ঢাকা ৩০ জুলাই, ২০২৫
শিরোনামঃ
গাজীপুরেও মুজিববাদের কবর দেবে এনসিপি : নাহিদ ইসলাম বানারীপাড়ায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট  ও সনদ বিতরনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত জুলাই আগস্ট-এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদ বীরদের স্মরণে গোমস্তাপুর বিএনপির উদ্যোগে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা মুন্সীগঞ্জে বালুমহালের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সুটার মান্নান নিহত নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড ফকিরহাটে বিনা ভোটের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ফরিদপুরে ছেলের ডির্ভোসী বউয়ের হুমকিতে শাশুড়ীর মৃত্যুর অভিযোগ টঙ্গীতে ঢাকনা বিহীন ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ নারীর মরদেহ  উদ্ধার  বাগেরহাটে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন সরকারি পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে বিরোধ, বেলকুচিতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৭

রাজধানীতে এখনও ঈদের আমেজ, নেই চিরচেনা ব্যস্ততা

#
news image

দ্রুত গতিতে চলছে যানবাহন। মোড়ে মোড়ে নেই বাস হেল্পারদের ডাকাডাকি। ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা চেয়ে আছেন পথচারীর মুখের দিকে। অফিস-আদালত পাড়ায় চলছে নিরবতা। কপাট খোলেনি বিপণীবিতানগুলোর। রমনার পাশের ফুটপাথ দিয়ে হাঁটার সময় এখনো শোনা যাচ্ছে পাখির ডাক। অথচ দীর্ঘ ৯ দিনের ছুটি শেষে কাল থেকে খুলছে অফিস আদালত।

শনিবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গণপরিবহনের সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম। যানবাহনের সংখ্যা যেমন কম, তেমনি যাত্রীর সংখ্যাও সীমিত। সিগন্যালগুলোতে নেই গাড়ির চাপ। সহজেই পার হওয়া যাচ্ছে রাজধানীর ব্যস্ততম সিগন্যালগুলো। ভাড়ায়চালিত সিএনজি ও মোটরসাইকেলগুলো যাত্রীর আশায় দাড়িছে মোড়গুলোতে। যাত্রী কম থাকায় এসব যানবাহনের সংখ্যাও কমেছে অনেক।

গুলশান-১-এর বিপণীবিতানগুলো খুললে ক্রেতাদের ভিড় নেই তেমন। ঈদের পর দোকান-মালিক কর্মচারীদের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায়। দুপুর পর্যন্তও কেউ কেউ খুলতে পারেনি বিক্রির খাতা। শান্তিনগর, মালিবাগের অনেকগুলো মার্কেট খুলতে দেখা যায়নি। গুলিস্তানে কিছু দোকানপাট খোলা রয়েছে। তবে সেখানের ফুটপাতে দোকানপাটের দেখা মিলেনি। বায়তুল মোকারম-পল্টন এলাকায় কিছু দোকানপাট খুললেও তেমন ক্রেতা দেখা যায়নি। দোকানদারদের মোবাইল দেখে অলস সময় পার করতে দেখা যায়।

গুলিস্তানের ব্যাগ দোকানী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঈদের আগে বেচাকেনা ভালো ছিল। ঈদের পর আজ প্রখম দোকান খুললাম। এখনো বনিভাট্টা করতে পারিনি। দোকানের খরচ সেটা তোলা হবে কিনা তা জানি না। তবে দোকান খুলছি। আস্তে আস্তে কাস্টমার বাড়বে।

তবে মেট্রোরেলে যাত্রীদের স্বাভাবিক ভিড় দেখা গেছে। প্রতিটি ট্রেনই যাত্রী ভর্তি নিয়ে আসতে দেখা যায়। আবাসিক এলাকার স্টেশনগুলোতে যাত্রীর সংখ্যা অন্যান্য স্টেশনের চেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়। মিরপুর থেকে আসা শিউলি বেগম বলেন, ঈদের ছুটিতে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যাচ্ছি। সড়কের চেয়ে মেট্রোরেলে যাত্রী সংখ্যা বেশি হলেও এসি থাকায় খুব আরামে আসা যায়।

মালিবাগ মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা সিএনজিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, গতকাল থেকে গাড়ি নিয়ে বের হইছি। বারোশোর মতো ভাড়া মেরেছি কাল। আজকেও তেমন যাত্রী নেই। ভাড়াও অনেক কম বলে।

বিজয় সরণিতে  নভোথিয়েটার ও সামরিক জাদুঘরের বাইরে দীর্ঘ লম্বা লাইন। পর্যটকরা লাইন ধরে টিকিট কাটছে। বাবা-মায়ের চেয়ে শিশুরাই বেশি। তাদের চোখে মুখে এখনো ঈদের আনন্দ। 

আগারগাঁও গ্রিন অ্যাপল স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিশু শিক্ষার্থী সিদরাতুল মুনতাহা ওহিবা সামরিক জাদুঘরে এসে খুব খুশি। তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে এক হাতে হলুদ বেলুন ও আরেক হাতে ভি চিহ্ন দেখিয়ে ছবি তোলার জন্য প্রস্তুত ব্যস্ত হয়ে পড়ে সে। 

শাহবাগ মোড়ে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করা এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য বলেন, রাস্তায় গাড়ি কম থাকায় চাপ কম। আমাদের খুব বেশি কষ্ট করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা লাগছে না।

নিজস্ব প্রতিবেদক :

০৬ এপ্রিল, ২০২৫,  5:47 AM

news image

দ্রুত গতিতে চলছে যানবাহন। মোড়ে মোড়ে নেই বাস হেল্পারদের ডাকাডাকি। ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা চেয়ে আছেন পথচারীর মুখের দিকে। অফিস-আদালত পাড়ায় চলছে নিরবতা। কপাট খোলেনি বিপণীবিতানগুলোর। রমনার পাশের ফুটপাথ দিয়ে হাঁটার সময় এখনো শোনা যাচ্ছে পাখির ডাক। অথচ দীর্ঘ ৯ দিনের ছুটি শেষে কাল থেকে খুলছে অফিস আদালত।

শনিবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গণপরিবহনের সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম। যানবাহনের সংখ্যা যেমন কম, তেমনি যাত্রীর সংখ্যাও সীমিত। সিগন্যালগুলোতে নেই গাড়ির চাপ। সহজেই পার হওয়া যাচ্ছে রাজধানীর ব্যস্ততম সিগন্যালগুলো। ভাড়ায়চালিত সিএনজি ও মোটরসাইকেলগুলো যাত্রীর আশায় দাড়িছে মোড়গুলোতে। যাত্রী কম থাকায় এসব যানবাহনের সংখ্যাও কমেছে অনেক।

গুলশান-১-এর বিপণীবিতানগুলো খুললে ক্রেতাদের ভিড় নেই তেমন। ঈদের পর দোকান-মালিক কর্মচারীদের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে দেখা যায়। দুপুর পর্যন্তও কেউ কেউ খুলতে পারেনি বিক্রির খাতা। শান্তিনগর, মালিবাগের অনেকগুলো মার্কেট খুলতে দেখা যায়নি। গুলিস্তানে কিছু দোকানপাট খোলা রয়েছে। তবে সেখানের ফুটপাতে দোকানপাটের দেখা মিলেনি। বায়তুল মোকারম-পল্টন এলাকায় কিছু দোকানপাট খুললেও তেমন ক্রেতা দেখা যায়নি। দোকানদারদের মোবাইল দেখে অলস সময় পার করতে দেখা যায়।

গুলিস্তানের ব্যাগ দোকানী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঈদের আগে বেচাকেনা ভালো ছিল। ঈদের পর আজ প্রখম দোকান খুললাম। এখনো বনিভাট্টা করতে পারিনি। দোকানের খরচ সেটা তোলা হবে কিনা তা জানি না। তবে দোকান খুলছি। আস্তে আস্তে কাস্টমার বাড়বে।

তবে মেট্রোরেলে যাত্রীদের স্বাভাবিক ভিড় দেখা গেছে। প্রতিটি ট্রেনই যাত্রী ভর্তি নিয়ে আসতে দেখা যায়। আবাসিক এলাকার স্টেশনগুলোতে যাত্রীর সংখ্যা অন্যান্য স্টেশনের চেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়। মিরপুর থেকে আসা শিউলি বেগম বলেন, ঈদের ছুটিতে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যাচ্ছি। সড়কের চেয়ে মেট্রোরেলে যাত্রী সংখ্যা বেশি হলেও এসি থাকায় খুব আরামে আসা যায়।

মালিবাগ মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা সিএনজিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, গতকাল থেকে গাড়ি নিয়ে বের হইছি। বারোশোর মতো ভাড়া মেরেছি কাল। আজকেও তেমন যাত্রী নেই। ভাড়াও অনেক কম বলে।

বিজয় সরণিতে  নভোথিয়েটার ও সামরিক জাদুঘরের বাইরে দীর্ঘ লম্বা লাইন। পর্যটকরা লাইন ধরে টিকিট কাটছে। বাবা-মায়ের চেয়ে শিশুরাই বেশি। তাদের চোখে মুখে এখনো ঈদের আনন্দ। 

আগারগাঁও গ্রিন অ্যাপল স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিশু শিক্ষার্থী সিদরাতুল মুনতাহা ওহিবা সামরিক জাদুঘরে এসে খুব খুশি। তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে এক হাতে হলুদ বেলুন ও আরেক হাতে ভি চিহ্ন দেখিয়ে ছবি তোলার জন্য প্রস্তুত ব্যস্ত হয়ে পড়ে সে। 

শাহবাগ মোড়ে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করা এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য বলেন, রাস্তায় গাড়ি কম থাকায় চাপ কম। আমাদের খুব বেশি কষ্ট করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা লাগছে না।