"তালাকের রেজিস্ট্রি কপি পেতে লুৎফির ভোগান্তি, কাজীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ"
খন্দকার মোহাম্মাদ আলী, রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো চিফ :
১৮ জুন, ২০২৫, 1:55 AM
"তালাকের রেজিস্ট্রি কপি পেতে লুৎফির ভোগান্তি, কাজীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ"
রাজশাহীতে তালাকের নোটিশ পাঠানোর সাড়ে তিন মাস অতিবাহিত হলেও তালাকের রেজিস্ট্রি কপি পেতে জালিয়াতি, হয়রানি ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের শিকার হচ্ছেন লুৎফি নামে এক নারী।নিকাহ রেজিস্টার (কাজী) মোখলেসুর রহমান কর্তৃক জালিয়াতি, হয়রানি ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের শিকার হয়ে মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে রাজশাহী জেলা রেজিস্টার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
দিনাজপুর জেলার বিরল থানার স্থায়ী বাসিন্দা লুৎফি জানান, চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্টার (কাজী) মোখলেসুর রহমানের মাধ্যমে আমি তালাক নোটিশ করেছিলাম। তিনি জানান, কাজী মোখলেসুর রহমান আমার সাবেক স্বামীর বন্ধু হন। সেই সম্পর্কের সুবাদে আমার তালাকের নোটিশে মোখলেসুর রহমান নিজের নাম পরিচয় উল্লেখ না করে রাজশাহীর পবা উপজেলার ১নং দর্শনপাড়া ইউনিয়নের কাজী মোশারফ হোসেনের স্বাক্ষর ও সীল নকল এবং জালিয়াতি করে তালাকের নোটিশ দিয়েছেন। প্রেরকের স্থানে অপ্রয়োজনীয় সত্ত্বেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বোনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেছেন, যা অনৈতিক ও আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
লুৎফি প্রমাণ হিসেবে ভিডিও ডকুমেন্টারি দেখিয়ে বলেন, তালাকের নোটিশ পাঠানোর কথা বলে আমার কাছ থেকে অতিরিক্ত ৭ হাজার আটশত টাকা নিয়েছেন কাজী মোখলেসুর রহমান। এছাড়া প্রায় চার মাস পূর্ণ হতে চললো, অথচ আমাকে তালাকের রেজিস্ট্রির কপি দিচ্ছেন না। নানা টালবাহানা করে শুধু সময়ক্ষেপন করছেন।
লুৎফি অভিযোগ করে বলেন, কাজী মোখলেসুর রহমানের কাছে তালাকের রেজিস্ট্রী কপি চাইলে তিনি কাজী মোশারফ হোসেনের কাছ থেকে তা নিতে বলছেন। আবার কাজী মোশারফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এই ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমার সিল ও স্বাক্ষর নকল এবং জালিয়াতি করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আমি দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছি।
এ ব্যাপারে কাজী মোশারফ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, কাজী মোখলেসুর রহমান আমার স্বাক্ষর এবং সিল নকল ও জালিয়াতি করে তালাক নোটিশ পাঠিয়েছেন। কিন্তু তালাক নোটিশের বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না।
জানতে চাইলে কাজী মোখলেসুর রহমান বলেন, যেহেতু তালাকের নোটিশ কাজী মোশারফ হোসেন পাঠিয়েছেন, সেহেতু তিনি তালাক রেজিস্ট্রি দিবেন। অতিরিক্ত টাকা নিয়ে জালিয়াতি এবং হয়রানি কেন করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার কিছুই করার নেই। আপনারা যা পারেন করেন।
এদিকে লুৎফি আরো অভিযোগ করেন, রাজশাহী জেলা রেজিস্টার আমার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন। কিন্তু এর কোনো রিসিভ কপি আমাকে দেওয়া হবে না বলে জেলা রেজিস্ট্রার অফিস থেকে জানানো হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোবাইলে জেলা রেজিস্ট্রার আবদুর রকিব সিদ্দিকের মুঠোফোন ও হোয়াটস অ্যাপে বার বার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
খন্দকার মোহাম্মাদ আলী, রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো চিফ :
১৮ জুন, ২০২৫, 1:55 AM
রাজশাহীতে তালাকের নোটিশ পাঠানোর সাড়ে তিন মাস অতিবাহিত হলেও তালাকের রেজিস্ট্রি কপি পেতে জালিয়াতি, হয়রানি ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের শিকার হচ্ছেন লুৎফি নামে এক নারী।নিকাহ রেজিস্টার (কাজী) মোখলেসুর রহমান কর্তৃক জালিয়াতি, হয়রানি ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের শিকার হয়ে মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে রাজশাহী জেলা রেজিস্টার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
দিনাজপুর জেলার বিরল থানার স্থায়ী বাসিন্দা লুৎফি জানান, চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্টার (কাজী) মোখলেসুর রহমানের মাধ্যমে আমি তালাক নোটিশ করেছিলাম। তিনি জানান, কাজী মোখলেসুর রহমান আমার সাবেক স্বামীর বন্ধু হন। সেই সম্পর্কের সুবাদে আমার তালাকের নোটিশে মোখলেসুর রহমান নিজের নাম পরিচয় উল্লেখ না করে রাজশাহীর পবা উপজেলার ১নং দর্শনপাড়া ইউনিয়নের কাজী মোশারফ হোসেনের স্বাক্ষর ও সীল নকল এবং জালিয়াতি করে তালাকের নোটিশ দিয়েছেন। প্রেরকের স্থানে অপ্রয়োজনীয় সত্ত্বেও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বোনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেছেন, যা অনৈতিক ও আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
লুৎফি প্রমাণ হিসেবে ভিডিও ডকুমেন্টারি দেখিয়ে বলেন, তালাকের নোটিশ পাঠানোর কথা বলে আমার কাছ থেকে অতিরিক্ত ৭ হাজার আটশত টাকা নিয়েছেন কাজী মোখলেসুর রহমান। এছাড়া প্রায় চার মাস পূর্ণ হতে চললো, অথচ আমাকে তালাকের রেজিস্ট্রির কপি দিচ্ছেন না। নানা টালবাহানা করে শুধু সময়ক্ষেপন করছেন।
লুৎফি অভিযোগ করে বলেন, কাজী মোখলেসুর রহমানের কাছে তালাকের রেজিস্ট্রী কপি চাইলে তিনি কাজী মোশারফ হোসেনের কাছ থেকে তা নিতে বলছেন। আবার কাজী মোশারফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এই ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমার সিল ও স্বাক্ষর নকল এবং জালিয়াতি করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আমি দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছি।
এ ব্যাপারে কাজী মোশারফ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, কাজী মোখলেসুর রহমান আমার স্বাক্ষর এবং সিল নকল ও জালিয়াতি করে তালাক নোটিশ পাঠিয়েছেন। কিন্তু তালাক নোটিশের বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না।
জানতে চাইলে কাজী মোখলেসুর রহমান বলেন, যেহেতু তালাকের নোটিশ কাজী মোশারফ হোসেন পাঠিয়েছেন, সেহেতু তিনি তালাক রেজিস্ট্রি দিবেন। অতিরিক্ত টাকা নিয়ে জালিয়াতি এবং হয়রানি কেন করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার কিছুই করার নেই। আপনারা যা পারেন করেন।
এদিকে লুৎফি আরো অভিযোগ করেন, রাজশাহী জেলা রেজিস্টার আমার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন। কিন্তু এর কোনো রিসিভ কপি আমাকে দেওয়া হবে না বলে জেলা রেজিস্ট্রার অফিস থেকে জানানো হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোবাইলে জেলা রেজিস্ট্রার আবদুর রকিব সিদ্দিকের মুঠোফোন ও হোয়াটস অ্যাপে বার বার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।