সংস্কার ও বিচারের পর নির্বাচন করার তাগিদ এবি পার্টির

নিজস্ব প্রতিবেদক :
১৪ মার্চ, ২০২৫, 6:30 AM

সংস্কার ও বিচারের পর নির্বাচন করার তাগিদ এবি পার্টির
জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে জাতি নতুন করে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা অর্জন করলেও এই আন্দোলনের ফসল আমরা এখনো ঘরে তুলতে পারি নাই।
আজ আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) আয়োজিত গণ ইফতারের ১২ তম দিনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। রাজনীতি গণমুখী করতে হবে। নেতামুখী রাজনীতি বিলোপের এইটাই উপযুক্ত সময়। সংস্কার ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না।
এবি পার্টি’র ভাইস চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) দিদারুল আলমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় গণ ইফতার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান বীরপ্রতীক, কর্নেল (অব.) ফেরদৌস আহমেদ, ক্যাপ্টেন (অব.) বিল্লাল আহমেদ ও মেজর (অব.) আনিসুর রহমান।
জনতাকে মার্কা দেখে নয়, ভালো ও যোগ্য মানুষ দেখে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে হাসান নাসির বলেন, যৌক্তিক সংস্কার ও খুনিদের বিচারের আগে কোন নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে যে সরকার গঠিত হয়েছে তা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল। যারা শহীদ হয়েছেন, জীবন দিয়েছেন তারা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। এখন নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে, কেউ কেউ আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের স্বপ্ন দেখছেন। নির্বাচনের আগে সংস্কার চাই। তার আগে বিচার চাই, তারপর নির্বাচন দিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের একমাত্র শত্রু ভারত ও আওয়ামী লীগ। শত্রুদেরকে কোনোভাবে গর্ত হতে বের হতে দেওয়া যাবে না, মাথা বের করলেই তা আবার গর্তে ঢুকিয়ে দিতে হবে। আমরা ভারতের পণ্য ব্যবহার করবো না। প্রয়োজনে একটু কম ব্যবহার করবো, তবুও ভারতের নিকট মাথা নোয়াবো না। আমাদের ৭১’র স্বাধীনতা ভারত ছিনিয়ে নিয়েছিল, ২৪ এর স্বাধীনতা কোনোভাবেই আমরা বেহাত হতে দিব না।
সভাপতির বক্তব্যে কর্নেল দিদার বলেন, আমরা আন্দোলন করে হাসিনাকে হটিয়েছি। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে হাসিনাকে হটানোর আন্দোলনে আজকের প্রধান অতিথিসহ এখানে উপস্থিত অতিথিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আমরা বাংলাদেশের ২য় স্বাধীনতাকে কাজে লাগাতে চাই। মেহনতি মানুষের কষ্ট একটু লাঘব করার জন্যই এবি পার্টি এই গণ-ইফতারের কার্যক্রম নিয়েছে। আগামী দিনের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবি পার্টির নেতৃত্বেই হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
গণ-ইফতার অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সমাজ কল্যাণ সম্পাদক অধ্যাপক আবু হেলাল, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব বারকাজ নাসির আহমাদ, স্বেচ্ছাসেবা ও জনকল্যাণ বিষয়ক সহ-সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সহ-সম্পাদক শাহিনুর আক্তার শিলা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
১৪ মার্চ, ২০২৫, 6:30 AM

জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে জাতি নতুন করে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা অর্জন করলেও এই আন্দোলনের ফসল আমরা এখনো ঘরে তুলতে পারি নাই।
আজ আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) আয়োজিত গণ ইফতারের ১২ তম দিনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। রাজনীতি গণমুখী করতে হবে। নেতামুখী রাজনীতি বিলোপের এইটাই উপযুক্ত সময়। সংস্কার ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না।
এবি পার্টি’র ভাইস চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) দিদারুল আলমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় গণ ইফতার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান বীরপ্রতীক, কর্নেল (অব.) ফেরদৌস আহমেদ, ক্যাপ্টেন (অব.) বিল্লাল আহমেদ ও মেজর (অব.) আনিসুর রহমান।
জনতাকে মার্কা দেখে নয়, ভালো ও যোগ্য মানুষ দেখে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে হাসান নাসির বলেন, যৌক্তিক সংস্কার ও খুনিদের বিচারের আগে কোন নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে যে সরকার গঠিত হয়েছে তা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল। যারা শহীদ হয়েছেন, জীবন দিয়েছেন তারা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। এখন নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে, কেউ কেউ আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের স্বপ্ন দেখছেন। নির্বাচনের আগে সংস্কার চাই। তার আগে বিচার চাই, তারপর নির্বাচন দিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের একমাত্র শত্রু ভারত ও আওয়ামী লীগ। শত্রুদেরকে কোনোভাবে গর্ত হতে বের হতে দেওয়া যাবে না, মাথা বের করলেই তা আবার গর্তে ঢুকিয়ে দিতে হবে। আমরা ভারতের পণ্য ব্যবহার করবো না। প্রয়োজনে একটু কম ব্যবহার করবো, তবুও ভারতের নিকট মাথা নোয়াবো না। আমাদের ৭১’র স্বাধীনতা ভারত ছিনিয়ে নিয়েছিল, ২৪ এর স্বাধীনতা কোনোভাবেই আমরা বেহাত হতে দিব না।
সভাপতির বক্তব্যে কর্নেল দিদার বলেন, আমরা আন্দোলন করে হাসিনাকে হটিয়েছি। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে হাসিনাকে হটানোর আন্দোলনে আজকের প্রধান অতিথিসহ এখানে উপস্থিত অতিথিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আমরা বাংলাদেশের ২য় স্বাধীনতাকে কাজে লাগাতে চাই। মেহনতি মানুষের কষ্ট একটু লাঘব করার জন্যই এবি পার্টি এই গণ-ইফতারের কার্যক্রম নিয়েছে। আগামী দিনের নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এবি পার্টির নেতৃত্বেই হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
গণ-ইফতার অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সমাজ কল্যাণ সম্পাদক অধ্যাপক আবু হেলাল, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব বারকাজ নাসির আহমাদ, স্বেচ্ছাসেবা ও জনকল্যাণ বিষয়ক সহ-সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সহ-সম্পাদক শাহিনুর আক্তার শিলা উপস্থিত ছিলেন।