নরসিংদীর রায়পুরায় আওয়ামীলীগ বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ২ জন

নরসিংদী প্রতিনিধি:
২২ মার্চ, ২০২৫, 5:21 AM

নরসিংদীর রায়পুরায় আওয়ামীলীগ বিএনপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ২ জন
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের চাঁনপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ( ২১ মার্চ) সকাল ৬ ঘটিকার দিকে উপজেলার চানপুর ইউনিয়নের মোহিনীপুর গ্রামে এই সংঘর্ষ ঘটে। এই সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত ও আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন উক্ত গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে আমান মিয়া( ২৩) ও একই এলাকার হাজী বারেকের ছেলে আবুল বাশার(৩৫) । তারা দুজনেই প্রবাস ফেরত। আমিন মিয়া তিন মাস পুর্বে সৌদি আরব থেকে ছুটিতে দেশে আসেন। আর বাশার দেড় বছর আগে প্রবাস থেকে দেশে আসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরাঞ্চলের চাঁনপুর ইউনিয়নে দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামসু মেম্বার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগ এর সভাপতি আব্দুল সালাম গ্রুপের মধ্যে রেষারেষি চলছে। এর আগেও কয়েকবার দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলাগুলি হয়। গত ৬ মাস আগে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সামসু মেম্বারের পক্ষের লোকজন আব্দুল ছলামের পক্ষের লোকজন কে এলাকা ছাড়া করে।
আজ ভোরে সালামের লোকজন এলাকায় প্রবেশ করার চেস্টা করলে সামসু মেম্বারের লোকজন বাধা দিলে দুই পক্ষ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষই আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল ও দেশী অস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর হামলা চালায়। সকাল থেকেই ককটেল বিষ্ফোরনের শব্দে পুরো এলাকায় আতংকিত হয়ে পড়ে। উক্ত সংঘর্ষে সালামের অনুসারী দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রান হারায়।
নিহত আমিন মিয়ার পিতা খোরশেদ মিয়া জানান, আমরা ছয় মাস যাবত এলাকাছাড়া। আমাদের মারধর করে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাংচুর করে এলাকা ছাড়া করে করেছে সামসু মেম্বারের লোকজন। আজ সকালে ঈদ উপলক্ষে আমরা বাড়িতে প্রবেশ করতে চাইলে তারা আবারও হামলা চালায়। আমার ছেলেকে গুলি করে মেরেছে, দুইটা গুলি করছে আমার ছেলেরে। আমার আরেক ভাতিজাও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে।
রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আদিল মাহমুদ জানান, উপজেলার চরাঞ্চল চাঁনপুরে ভোর থেকে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঘটে। মুলত এলাকায় আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ, এখন পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মরদেহ উ করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরন করা হচ্ছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
নরসিংদী প্রতিনিধি:
২২ মার্চ, ২০২৫, 5:21 AM

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের চাঁনপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ( ২১ মার্চ) সকাল ৬ ঘটিকার দিকে উপজেলার চানপুর ইউনিয়নের মোহিনীপুর গ্রামে এই সংঘর্ষ ঘটে। এই সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত ও আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন উক্ত গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে আমান মিয়া( ২৩) ও একই এলাকার হাজী বারেকের ছেলে আবুল বাশার(৩৫) । তারা দুজনেই প্রবাস ফেরত। আমিন মিয়া তিন মাস পুর্বে সৌদি আরব থেকে ছুটিতে দেশে আসেন। আর বাশার দেড় বছর আগে প্রবাস থেকে দেশে আসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরাঞ্চলের চাঁনপুর ইউনিয়নে দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সামসু মেম্বার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগ এর সভাপতি আব্দুল সালাম গ্রুপের মধ্যে রেষারেষি চলছে। এর আগেও কয়েকবার দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলাগুলি হয়। গত ৬ মাস আগে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সামসু মেম্বারের পক্ষের লোকজন আব্দুল ছলামের পক্ষের লোকজন কে এলাকা ছাড়া করে।
আজ ভোরে সালামের লোকজন এলাকায় প্রবেশ করার চেস্টা করলে সামসু মেম্বারের লোকজন বাধা দিলে দুই পক্ষ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষই আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল ও দেশী অস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর হামলা চালায়। সকাল থেকেই ককটেল বিষ্ফোরনের শব্দে পুরো এলাকায় আতংকিত হয়ে পড়ে। উক্ত সংঘর্ষে সালামের অনুসারী দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রান হারায়।
নিহত আমিন মিয়ার পিতা খোরশেদ মিয়া জানান, আমরা ছয় মাস যাবত এলাকাছাড়া। আমাদের মারধর করে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাংচুর করে এলাকা ছাড়া করে করেছে সামসু মেম্বারের লোকজন। আজ সকালে ঈদ উপলক্ষে আমরা বাড়িতে প্রবেশ করতে চাইলে তারা আবারও হামলা চালায়। আমার ছেলেকে গুলি করে মেরেছে, দুইটা গুলি করছে আমার ছেলেরে। আমার আরেক ভাতিজাও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে।
রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আদিল মাহমুদ জানান, উপজেলার চরাঞ্চল চাঁনপুরে ভোর থেকে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঘটে। মুলত এলাকায় আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ, এখন পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মরদেহ উ করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরন করা হচ্ছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।