গাজীপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে বসত বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
শ্রীপুর প্রতিনিধি :
১২ মে, ২০২৫, 7:00 AM
গাজীপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে বসত বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
গাজীপুরের শ্রীপুরের যুগিরছিট এলাকায় ধানের খেতে পানি দেয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ও তার দুই স্বজনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১০মে) রাত ১১টার দিকে উত্তেজিত জনতা এ অগ্নিসংযোগ করে বলে জানা গেছে। আগুনে ঘরে থাকা বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র পুড়ে বশ্মিভূত হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, গত ১ মে সকালে শ্রীপুর উপজেলার যুগিরছিট গ্রামে ধানের খেতে পানি দেয়াকে কেন্দ্র করে আল আমিন ও নাজমুলের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। এর জেরে ওই দিন রাতেই নাজমুলকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে আল আমিন। এতে নাজমুলের পেটের নারিভুড়ি বেরিয়ে যায়। নাজমুলকে বাঁচাতে তার মা ও বাবা এগিয়ে গেলে তাদেরও ছুরিকাঘাতে আহত করে আল আমিন।
এরপরই গুরুতর আহতবস্থায় নাজমুলকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ৯দিন চিকিৎসা শেষে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গত শনিবার রাতে নাজমুলের গ্রামের বাড়িতে জানাযা ও দাফন সম্পন্ন করে স্বজনেরা।
দাফনের পূর্বে জানাযাতে উপস্থিত মুসল্লিদের উস্কে দিয়ে স্বজনরা বক্তব্য দেন বলে জানা গেছে। জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন করার পরপরই উত্তেজিত জনতা ঘাতক আল আমিনের বাড়ি, তার চাচা বাবুল ও স্বপন মিয়ার বসত বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় বসত বাড়িতে কেউ না থাকায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে বসত ঘরে থাকা সকল আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।
নাজমুলকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। আগুন দেয়ার ঘটনাটির বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।
শ্রীপুর প্রতিনিধি :
১২ মে, ২০২৫, 7:00 AM
গাজীপুরের শ্রীপুরের যুগিরছিট এলাকায় ধানের খেতে পানি দেয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ও তার দুই স্বজনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১০মে) রাত ১১টার দিকে উত্তেজিত জনতা এ অগ্নিসংযোগ করে বলে জানা গেছে। আগুনে ঘরে থাকা বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র পুড়ে বশ্মিভূত হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, গত ১ মে সকালে শ্রীপুর উপজেলার যুগিরছিট গ্রামে ধানের খেতে পানি দেয়াকে কেন্দ্র করে আল আমিন ও নাজমুলের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। এর জেরে ওই দিন রাতেই নাজমুলকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে আল আমিন। এতে নাজমুলের পেটের নারিভুড়ি বেরিয়ে যায়। নাজমুলকে বাঁচাতে তার মা ও বাবা এগিয়ে গেলে তাদেরও ছুরিকাঘাতে আহত করে আল আমিন।
এরপরই গুরুতর আহতবস্থায় নাজমুলকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ৯দিন চিকিৎসা শেষে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গত শনিবার রাতে নাজমুলের গ্রামের বাড়িতে জানাযা ও দাফন সম্পন্ন করে স্বজনেরা।
দাফনের পূর্বে জানাযাতে উপস্থিত মুসল্লিদের উস্কে দিয়ে স্বজনরা বক্তব্য দেন বলে জানা গেছে। জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন করার পরপরই উত্তেজিত জনতা ঘাতক আল আমিনের বাড়ি, তার চাচা বাবুল ও স্বপন মিয়ার বসত বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় বসত বাড়িতে কেউ না থাকায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে আগুনে বসত ঘরে থাকা সকল আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।
নাজমুলকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। আগুন দেয়ার ঘটনাটির বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।
সম্পর্কিত