কাপাসিয়ায় বিএনপির সভায় সাংবাদিক ও গোয়েন্দা সংস্থার উপর হামলা
জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি ঃ
১৮ মে, ২০২৫, 1:39 AM
কাপাসিয়ায় বিএনপির সভায় সাংবাদিক ও গোয়েন্দা সংস্থার উপর হামলা
গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া পজেলায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে যমুনা টিভির ক্যামেরাপারন সহ ১২ সাংবাদিক ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা; ক্যামেরা ও ল্যাপটপ ভাঙচুর লুটের ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, কাপাসিয়ায় বিএনপির সভা চলাকালীন প্রতিপক্ষ বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় যমুনা টিভির ক্যামেরা পার্সনসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। শনিবার বেলা দুইটার দিকে জেলার কাপাসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী মোর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত যমুনা টিভির ক্যামেরা পার্সন রকি হোসেন (২৬) কে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত অন্যান্যদের নাম জানা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী মোড় এলাকায় এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সেলিম।
সূত্র জানায়, বেলা দেড়টার দিকে মতবিনিময় সভা শেষ হলে কাপাসিয়া থেকে ২০/২৫ টি মোটরসাইকেল যোগে গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নানের নাম ধরে স্লোগান দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। তারা চেয়ার টেবিল মাইক সাউন্ড বক্স এবং প্যান্ডেল গুঁড়িয়ে দেয়। এক পর্যায়ে তারা একটি কক্ষে বসে থাকা সাংবাদিকদের উপরে চড়াও হয় এবং হামলা চালায়।
এ সময় যমুনা টিভির ক্যামেরা পার্সন রকি হোসেন ক্যামেরা দিয়ে ছবি ধারন করতে গেলে তাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা ধরে নিয়ে রাস্তায় ফেলে বেধরক মারধর করতে থাকে। যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরা, আইডি কার্ড, মাইক্রোফোন, লাইভ ডিভাইস ও ল্যাপটপ লুট করে নিয়ে যায়। পরে সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এ ব্যাপারে গাজীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য শাখাওয়াত হোসেন সেলিম জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিএনপির একটি মতবিনিময় সভা করছিলাম। সভা শেষ হয়ে যাওয়ার আধাঘন্টা পর কাপাসিয়া থেকে ২০-২৫ টি মোটরসাইকেল যোগে একদল নেতাকর্মী ওই সমাবেশ স্থলে এসে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। তারা প্যান্ডেল মাইক ও আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে তারা সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়ে যমুনা টিভির ক্যামেরা পার্সন কে বেধরক মারধর করে আহত করে। তিনি এ ঘটনা নিয়ে দোষীদের শাস্তি ও বিচারের দাবি জানান।
সত্যতা নিশ্চিত করে কাপাসিয়া থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।
জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি ঃ
১৮ মে, ২০২৫, 1:39 AM
গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া পজেলায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে যমুনা টিভির ক্যামেরাপারন সহ ১২ সাংবাদিক ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা; ক্যামেরা ও ল্যাপটপ ভাঙচুর লুটের ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, কাপাসিয়ায় বিএনপির সভা চলাকালীন প্রতিপক্ষ বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলায় যমুনা টিভির ক্যামেরা পার্সনসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। শনিবার বেলা দুইটার দিকে জেলার কাপাসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী মোর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত যমুনা টিভির ক্যামেরা পার্সন রকি হোসেন (২৬) কে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে আহত অন্যান্যদের নাম জানা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী মোড় এলাকায় এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন গাজীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সেলিম।
সূত্র জানায়, বেলা দেড়টার দিকে মতবিনিময় সভা শেষ হলে কাপাসিয়া থেকে ২০/২৫ টি মোটরসাইকেল যোগে গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নানের নাম ধরে স্লোগান দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। তারা চেয়ার টেবিল মাইক সাউন্ড বক্স এবং প্যান্ডেল গুঁড়িয়ে দেয়। এক পর্যায়ে তারা একটি কক্ষে বসে থাকা সাংবাদিকদের উপরে চড়াও হয় এবং হামলা চালায়।
এ সময় যমুনা টিভির ক্যামেরা পার্সন রকি হোসেন ক্যামেরা দিয়ে ছবি ধারন করতে গেলে তাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা ধরে নিয়ে রাস্তায় ফেলে বেধরক মারধর করতে থাকে। যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরা, আইডি কার্ড, মাইক্রোফোন, লাইভ ডিভাইস ও ল্যাপটপ লুট করে নিয়ে যায়। পরে সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এ ব্যাপারে গাজীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য শাখাওয়াত হোসেন সেলিম জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিএনপির একটি মতবিনিময় সভা করছিলাম। সভা শেষ হয়ে যাওয়ার আধাঘন্টা পর কাপাসিয়া থেকে ২০-২৫ টি মোটরসাইকেল যোগে একদল নেতাকর্মী ওই সমাবেশ স্থলে এসে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। তারা প্যান্ডেল মাইক ও আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে তারা সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়ে যমুনা টিভির ক্যামেরা পার্সন কে বেধরক মারধর করে আহত করে। তিনি এ ঘটনা নিয়ে দোষীদের শাস্তি ও বিচারের দাবি জানান।
সত্যতা নিশ্চিত করে কাপাসিয়া থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।