ঢাকা ১০ অক্টোবর, ২০২৫
শিরোনামঃ
নেত্রকোনায় মুদি দোকানিকে গলা কেটে হত্যা শ্রমবাজার সম্প্রসারণে ভিসা জটিলতা দূর করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা বেসরকারি টিভি চ্যানেলসমূহের আচরণবিধি জনসম্মুখে প্রকাশ করতে তথ্য উপদেষ্টার আহ্বান আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী সহ ৩ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা সাংবাদিককে আইনজীবীর হুমকি, ভূমিদস্যু-জালিয়াত চক্রের দৌরাত্ম্য শেষ কোথায় ? ইসলামী ব্যাংকে অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন শিবপুরে স্টার সিএনজি স্টেশনের নামে মিথ্যা অপপ্রচার এবং চাঁদা দাবি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ জ্বর হওয়ার সাথে সাথে ডেঙ্গু পরীক্ষার অনুরোধ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সীমান্ত থেকে গাঁজা এনে রাজশাহীতে সরবরাহ: ‘বিবিজান’ চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

ঐতিহাসিক হযরত খানজাহান আলীর (রহ.) মাজারে ৩ দিনব্যাপী মেলা শুরু

#
news image

প্রায় সাড়ে ছয়শ বছরের পুরানো ঐতিহাসিক হযরত খানজাহান আলীর (রহ.) মাজারে ৩ দিনব্যাপী মেলা শুরু হয়েছে। মাজার এলাকায় জড়ো হচ্ছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ভক্ত-আশেকানরা।

প্রতি বছর চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এ মেলা শুরু হয় জানিয়ে হযরত খানজাহান (রহ.) মাজারে প্রধান খাদেম ফকির তারিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার (১১এপ্রিল) মেলা শুরু হয়েছে। চলবে তিনদিন ধরে। আগামী রবিবার এই মেলা শেষ হবে।”

এদিকে মেলা উপলক্ষে সকাল থেকে মাদারীপুর, ঝিনাইদহ, বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে মাজার এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন হযরত খানজাহানের হাজার হাজার ভক্ত-আশেকান।

ভক্তরা বলেন, হযরত খানজাহানের সঙ্গে মানুষের আত্মিক প্রেম-ভালোবাসা আছে।

এ ভালোবাসার জন্য তারা এখানে প্রতিবছর আসেন। এখানে নামাজ পড়েন, রোজা রেখে মানত করেন। এ উছিলায় আল্লাহ তাদের মনোবাসনা পূর্ণ করেন।

মাজারের প্রধান খাদেম ফকির তারিকুল ইসলাম বলেন, “চৌদ্দশ খ্রিস্টাব্দে হযরত খানজাহান (রহ.) পূর্ণভূমি বাগেরহাটে আসেন। পরে পাঁচশ বছর ধরে চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দেশবিদেশের হাজার হাজার ভক্ত-আশেকানদের মাজারে সমাগম ঘটে। সেই থেকে ধারাবাহিকভাবে এটি চলে আসছে।”

তিনি বলেন, “ভক্ত-আশেকানদের বিশ্বাস এখানে আসলে তাদের মনোবাসনা পূরণ হয়।

তাই তারা মাজার জিয়ারত ও দীঘিতে গোসল করেন। মনোবাসনা পূর্ণের জন্য আল্লার দরবারে কান্নাকাটি করেন।”

প্রধান খাদেম আরও বলেন, এ উপলক্ষে এখানে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়।

দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী এ মেলায় যাতে কোনো বিশৃক্সখলা না ঘটে সেজন্য প্রশাসন বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ পল্লীবাংলাকে জানান, আগত  ভক্ত ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় বাগেরহাট থানা পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। মাজার সংলগ্ন হাইওয়ে সড়কে বারো মাসই পুলিশ নিয়মিত টহল দেয়। আর মেলা উপলক্ষে চব্বিশ ঘণ্টা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে ।

বাগেরহাট সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ-উল-হাসান বলেন, কেউ কোন সমস্যায় পড়লে আমাদের ফোন দিলেই পুলিশ সদস্যরা সেখানে পৌঁছে যাবে।

বাগেরহাট প্রতিনিধি :

১১ এপ্রিল, ২০২৫,  9:34 PM

news image

প্রায় সাড়ে ছয়শ বছরের পুরানো ঐতিহাসিক হযরত খানজাহান আলীর (রহ.) মাজারে ৩ দিনব্যাপী মেলা শুরু হয়েছে। মাজার এলাকায় জড়ো হচ্ছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ভক্ত-আশেকানরা।

প্রতি বছর চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এ মেলা শুরু হয় জানিয়ে হযরত খানজাহান (রহ.) মাজারে প্রধান খাদেম ফকির তারিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার (১১এপ্রিল) মেলা শুরু হয়েছে। চলবে তিনদিন ধরে। আগামী রবিবার এই মেলা শেষ হবে।”

এদিকে মেলা উপলক্ষে সকাল থেকে মাদারীপুর, ঝিনাইদহ, বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে মাজার এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন হযরত খানজাহানের হাজার হাজার ভক্ত-আশেকান।

ভক্তরা বলেন, হযরত খানজাহানের সঙ্গে মানুষের আত্মিক প্রেম-ভালোবাসা আছে।

এ ভালোবাসার জন্য তারা এখানে প্রতিবছর আসেন। এখানে নামাজ পড়েন, রোজা রেখে মানত করেন। এ উছিলায় আল্লাহ তাদের মনোবাসনা পূর্ণ করেন।

মাজারের প্রধান খাদেম ফকির তারিকুল ইসলাম বলেন, “চৌদ্দশ খ্রিস্টাব্দে হযরত খানজাহান (রহ.) পূর্ণভূমি বাগেরহাটে আসেন। পরে পাঁচশ বছর ধরে চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দেশবিদেশের হাজার হাজার ভক্ত-আশেকানদের মাজারে সমাগম ঘটে। সেই থেকে ধারাবাহিকভাবে এটি চলে আসছে।”

তিনি বলেন, “ভক্ত-আশেকানদের বিশ্বাস এখানে আসলে তাদের মনোবাসনা পূরণ হয়।

তাই তারা মাজার জিয়ারত ও দীঘিতে গোসল করেন। মনোবাসনা পূর্ণের জন্য আল্লার দরবারে কান্নাকাটি করেন।”

প্রধান খাদেম আরও বলেন, এ উপলক্ষে এখানে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়।

দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী এ মেলায় যাতে কোনো বিশৃক্সখলা না ঘটে সেজন্য প্রশাসন বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ পল্লীবাংলাকে জানান, আগত  ভক্ত ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় বাগেরহাট থানা পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। মাজার সংলগ্ন হাইওয়ে সড়কে বারো মাসই পুলিশ নিয়মিত টহল দেয়। আর মেলা উপলক্ষে চব্বিশ ঘণ্টা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে ।

বাগেরহাট সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ-উল-হাসান বলেন, কেউ কোন সমস্যায় পড়লে আমাদের ফোন দিলেই পুলিশ সদস্যরা সেখানে পৌঁছে যাবে।