জুলাই আন্দোলনে হত্যা মামলায় নিরপরাধদের আসামী বানিয়ে বাণিজ্য
গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
২৭ মে, ২০২৫, 6:03 PM
জুলাই আন্দোলনে হত্যা মামলায় নিরপরাধদের আসামী বানিয়ে বাণিজ্য
গাজীপুরে জুলাই আন্দোলনে একটি হত্যা মামলায় নিরপরাদ মানুষদের আসামী বানিয়ে চিহ্নিত যুবলীগদের সহযোগীতায় মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে। এঘটনায় ওসি আলী মোহাম্মদ রাশেদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত জুলাই যোদ্ধা শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন সাদিক। এছাড়াও মঙ্গলবার সকালে টঙ্গী প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেছেন সাদিক।
সংবাদ সম্মেলনে সালাউদ্দিন সাদিক বলেন, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই উত্তরা ৭ নং সেক্টর আধুনিক হাসপাতালের সামনের গলিতে শহীদ রেদওয়ান শরীফ রিয়াদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আমার কোলে শহীদ হয়। ঐদিন রিয়াদের রক্তে আমার পুরো শরীর ভিজে গিয়েছিল এবং রক্তে ভিজে থাকা পোশাক পরে প্রায় ছয় ঘন্টা আমি অতিবাহিত করি। এরপর দিন ২০ জুলাই হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথার বাম পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসীরা।
এরপর ৫ ই আগস্টের স্বৈরাচারীর পতনের পর থেকে আমার জীবনযাপনটা অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে, নিজের চোখে দেখা জুলাইয়ের প্রত্যেকটি নির্মম ঘটনা বারবার মনে পড়ে। সেই অনুভূতিগুলই আমার স্বাভাবিক জীবনযাপন কে বাধাগ্রস্থ করে, যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমার পড়ালেখা। এমনকি আমি আমার নিজের জীবনের স্বপ্ন পূরণের কথা ভুলে গিয়ে, শুধুমাত্র জুলাইয়ের স্মৃতি এবং অর্জনের পরে ভিত্তি করে চলতে থাকে প্রতিটি দিন। জুলাইয়ের এই নির্মম ঘটনাগুলোর সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে ন্যূনতম হলেও কোন শাস্তির ব্যবস্থাটুকু না করে সাধারণ জীবনযাপনে ফিরে যাওয়াটা জীবনটাকে হুমকির মুখে ফেলে দিবে।
গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
২৭ মে, ২০২৫, 6:03 PM
গাজীপুরে জুলাই আন্দোলনে একটি হত্যা মামলায় নিরপরাদ মানুষদের আসামী বানিয়ে চিহ্নিত যুবলীগদের সহযোগীতায় মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে। এঘটনায় ওসি আলী মোহাম্মদ রাশেদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত জুলাই যোদ্ধা শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন সাদিক। এছাড়াও মঙ্গলবার সকালে টঙ্গী প্রেসক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেছেন সাদিক।
সংবাদ সম্মেলনে সালাউদ্দিন সাদিক বলেন, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই উত্তরা ৭ নং সেক্টর আধুনিক হাসপাতালের সামনের গলিতে শহীদ রেদওয়ান শরীফ রিয়াদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আমার কোলে শহীদ হয়। ঐদিন রিয়াদের রক্তে আমার পুরো শরীর ভিজে গিয়েছিল এবং রক্তে ভিজে থাকা পোশাক পরে প্রায় ছয় ঘন্টা আমি অতিবাহিত করি। এরপর দিন ২০ জুলাই হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথার বাম পাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসীরা।
এরপর ৫ ই আগস্টের স্বৈরাচারীর পতনের পর থেকে আমার জীবনযাপনটা অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে, নিজের চোখে দেখা জুলাইয়ের প্রত্যেকটি নির্মম ঘটনা বারবার মনে পড়ে। সেই অনুভূতিগুলই আমার স্বাভাবিক জীবনযাপন কে বাধাগ্রস্থ করে, যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমার পড়ালেখা। এমনকি আমি আমার নিজের জীবনের স্বপ্ন পূরণের কথা ভুলে গিয়ে, শুধুমাত্র জুলাইয়ের স্মৃতি এবং অর্জনের পরে ভিত্তি করে চলতে থাকে প্রতিটি দিন। জুলাইয়ের এই নির্মম ঘটনাগুলোর সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে ন্যূনতম হলেও কোন শাস্তির ব্যবস্থাটুকু না করে সাধারণ জীবনযাপনে ফিরে যাওয়াটা জীবনটাকে হুমকির মুখে ফেলে দিবে।