দেশের সার্বিক কল্যাণে সাংবাদিকদের দায়-দায়িত্ব অনেক বেশি: মির্জা আব্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক :
১৫ মার্চ, ২০২৫, 5:40 AM

দেশের সার্বিক কল্যাণে সাংবাদিকদের দায়-দায়িত্ব অনেক বেশি: মির্জা আব্বাস
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সাংবাদিকদের লেখনীর ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।
‘অসির চেয়ে মসি বড়’- বহুল প্রচলিত এ প্রবাদ বাক্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমাজ এবং দেশের সার্বিক কল্যাণের জন্য সাংবাদিকদের দায়-দায়িত্ব অনেক বেশি। ছোট-বড় সকল গণমাধ্যমেই কর্মরত সাংবাকিদদের লেখনীর জোর অনেক দামী।
মির্জা আব্বাস আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) চত্বরে ইউনিটির সদস্যদের ইফতার মাহফিলে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে এ সব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান এ অনুৃষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আপনাদের লেখা, আপনাদের বলা যেমন সমাজের জন্য অনেক লাভ। তেমনি কখনো-কখনো ক্ষতিরও কারণ হতে পারে।’
কোনো-কোনো ব্যবসায়ীর সাথে কোন কোন রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক আছে তা সাংবাদিকদের লেখনীতে উঠে আসা উচিত বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মির্জা আব্বাস জানান, ‘সাংবাদিকদের প্লট দেয়ার অপরাধে আমি একা আসামী হয়েছি, সাংবাদিকদের কেউই আসামী নন। এই দুঃখ কোনো দিন ভুলতে পারবো না।’ ইফতারে দাওয়াত দেয়ায় ডিআরইউ নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ‘ধর্ষণজনিত কারণে মাগুরার ৮ বছরের এক শিশুর মৃত্যুতে দেশবাসী কষ্ট পেয়েছে। এই ধরনের ধর্ষণকারীদের বিচার নিশ্চিত করতে আমাদেরকে এক ও অভিন্ন হতে হবে। এ বিষয়ে মিডিয়ারও একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের আত্ম-সমালোচনা প্রয়োজন, পাশাপাশি গণমাধ্যমে যারা আছেন, তাদের বুক টান করে দাঁড়ানো দরকার। আমরা ভুলের উর্ধ্বে নই। আমাদেরও ভুল হয়। আমি চাই, মিডিয়া আমাদের মন্দ দিকের পাশাপাশি ভালো দিকটাও তুলে ধরুক।
ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন ইফতার মাহফিলে অংশ নেয়ায় রাজনীতিবিদ ও ডিআরইউ সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।
অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ও ডিআরইউ সহসভাপতি ও ইফতার কমিটির আহ্বায়ক গাযী আনোয়ার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদার, ইলিয়াস হোসেন, সাইফুল ইসলাম ও সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, মনির হোসেন লিটন ও কবির হোসেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভুঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, ডিআরইউ’র যুগ্ম সম্পাদক নাদিয়া শারমিন, অর্থ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা রোজী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজান চৌধুরী, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. বোরহান উদ্দীন, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ), কল্যাণ সম্পাদক রফিক মৃধা, কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ জুনায়েদ হোসাইন (জুনায়েদ শিশির), আকতারুজ্জমান, আমিনুল হক ভূঁইয়া, মো: ফারুক আলম, সুমন চৌধুরী ও মোঃ সলিম উল্ল্যাসহ (এস. ইউ সেলিম) ডিআরইউ’র সদস্যরা ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
১৫ মার্চ, ২০২৫, 5:40 AM

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, সাংবাদিকদের লেখনীর ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।
‘অসির চেয়ে মসি বড়’- বহুল প্রচলিত এ প্রবাদ বাক্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমাজ এবং দেশের সার্বিক কল্যাণের জন্য সাংবাদিকদের দায়-দায়িত্ব অনেক বেশি। ছোট-বড় সকল গণমাধ্যমেই কর্মরত সাংবাকিদদের লেখনীর জোর অনেক দামী।
মির্জা আব্বাস আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) চত্বরে ইউনিটির সদস্যদের ইফতার মাহফিলে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে এ সব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান এ অনুৃষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আপনাদের লেখা, আপনাদের বলা যেমন সমাজের জন্য অনেক লাভ। তেমনি কখনো-কখনো ক্ষতিরও কারণ হতে পারে।’
কোনো-কোনো ব্যবসায়ীর সাথে কোন কোন রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক আছে তা সাংবাদিকদের লেখনীতে উঠে আসা উচিত বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মির্জা আব্বাস জানান, ‘সাংবাদিকদের প্লট দেয়ার অপরাধে আমি একা আসামী হয়েছি, সাংবাদিকদের কেউই আসামী নন। এই দুঃখ কোনো দিন ভুলতে পারবো না।’ ইফতারে দাওয়াত দেয়ায় ডিআরইউ নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ‘ধর্ষণজনিত কারণে মাগুরার ৮ বছরের এক শিশুর মৃত্যুতে দেশবাসী কষ্ট পেয়েছে। এই ধরনের ধর্ষণকারীদের বিচার নিশ্চিত করতে আমাদেরকে এক ও অভিন্ন হতে হবে। এ বিষয়ে মিডিয়ারও একটি বড় ভূমিকা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের আত্ম-সমালোচনা প্রয়োজন, পাশাপাশি গণমাধ্যমে যারা আছেন, তাদের বুক টান করে দাঁড়ানো দরকার। আমরা ভুলের উর্ধ্বে নই। আমাদেরও ভুল হয়। আমি চাই, মিডিয়া আমাদের মন্দ দিকের পাশাপাশি ভালো দিকটাও তুলে ধরুক।
ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন ইফতার মাহফিলে অংশ নেয়ায় রাজনীতিবিদ ও ডিআরইউ সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।
অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ও ডিআরইউ সহসভাপতি ও ইফতার কমিটির আহ্বায়ক গাযী আনোয়ার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদার, ইলিয়াস হোসেন, সাইফুল ইসলাম ও সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, মনির হোসেন লিটন ও কবির হোসেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভুঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, ডিআরইউ’র যুগ্ম সম্পাদক নাদিয়া শারমিন, অর্থ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক রোজিনা রোজী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজান চৌধুরী, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. বোরহান উদ্দীন, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ), কল্যাণ সম্পাদক রফিক মৃধা, কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ জুনায়েদ হোসাইন (জুনায়েদ শিশির), আকতারুজ্জমান, আমিনুল হক ভূঁইয়া, মো: ফারুক আলম, সুমন চৌধুরী ও মোঃ সলিম উল্ল্যাসহ (এস. ইউ সেলিম) ডিআরইউ’র সদস্যরা ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন।