারো নাম বলতে পারেনি। কিন্তু কার কাছে সে চাল বিক্রি করেছে তা বলতে পারছে। বিতরণের সময় কেউ কেউ চাল পায়নি এমন অভিযোগও রয়েছে।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেছেন, এই ঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন।