সিরাজগঞ্জে শিশু সিয়ামের মৃত্যুর তারিখ নিয়ে ধূম্রজাল, দুই বছর চারমাস পর হত্যা মামলা
খন্দকার মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী বিভাগীয় ব্যূরোচিফ :
১৪ জুন, ২০২৫, 4:32 PM
সিরাজগঞ্জে শিশু সিয়ামের মৃত্যুর তারিখ নিয়ে ধূম্রজাল, দুই বছর চারমাস পর হত্যা মামলা
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার কদমতলী গ্রামের শিশু সিয়ামের (১১) রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য ও ধূম্রজাল। মৃত্যুর দুই বছর চার মাস পর বাবার দায়ের করা হত্যা মামলার পর নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে ঘটনাটি। মামলার তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (পিবিআই)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি সকালে সিয়ামকে হাজী আলতাফ হোসেনের লোকজন বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে মারধর ও হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। সিয়ামকে আহত অবস্থায় বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহ দাফন করা হয়।
সিয়ামের পরিবারের দাবি, শিশুটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সময় প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপ ও আর্থিক অক্ষমতার কারণে অভিযোগ জানাতে পারেননি তারা। অবশেষে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ আমলী আদালতে হাজী আলতাফসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে পিটিশন নং ৭৭/২৫ অনুযায়ী হত্যা মামলা দায়ের করেন শিশুর বাবা মো. এলাহি।
এ ঘটনার মূল বিতর্কে রয়েছে সিয়ামের মৃত্যুর প্রকৃত তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি । বিবাদীরা দাবি করছেন, সিয়ামের মৃত্যু ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর, যখন সে আলতাফ হোসেনের বাড়ির টিনের চাল থেকে পড়ে মারা যায়। রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. নূরুল ইসলামও গণমাধ্যমকে জানান, মৃত্যুর দিন বৃষ্টি হচ্ছিল এবং ঘটনাটি ঘটে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে।
কিন্তু সিয়ামের মৃত্যুসনদে যেটিতে ইউপি সদস্যের স্বাক্ষরে দেখা যায় ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি, যা নিয়ে দেখা দিয়েছে বড় ধরনের অসঙ্গতি। অথচ ইউপি সদস্য দাবি করেন, তিনি এমন কোনো সনদে স্বাক্ষর করেননি।
মামলা দায়েরের পর থেকেই বাদী মো. এলাহি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিবাদীরা তাকে হত্যার হুমকি দেয়ায় তিনি বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন এবং আদালতে ১০৭ ও ১১৭(৩) ধারায় আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন আলতাফ হোসেন গং দের বিরুদ্ধে।
সিয়ামের মা জানান, মামলার পর থেকে তাদের পরিবার হুমকির মধ্যে রয়েছে। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, বিবাদী আলতাফ হোসেন তাকে বাড়ি ও জায়গা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও কিছুই পুরন করেন নি।
পি বি আই এর তদন্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম জানান, আদালতের নির্দেশে সুষ্ঠু তদন্ত চলছে এবং শিগগিরই মামলার অগ্রগতি দেখা যাবে। পিবিআই ইতোমধ্যেই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে।
সিয়ামের মৃত্যুকে ঘিরে তারিখ বিভ্রান্তি, ইউনিয়ন পরিষদের কাগজে গড়মিল এবং প্রভাবশালীদের ভূমিকা—সব মিলিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী বলছে, “সিয়ামের মৃত্যু দুর্ঘটনা না কি হত্যা—এই প্রশ্নের উত্তর আমরা চাই। প্রকৃত ঘটনা তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
খন্দকার মোহাম্মদ আলী, রাজশাহী বিভাগীয় ব্যূরোচিফ :
১৪ জুন, ২০২৫, 4:32 PM
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার কদমতলী গ্রামের শিশু সিয়ামের (১১) রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য ও ধূম্রজাল। মৃত্যুর দুই বছর চার মাস পর বাবার দায়ের করা হত্যা মামলার পর নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে ঘটনাটি। মামলার তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (পিবিআই)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি সকালে সিয়ামকে হাজী আলতাফ হোসেনের লোকজন বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে মারধর ও হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। সিয়ামকে আহত অবস্থায় বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহ দাফন করা হয়।
সিয়ামের পরিবারের দাবি, শিশুটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সময় প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপ ও আর্থিক অক্ষমতার কারণে অভিযোগ জানাতে পারেননি তারা। অবশেষে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ আমলী আদালতে হাজী আলতাফসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে পিটিশন নং ৭৭/২৫ অনুযায়ী হত্যা মামলা দায়ের করেন শিশুর বাবা মো. এলাহি।
এ ঘটনার মূল বিতর্কে রয়েছে সিয়ামের মৃত্যুর প্রকৃত তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি । বিবাদীরা দাবি করছেন, সিয়ামের মৃত্যু ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর, যখন সে আলতাফ হোসেনের বাড়ির টিনের চাল থেকে পড়ে মারা যায়। রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. নূরুল ইসলামও গণমাধ্যমকে জানান, মৃত্যুর দিন বৃষ্টি হচ্ছিল এবং ঘটনাটি ঘটে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে।
কিন্তু সিয়ামের মৃত্যুসনদে যেটিতে ইউপি সদস্যের স্বাক্ষরে দেখা যায় ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি, যা নিয়ে দেখা দিয়েছে বড় ধরনের অসঙ্গতি। অথচ ইউপি সদস্য দাবি করেন, তিনি এমন কোনো সনদে স্বাক্ষর করেননি।
মামলা দায়েরের পর থেকেই বাদী মো. এলাহি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিবাদীরা তাকে হত্যার হুমকি দেয়ায় তিনি বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছেন এবং আদালতে ১০৭ ও ১১৭(৩) ধারায় আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন আলতাফ হোসেন গং দের বিরুদ্ধে।
সিয়ামের মা জানান, মামলার পর থেকে তাদের পরিবার হুমকির মধ্যে রয়েছে। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, বিবাদী আলতাফ হোসেন তাকে বাড়ি ও জায়গা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও কিছুই পুরন করেন নি।
পি বি আই এর তদন্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম জানান, আদালতের নির্দেশে সুষ্ঠু তদন্ত চলছে এবং শিগগিরই মামলার অগ্রগতি দেখা যাবে। পিবিআই ইতোমধ্যেই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে।
সিয়ামের মৃত্যুকে ঘিরে তারিখ বিভ্রান্তি, ইউনিয়ন পরিষদের কাগজে গড়মিল এবং প্রভাবশালীদের ভূমিকা—সব মিলিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী বলছে, “সিয়ামের মৃত্যু দুর্ঘটনা না কি হত্যা—এই প্রশ্নের উত্তর আমরা চাই। প্রকৃত ঘটনা তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”