প্রশিক্ষণার্থীদের খাবারের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সিরাজগঞ্জে যুব প্রশিক্ষন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে
খন্দকার মোহাম্মাদ আলী, রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো চিফ :
৩০ মে, ২০২৫, 6:48 PM
প্রশিক্ষণার্থীদের খাবারের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সিরাজগঞ্জে যুব প্রশিক্ষন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে
প্রশিক্ষণার্থীদের খাবারের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রর ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর শফিকুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে। কো-অর্ডিনেটর খাবার না দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করছেন বলে জানিয়েছেন প্রশিক্ষণার্থীরা। তবে কর্মকর্তার দাবি, খাবারের জন্য বাজার করে যে টাকা বেঁচে যায় তা প্রশিক্ষণার্থীদের বরাদ্দা দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষণার্থী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে গবাদি পশু পালন প্রশিক্ষন কোর্সের জন্য ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থীর খাবারের জন্য জন প্রতি ৪ হাজার ৫শ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী ভর্তিকৃত প্রশিক্ষণার্থীরা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ছাত্রবাসে থেকে প্রশিক্ষন নেবে। ছাত্রবাসে থাকা প্রশিক্ষণার্থীদের খাবারের জন্য জন প্রতি ৪ হাজার ৫শ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু অধিকাংশ প্রশিক্ষণার্থী ছাত্রবাসে থাকেন না। অনেকে এক বেলা খেয়ে থাকেন। এজন্য খাবারের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা থেকে যায়।
প্রশিক্ষণার্থীদের অভিযোগ, ৪-৫ জন প্রশিক্ষণার্থী ছাত্রবাসে থেকেছেন। বাকিরা বাড়ি থেকে এসে প্রশিক্ষন নিয়েছেন। তাদের খাবার খেতে হয়নি। খাবারের টাকা থেকে গেছে। আমরা এই টাকা ফেরত চাই। কিন্তু ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর শফিকুল ইসলাম খান খাবারের ৪ হাজার ৫শ টাকার স্থলে ১ হাজার ২০ টাকা করে দিতে রাজি হন। বাকি টাকা আত্মসাৎ করছেন। এর পর থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
সিরাজগঞ্জ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রর ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর শফিকুল ইসলাম খান বলেন, টাকা আতœসাতের অভিযোগ ঠিক না। ছাত্রদের খাবারের জন্য বাজার করে কিছু টাকা বেচে গেছে। ওই টাকা থেকে প্রতিজন প্রশিক্ষণার্থীকে ১ হাজার ২০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।
প্রশিক্ষণার্থী আব্দুন নূর বলেন, ৪-৫ জন প্রশিক্ষণার্থী ছাত্রবাসে থেকেছে। বাকিরা বাড়ি থেকে এসে প্রশিক্ষন নিয়েছে। কিছু ছাত্র শুধু দুপুরে খেয়েছে। ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থীর জন্য বরাদ্দ ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এই টাকা থেকে বাজার বাবদ প্রায় ৬৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাকি টাকা কোথায় গেল। এভাবে প্রতিবছরই হয়ে থাকে। খাবারের টাকা বাজারের নামে আতœসাত করা হয়।
প্রশিক্ষণার্থী মোকলেসুর রহমান মামুন বলেন, অনিয়ম আর দুর্ণীতিতে ভরে গেছে যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্র। আমি পরীক্ষার এক দিন আগে এসে ভর্তি হয়েছি। খাবারের মান খুব খারাপ। আমার খাবারের জন্য ৪ হাজার ৫শ টাকা বরাদ্দ। আমি ছাত্রবাসে রাতে থাকিনি বা খাইনি। এখন আমাকে টাকা দিচ্ছে ১ হাজার ২০ টাকা। বাকি টাকা কোথায় গেল। এজন্য আমি টাকা নেয়নি। আমার বরাদ্দের পুরো টাকায় দিতে হবে।
খন্দকার মোহাম্মাদ আলী, রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো চিফ :
৩০ মে, ২০২৫, 6:48 PM
প্রশিক্ষণার্থীদের খাবারের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রর ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর শফিকুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে। কো-অর্ডিনেটর খাবার না দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করছেন বলে জানিয়েছেন প্রশিক্ষণার্থীরা। তবে কর্মকর্তার দাবি, খাবারের জন্য বাজার করে যে টাকা বেঁচে যায় তা প্রশিক্ষণার্থীদের বরাদ্দা দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষণার্থী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে গবাদি পশু পালন প্রশিক্ষন কোর্সের জন্য ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থীর খাবারের জন্য জন প্রতি ৪ হাজার ৫শ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী ভর্তিকৃত প্রশিক্ষণার্থীরা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ছাত্রবাসে থেকে প্রশিক্ষন নেবে। ছাত্রবাসে থাকা প্রশিক্ষণার্থীদের খাবারের জন্য জন প্রতি ৪ হাজার ৫শ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু অধিকাংশ প্রশিক্ষণার্থী ছাত্রবাসে থাকেন না। অনেকে এক বেলা খেয়ে থাকেন। এজন্য খাবারের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা থেকে যায়।
প্রশিক্ষণার্থীদের অভিযোগ, ৪-৫ জন প্রশিক্ষণার্থী ছাত্রবাসে থেকেছেন। বাকিরা বাড়ি থেকে এসে প্রশিক্ষন নিয়েছেন। তাদের খাবার খেতে হয়নি। খাবারের টাকা থেকে গেছে। আমরা এই টাকা ফেরত চাই। কিন্তু ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর শফিকুল ইসলাম খান খাবারের ৪ হাজার ৫শ টাকার স্থলে ১ হাজার ২০ টাকা করে দিতে রাজি হন। বাকি টাকা আত্মসাৎ করছেন। এর পর থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
সিরাজগঞ্জ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রর ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর শফিকুল ইসলাম খান বলেন, টাকা আতœসাতের অভিযোগ ঠিক না। ছাত্রদের খাবারের জন্য বাজার করে কিছু টাকা বেচে গেছে। ওই টাকা থেকে প্রতিজন প্রশিক্ষণার্থীকে ১ হাজার ২০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।
প্রশিক্ষণার্থী আব্দুন নূর বলেন, ৪-৫ জন প্রশিক্ষণার্থী ছাত্রবাসে থেকেছে। বাকিরা বাড়ি থেকে এসে প্রশিক্ষন নিয়েছে। কিছু ছাত্র শুধু দুপুরে খেয়েছে। ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থীর জন্য বরাদ্দ ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এই টাকা থেকে বাজার বাবদ প্রায় ৬৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাকি টাকা কোথায় গেল। এভাবে প্রতিবছরই হয়ে থাকে। খাবারের টাকা বাজারের নামে আতœসাত করা হয়।
প্রশিক্ষণার্থী মোকলেসুর রহমান মামুন বলেন, অনিয়ম আর দুর্ণীতিতে ভরে গেছে যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্র। আমি পরীক্ষার এক দিন আগে এসে ভর্তি হয়েছি। খাবারের মান খুব খারাপ। আমার খাবারের জন্য ৪ হাজার ৫শ টাকা বরাদ্দ। আমি ছাত্রবাসে রাতে থাকিনি বা খাইনি। এখন আমাকে টাকা দিচ্ছে ১ হাজার ২০ টাকা। বাকি টাকা কোথায় গেল। এজন্য আমি টাকা নেয়নি। আমার বরাদ্দের পুরো টাকায় দিতে হবে।
সম্পর্কিত