ফরিদপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ীঘর ভাংচুর, আহত ২
এস.এম আকাশ, ফরিদপুর
০৩ মে, ২০২৫, 4:19 PM
ফরিদপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ীঘর ভাংচুর, আহত ২
ফরিদপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ীঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে। এঘটনায় দুজন আহত হলেও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন ১০ মাসের একটি শিশু সন্তান। শিশুটি যে খাটে শুয়েছিলো সেই খাট সংলগ্ন জানালার থাইগ্লাস কুপিয়ে ভাঙচুর করে আসামিরা। জানালার পর্দা থাকার কারণে ভাঙ্গা গ্লাসেরা টুকরো গুলো শিশুটির শরীরে আঘাত করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার (০১এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার বাবুন্ডা পশ্চিম পাড়া গ্রামের ফয়সালের বাড়ীতে এহামলার ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় ৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় আসামিরা হলেন, ফয়সালের চাচা প্রতিবেশি আলী মিয়া (৬৫) ও তার ছেলে বাশার মিয়া (৪০), আনোয়ার মিয়া (৪৫), টুটুল মিয়া (৪১), মেয়ে পপি বেগম (৩৩)। আনোয়ার মিয়ার স্ত্রী পারভীন বেগম (৩৫) ও বাশার মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৩২)। জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফয়সালের বসত বাড়ীর টিনের গেট কুপিয়ে ও ভাঙচুর করে বাড়ীর ভিতর ঢুকে তাকে গালিগালাজ শুরু করে। এসময় আলী মিয়ার হুকুমে আসামিরা ৬০ বছর বয়সী অবিবাহিত ফয়সালের ছোট চাচা শাজাহান মিয়াকে খুন করার উদ্দেশ্যে তাড়া করলে তিনি প্রান বাচাতে দৌড়ে ঘরের ভিতর গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। তখন আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ফয়সালের বসত ঘরের দরজা ও ঘরের জানালার থাইগ্লাস কুপিয়ে ভাঙচুর করে। ফয়সালের মা তাসলিমা বেগম (৫৫) ঠেকাইতে এলে বাশার মিয়া ছ্যানদা দিয়ে ফয়সালের মাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারলে তার ডান পায়ের টাকনুর নিচে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। ফয়সালের ভাবি ঈশিতা ইয়াসমিন (৩০) ঠেকাইতে গেলে আনোয়ার মিয়া রামদা দিয়ে মাথায় কোপ মারলে তিনি পরে গিয়ে গুরুতর আহত হন। এসময় আনোয়ার মিয়া ঈশিতার গলায় থাকা ৭ আনা ওজনের ১টি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।
পপি বেগম ও টুটুল মিয়া দুজন মিলে ফয়সালের মা ও ভাবিকে মারপিট করে। পরে ফয়সাল ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আসামিরা সরে পড়ে। পরবর্তীতে ফয়সালের মা ও ভাবিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে মাকে ভর্তি করে ও ভাবিকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে বাড়ীতে নিয়ে যায়। ফয়সাল জানান, আমার ছোট চাচা শাজাহান মিয়া অবিবাহিত থাকার কারণে সে আমাদের সাথে আমাদের ঘরে থাকে এবং একসাথে খাওয়া দাওয়া করে। এতে আসামিরা মনে করে আমার চাচার সম্পত্তি আমরা লেখিয়ে নিয়েছি। আসামিরা তাদের ধারনা থেকে আমাদের সহিত কারনে অকারনে পারিবারিক ছোট খাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদসহ আমাদের বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি সাধন করার চেষ্টা করতে থাকে। গত ১৫ দিন আগে আমার বিল্ডিং এর ছাদে থেকে আমার ছোট অবুঝ ভাতিজার হাত থেকে অসাবধানতাবশত একটি ইটের টুকরো পড়ে আসামিদের রান্নাঘরে চালের দুটি সিমেন্টের টিন ভেঙ্গে যায়। তখন আমি দ্রুত দুটি নতুন টিন কিনে মিস্ত্রি দিয়ে চালে লাগিয়ে দেয়। মিস্ত্রি নতুন টিন লাগিয়ে চাল থেকে নামার সময় মিস্ত্রির পায়ে লেগে পুরান টিনের একটি কোনা ভেঙ্গে যায়। পুরান টিনের সামান্য কোনা ভাঙ্গা ঠিক করে দিতে দেরি হওয়ায় তারা সবাই মিলে আমার বাড়ী ঢুকে এই হামলা চালায়। হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে আসামি আলি মিয়া জানান, রাগের বশে আমার ছেলে আনোয়ার এই অপরাধ করেছে।
শনিবার দুপুরে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি জানান, এই হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
এস.এম আকাশ, ফরিদপুর
০৩ মে, ২০২৫, 4:19 PM
ফরিদপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ীঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে। এঘটনায় দুজন আহত হলেও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন ১০ মাসের একটি শিশু সন্তান। শিশুটি যে খাটে শুয়েছিলো সেই খাট সংলগ্ন জানালার থাইগ্লাস কুপিয়ে ভাঙচুর করে আসামিরা। জানালার পর্দা থাকার কারণে ভাঙ্গা গ্লাসেরা টুকরো গুলো শিশুটির শরীরে আঘাত করতে পারেনি। বৃহস্পতিবার (০১এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার বাবুন্ডা পশ্চিম পাড়া গ্রামের ফয়সালের বাড়ীতে এহামলার ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় ৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় আসামিরা হলেন, ফয়সালের চাচা প্রতিবেশি আলী মিয়া (৬৫) ও তার ছেলে বাশার মিয়া (৪০), আনোয়ার মিয়া (৪৫), টুটুল মিয়া (৪১), মেয়ে পপি বেগম (৩৩)। আনোয়ার মিয়ার স্ত্রী পারভীন বেগম (৩৫) ও বাশার মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৩২)। জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফয়সালের বসত বাড়ীর টিনের গেট কুপিয়ে ও ভাঙচুর করে বাড়ীর ভিতর ঢুকে তাকে গালিগালাজ শুরু করে। এসময় আলী মিয়ার হুকুমে আসামিরা ৬০ বছর বয়সী অবিবাহিত ফয়সালের ছোট চাচা শাজাহান মিয়াকে খুন করার উদ্দেশ্যে তাড়া করলে তিনি প্রান বাচাতে দৌড়ে ঘরের ভিতর গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। তখন আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ফয়সালের বসত ঘরের দরজা ও ঘরের জানালার থাইগ্লাস কুপিয়ে ভাঙচুর করে। ফয়সালের মা তাসলিমা বেগম (৫৫) ঠেকাইতে এলে বাশার মিয়া ছ্যানদা দিয়ে ফয়সালের মাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারলে তার ডান পায়ের টাকনুর নিচে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। ফয়সালের ভাবি ঈশিতা ইয়াসমিন (৩০) ঠেকাইতে গেলে আনোয়ার মিয়া রামদা দিয়ে মাথায় কোপ মারলে তিনি পরে গিয়ে গুরুতর আহত হন। এসময় আনোয়ার মিয়া ঈশিতার গলায় থাকা ৭ আনা ওজনের ১টি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।
পপি বেগম ও টুটুল মিয়া দুজন মিলে ফয়সালের মা ও ভাবিকে মারপিট করে। পরে ফয়সাল ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আসামিরা সরে পড়ে। পরবর্তীতে ফয়সালের মা ও ভাবিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে মাকে ভর্তি করে ও ভাবিকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে বাড়ীতে নিয়ে যায়। ফয়সাল জানান, আমার ছোট চাচা শাজাহান মিয়া অবিবাহিত থাকার কারণে সে আমাদের সাথে আমাদের ঘরে থাকে এবং একসাথে খাওয়া দাওয়া করে। এতে আসামিরা মনে করে আমার চাচার সম্পত্তি আমরা লেখিয়ে নিয়েছি। আসামিরা তাদের ধারনা থেকে আমাদের সহিত কারনে অকারনে পারিবারিক ছোট খাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদসহ আমাদের বিভিন্ন ভাবে ক্ষতি সাধন করার চেষ্টা করতে থাকে। গত ১৫ দিন আগে আমার বিল্ডিং এর ছাদে থেকে আমার ছোট অবুঝ ভাতিজার হাত থেকে অসাবধানতাবশত একটি ইটের টুকরো পড়ে আসামিদের রান্নাঘরে চালের দুটি সিমেন্টের টিন ভেঙ্গে যায়। তখন আমি দ্রুত দুটি নতুন টিন কিনে মিস্ত্রি দিয়ে চালে লাগিয়ে দেয়। মিস্ত্রি নতুন টিন লাগিয়ে চাল থেকে নামার সময় মিস্ত্রির পায়ে লেগে পুরান টিনের একটি কোনা ভেঙ্গে যায়। পুরান টিনের সামান্য কোনা ভাঙ্গা ঠিক করে দিতে দেরি হওয়ায় তারা সবাই মিলে আমার বাড়ী ঢুকে এই হামলা চালায়। হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে আসামি আলি মিয়া জানান, রাগের বশে আমার ছেলে আনোয়ার এই অপরাধ করেছে।
শনিবার দুপুরে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি জানান, এই হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
সম্পর্কিত