শ্রীনগরে ওয়ারেন্টের আসামীকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ
আবুল কাশেম, বিশেষ প্রতিনিধি :
০৩ মে, ২০২৫, 4:10 PM
শ্রীনগরে ওয়ারেন্টের আসামীকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ
আবুল কাশেম, বিশেষ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মামলায় এফআইআর হওয়ার পরও আসামীদের গ্রেফতারে কোনো তৎপরতা নেই পুলিশের বলে অভিযোগ করেছেন খোরশেদ আলম নামের এক ব্যক্তি।
তার অভিযোগ উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাঠালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মুমিনুল ইসলাম ওরফে মামুন মাদবর (৫৫) সহ ওই এলাকার নজরুল ইসলাম (৫০) জসিম (৫০), রেজাউল (৪৫), আমির (৫৮) এর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী (৩) নং আদালতে মামলা করলে আদালত মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করেন। যাহার সিআর মামলা নং ২৩৫/২৫।পরে শ্রীনগর থানায় মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। যাহার মামলা নং- ২১(৪)২৫ জি আর- ১১৪/২৫। মামলায় এফআইআর হওয়ার পরও আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা না থাকায় চরম দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন ভুক্তভোগী খোরশেদ আলম।
এদিকে মামলা তুলে নিতে আসামীরা বাদি ও মামলার সাক্ষীদের নানান ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ খোরশেদ আলমের। খোরশেদ আলম বাঘড়া ইউনিয়নের বৈচারপার এলাকার বাসিন্দা ও ওই এলাকার মৃত এসহাক মোল্লার ছেলে।
মামলা সুত্রে জানাগেছে, বাঘড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মামুন মাদবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামী। ইতিপূর্বে হত্যা মামলায় তিনি গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছেন। জেল থেকে জামিনে বের হয়ে খোরশেদ আলম কে ছাত্র হত্যার মামলা দায়েরের পিছনে অভিযুক্ত করেন আসামীরা। এর জের ধরে বাদীকে আসামীরা আল-আমীন বাজার এলাকায় পেয়ে হামলা চালিয়ে মারধর করে রক্তাক্ত হার ভাঙা জখম সহ হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ গুম করার চেষ্টা করে।
পরে বাদীর স্ত্রী শ্রীনগর থানাকে বিষয়টি অবগত করলে এসআই আলমগীর খোরশেদ আলমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে আসামীদের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে এসআই আলমগীর বাদীকে সঠিক চিকিৎসা না দিয়ে আসামীদের সাথে আপোষ মিমাংসার করিয়ে দেয়ার জন্য চাপসৃষ্টি করে সাদাকাগজে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন। এসআই আলমগীর বাদীকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির টিকিটটি পর্যন্ত দেননি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে মামলার নথিতে। পরে বাদীর স্ত্রী ও ভাগিনা তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেন।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী খোরশেদ আলম বলেন, মামুন মাদবর সহ অন্যান্য আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। সাক্ষীদের নানান ভাবে ভয়ভীতি সহ মামলায় প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রশাসন তাদের খুজে পাচ্ছে না। আসামীরা যদি গ্রেফতার না হয় তাহলে মামলার তদন্ত কার্যক্রম ব্যহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আসামীদের অতিদ্রুত গ্রেফতার প্রয়োজন। আসামীদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
এবিষয়ে শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিল আহমেদ বলেন, এঘটনায় আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের তৎপরতা রয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।
আবুল কাশেম, বিশেষ প্রতিনিধি :
০৩ মে, ২০২৫, 4:10 PM
আবুল কাশেম, বিশেষ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মামলায় এফআইআর হওয়ার পরও আসামীদের গ্রেফতারে কোনো তৎপরতা নেই পুলিশের বলে অভিযোগ করেছেন খোরশেদ আলম নামের এক ব্যক্তি।
তার অভিযোগ উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাঠালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মুমিনুল ইসলাম ওরফে মামুন মাদবর (৫৫) সহ ওই এলাকার নজরুল ইসলাম (৫০) জসিম (৫০), রেজাউল (৪৫), আমির (৫৮) এর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী (৩) নং আদালতে মামলা করলে আদালত মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করেন। যাহার সিআর মামলা নং ২৩৫/২৫।পরে শ্রীনগর থানায় মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। যাহার মামলা নং- ২১(৪)২৫ জি আর- ১১৪/২৫। মামলায় এফআইআর হওয়ার পরও আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা না থাকায় চরম দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন ভুক্তভোগী খোরশেদ আলম।
এদিকে মামলা তুলে নিতে আসামীরা বাদি ও মামলার সাক্ষীদের নানান ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ খোরশেদ আলমের। খোরশেদ আলম বাঘড়া ইউনিয়নের বৈচারপার এলাকার বাসিন্দা ও ওই এলাকার মৃত এসহাক মোল্লার ছেলে।
মামলা সুত্রে জানাগেছে, বাঘড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মামুন মাদবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামী। ইতিপূর্বে হত্যা মামলায় তিনি গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছেন। জেল থেকে জামিনে বের হয়ে খোরশেদ আলম কে ছাত্র হত্যার মামলা দায়েরের পিছনে অভিযুক্ত করেন আসামীরা। এর জের ধরে বাদীকে আসামীরা আল-আমীন বাজার এলাকায় পেয়ে হামলা চালিয়ে মারধর করে রক্তাক্ত হার ভাঙা জখম সহ হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ গুম করার চেষ্টা করে।
পরে বাদীর স্ত্রী শ্রীনগর থানাকে বিষয়টি অবগত করলে এসআই আলমগীর খোরশেদ আলমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে আসামীদের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে এসআই আলমগীর বাদীকে সঠিক চিকিৎসা না দিয়ে আসামীদের সাথে আপোষ মিমাংসার করিয়ে দেয়ার জন্য চাপসৃষ্টি করে সাদাকাগজে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন। এসআই আলমগীর বাদীকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির টিকিটটি পর্যন্ত দেননি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে মামলার নথিতে। পরে বাদীর স্ত্রী ও ভাগিনা তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেন।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী খোরশেদ আলম বলেন, মামুন মাদবর সহ অন্যান্য আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। সাক্ষীদের নানান ভাবে ভয়ভীতি সহ মামলায় প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রশাসন তাদের খুজে পাচ্ছে না। আসামীরা যদি গ্রেফতার না হয় তাহলে মামলার তদন্ত কার্যক্রম ব্যহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আসামীদের অতিদ্রুত গ্রেফতার প্রয়োজন। আসামীদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
এবিষয়ে শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকিল আহমেদ বলেন, এঘটনায় আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের তৎপরতা রয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।