গাজীপুরে পাঁচ হাজারের বিনিময়ে প্রক্সি পরীক্ষা, গ্রেপ্তার-২
শ্রীপুর প্রতিনিধি :
০৬ মে, ২০২৫, 11:41 PM
গাজীপুরে পাঁচ হাজারের বিনিময়ে প্রক্সি পরীক্ষা, গ্রেপ্তার-২
গাজীপুরের শ্রীপুরে টাকার বিনিময়ে এসএসসি পরীক্ষায় অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে ২যুবককে আটক করা হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে কেন্দ্র পরিদর্শক এডমিট কার্ড পর্যবেক্ষন করলে প্রক্সির বিষয়টি ধরা পড়ে। মঙ্গলবার (৬ মে) শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন- শ্রীপুর পৌরসভার লোহাগাছ গ্রামের শামছুল আলমের ছেলে জুনায়েদ আহাম্মেদ সাগর এবং কেওয়া পূর্বখণ্ড গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মামুন।
আটক ওই যুবক জানান, শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের জৈনা এলাকায় অবস্থিত জৈনাবাজার আদর্শ কারিগরি স্কুলের শিক্ষার্থী খায়রুল ইসলাম ও রানা মোল্লার পক্ষে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন তারা। নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এ কাজটি করতে রাজি হন এবং প্রত্যেকে ৫ হাজার টাকা পান। মঙ্গলবার এসএসসি পরীক্ষার অষ্টম দিনে ‘বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স’ বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে এসে তারা ধরা পড়েন।
শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহনাজ পারভীন বলেন,'পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় পরীক্ষার্থীদের আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। পরে আইডি কার্ড যাচাই করে দেখা যায়, তাদের সঙ্গে থাকা ছবির সঙ্গে আসল শিক্ষার্থীদের মিল নেই। জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রক্সি দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।'
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, শ্রীপুর পাইলট ভোকেশনাল কেন্দ্রে জৈনা আদর্শ কারীগরি প্রতিষ্ঠানের দুইজন শিক্ষার্থীর পরিবর্তে অন্য দুইজন ভুয়া শিক্ষার্থী পরিক্ষা দিচ্ছিল। কক্ষ পরির্দশক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাদের ধরেছেন। পরীক্ষা আইনের ১৯৮০সনের ৪২ধারা'র ৩ উপধারা মোতাবেক আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলেছি। এছাড়াও যে ২ শিক্ষার্থী পরিক্ষা দিতে আসেনাই তাদের পরীক্ষা বাতিল ও আগামী ৩ তিন বৎসর পরীক্ষা দিতে পারবে না।'
শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল জানান, এ ঘটনায় দু'জনকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রকৃয়াধীন।
শ্রীপুর প্রতিনিধি :
০৬ মে, ২০২৫, 11:41 PM
গাজীপুরের শ্রীপুরে টাকার বিনিময়ে এসএসসি পরীক্ষায় অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে ২যুবককে আটক করা হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে কেন্দ্র পরিদর্শক এডমিট কার্ড পর্যবেক্ষন করলে প্রক্সির বিষয়টি ধরা পড়ে। মঙ্গলবার (৬ মে) শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন- শ্রীপুর পৌরসভার লোহাগাছ গ্রামের শামছুল আলমের ছেলে জুনায়েদ আহাম্মেদ সাগর এবং কেওয়া পূর্বখণ্ড গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মামুন।
আটক ওই যুবক জানান, শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের জৈনা এলাকায় অবস্থিত জৈনাবাজার আদর্শ কারিগরি স্কুলের শিক্ষার্থী খায়রুল ইসলাম ও রানা মোল্লার পক্ষে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন তারা। নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এ কাজটি করতে রাজি হন এবং প্রত্যেকে ৫ হাজার টাকা পান। মঙ্গলবার এসএসসি পরীক্ষার অষ্টম দিনে ‘বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স’ বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে এসে তারা ধরা পড়েন।
শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহনাজ পারভীন বলেন,'পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় পরীক্ষার্থীদের আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়। পরে আইডি কার্ড যাচাই করে দেখা যায়, তাদের সঙ্গে থাকা ছবির সঙ্গে আসল শিক্ষার্থীদের মিল নেই। জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রক্সি দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।'
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, শ্রীপুর পাইলট ভোকেশনাল কেন্দ্রে জৈনা আদর্শ কারীগরি প্রতিষ্ঠানের দুইজন শিক্ষার্থীর পরিবর্তে অন্য দুইজন ভুয়া শিক্ষার্থী পরিক্ষা দিচ্ছিল। কক্ষ পরির্দশক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাদের ধরেছেন। পরীক্ষা আইনের ১৯৮০সনের ৪২ধারা'র ৩ উপধারা মোতাবেক আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলেছি। এছাড়াও যে ২ শিক্ষার্থী পরিক্ষা দিতে আসেনাই তাদের পরীক্ষা বাতিল ও আগামী ৩ তিন বৎসর পরীক্ষা দিতে পারবে না।'
শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল জানান, এ ঘটনায় দু'জনকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রকৃয়াধীন।