নোয়াখালীতে শিশু কন্যাকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক নারী

শাহাদাত হোসেন, নোয়াখালী প্রতিনিধি :
১৪ জুন, ২০২৫, 1:23 PM

নোয়াখালীতে শিশু কন্যাকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক নারী
নোয়াখালীর সদর উপজেলার কাদির হনিফ ইউনিয়নে চার বছরের শিশু কন্যা মাইশা আক্তারসহ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রাবেয়া বসরি রাহী (২৭) নামে এক গৃহবধূ।
বৃহস্পতিবার(১২জুন)সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কাদির হানিফ ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের মান্নানের বাড়ি থেকে নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন,ওই বাড়ির রুবেলের স্ত্রী রাবেয়া বসরি রাহী ও তার মেয়ে মাইশা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫ বছর আগে রুবেল রাহীকে বিয়ে করে। এটি ছিল রুবেলের দ্বিতীয় বিয়ে। গত ১০ জুন রাহী তার বোনকে মুঠোফোনে কল দিয়ে নিজের মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যা করবে বলে জানায়। রাহীর অভিযোগ ছিল তার স্বামী জুয়া খেলে টাকা নষ্ট করে। তার অন্য দুই ভাই নতুন ঘর করলেও তার স্বামী কোন ঘর করতে পারেনি। সংসারের দিকে তেমন খেয়াল রাখে না। রুবেল তার বোনেদের বেশি সহযোগিতা করত।
স্থানীয়রা আরও জানান, পারিবারিক এসব ঘটনার জেরে রাহী স্বামীর ওপর অভিমান করে। বাড়ির অন্য সদস্যরা দাওয়াত খেতে যাওয়ার সুযোগে বিকালের কোন একসময় মেয়েকে নিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে রাহী। পরে রুবেল বাড়ি ফিরে আসলে তাদের শয়ন কক্ষের আঁড়ার সাথে দুটি রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাদের দুজনের মৃতদেহ দেখতে পান।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।
শাহাদাত হোসেন, নোয়াখালী প্রতিনিধি :
১৪ জুন, ২০২৫, 1:23 PM

নোয়াখালীর সদর উপজেলার কাদির হনিফ ইউনিয়নে চার বছরের শিশু কন্যা মাইশা আক্তারসহ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রাবেয়া বসরি রাহী (২৭) নামে এক গৃহবধূ।
বৃহস্পতিবার(১২জুন)সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কাদির হানিফ ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের মান্নানের বাড়ি থেকে নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন,ওই বাড়ির রুবেলের স্ত্রী রাবেয়া বসরি রাহী ও তার মেয়ে মাইশা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫ বছর আগে রুবেল রাহীকে বিয়ে করে। এটি ছিল রুবেলের দ্বিতীয় বিয়ে। গত ১০ জুন রাহী তার বোনকে মুঠোফোনে কল দিয়ে নিজের মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যা করবে বলে জানায়। রাহীর অভিযোগ ছিল তার স্বামী জুয়া খেলে টাকা নষ্ট করে। তার অন্য দুই ভাই নতুন ঘর করলেও তার স্বামী কোন ঘর করতে পারেনি। সংসারের দিকে তেমন খেয়াল রাখে না। রুবেল তার বোনেদের বেশি সহযোগিতা করত।
স্থানীয়রা আরও জানান, পারিবারিক এসব ঘটনার জেরে রাহী স্বামীর ওপর অভিমান করে। বাড়ির অন্য সদস্যরা দাওয়াত খেতে যাওয়ার সুযোগে বিকালের কোন একসময় মেয়েকে নিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে রাহী। পরে রুবেল বাড়ি ফিরে আসলে তাদের শয়ন কক্ষের আঁড়ার সাথে দুটি রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাদের দুজনের মৃতদেহ দেখতে পান।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতদের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।