ঢাকা ১৪ মার্চ, ২০২৫
শিরোনামঃ
দুদকের অভিযান আমাদের জন্য সম্মানজনক নয় --- -বিভাগীয় কমিশনার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রীকে শারীরিক হেনস্তা ২৮ মার্চ শি’র সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ইউনূস: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জুলাই আন্দোলনে ঢাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত শতাধিক হামলাকারী শনাক্ত জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায় পৌঁছেছেন এলডিসি থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারতের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ঢাকা ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে দাবি আদায়ের নামে রাস্তা অবরোধ করলে কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি মাগুরার শিশুটির ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিচার শুরু ৭ দিনের মধ্যে: আইন উপদেষ্টা মাগুরার শিশু ধর্ষণ ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জামায়াত আমীরের

অনুমোদনহীন হাসপাতালে সয়লাভ গাছা, রয়েছে পরিবেশ ও সংক্রামক ব্যাধির ঝুকি

#
news image

একজন অসুস্থ্য মানুষ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন আরোগ্য লাভের আশায়, আর সেই চিকিৎসকের কারণেই যদি তার বা অনাগত সন্তানের মৃত্যুর পথ ত্বরান্বিত হয় তাহলে সেটি আশ্রয়দাতার হাতে খুনের চেষ্টার শামিল। গাজীপুরে গাছা এলাকার বেশ কয়েকটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে রয়েছে চব্বিশের ছাত্র জনতার আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা না দেওয়ার, রোগী ও স্বজনদের মানসিক চাপে ফেলে সিজারিয়ান অপারেশন করাতে বাধ্য করার মতো অভিযোগ রয়েছে রড়বাড়ি এলাকায় গাজীপুর ও বড়বাড়ী পপুলার হাসপাতাল ও মালিক ডাঃ সোলাইমান সহ গাছা থানা এলাকার বেশ কয়েকটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। 
 
সরেজমিন অনুসন্ধান করে দেখা যায়, চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট প্রতিতষ্ঠান স্থাপন করার আগে জেলার সিভিল সার্জন অফিস হতে ছাড়পত্র, পরিবেশ ছাড়পত্র, মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, আয়কর প্রত্যয়ন পত্র, ভ্যাট, পরিবেশ ছাড়পত্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় হতে ছাড়পত্র গ্রহণ করার পরে চিকিৎসা সেবা প্রদানের বিধান থাকলেও তার কিছুই নেই বড়বাড়ি পপুলার হাসপাতালের। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে, স্বাস্থ্য আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাসিক মাসুয়ারার বিনিময়ে ছাড়পত্র না নিয়েই চালিয়ে যাচ্ছেন বছরের পর বছর রমরমা বাণিজ্য।
 
একজন অসুস্থ্য ব্যক্তির চিকিৎসা মৌলিক অধিকার। চিকিৎসায় অবহেলার কারণে রোগীর ক্ষতি তা আইনিভাবে ফৌজদারি অপরাধে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য। অবহেলা ও রোগীর ক্ষতি নিয়ে প্রতিবাদ করলে স্থানীয় নেতা কর্মীদের দ্বারা হতে হয় শারিরিক ও মানসিক নির্যাতনের। অনেকেই রোগীর অবস্থার কথা চিন্তা করে ঝামেলায় না জড়িয়ে অপারেশন করাতে বাধ্য হন। এতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। অনেক ক্ষেত্রে নিরবে নির্যাতন সইয়ে মোটা অংকের বিল পরিশোধ করে রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যেতে বাধ্য হন।
 
গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকার প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার ঘুরে দেখা যায়, বেসরকারি হাসপাতাল সমূহে রোগীর অপমৃত্যুর অন্যতম কারণ গুলোর মধ্যে রয়েছে- সময়মত অভিজ্ঞ চিকিৎসক বা সার্জন না থাকা, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত সেবিকা এবং টেকনিশিয়ানের পরিবর্তে তিন থেকে ছয় মাস মেয়াদী কোর্স করাদের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা, চিকিৎসক বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নার্স, টেকনিশিয়ান, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ওষুধ সরবারহ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সার্বিক অব্যবস্থাপনাও জড়িত। মূল কারণ হলো অপ্রতুল আইনি ব্যবস্থা, কোনো ধরনের জবাব দিহিতা না থাকায় চরম অরাজকতা বিরাজ করছে গাছা এলাকার প্রাইভেট হাসপাতাল ডায়গনস্টিক সমূহে।
 
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্দিষ্ট আইনের মাধ্যমে দেশের প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক স্হাপন ও পরিচালিত হয়। প্রত্যেক জেলায় এর দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন। কিন্তু তিনিই রয়েছেন না দেখার ভূমিকায়। প্রাইভেট হাসপাতাল গুলাতে চলে অন্য রকমের দুর্নীতি। পরামর্শ ফি নামক গলা কাটা ফি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত নানা ধরনের টেস্ট, ফুট সাপ্লিমেন্টসহ অপ্রয়োজনীয় ওষুধ নেওয়ার পরামর্শ এবং ডেলিভারির মতো সেনসিটিভ মুভমেন্টে রোগীর স্বজনদের মানসিক চাপে পেলে সিজারিয়ানের মতো অপারেশন করতে বাধ্য করা। প্রত্যেকটি হাসপাতালে রোগী সংগ্রহের জন্য রয়েছে সক্রিয় দালাল চক্র। সাধারণ রোগী বা স্বজনকে নানান ভয়ভীতি দেখিয়ে হাসপতালে নিয়ে যেতে পারলে মিলে মোটা অংকের কমিশন। চিকিৎসায় অবহেলা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের দ্রুত বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি সাধারণ মানুষের।
 
গত ৩মার্চ সোমবার এক ভোক্তভোগী আব্দুল হামিদের থানায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, তাহার ভাতিজির ডেলিভারির জন্য পূর্ব থেকে হাসপাতালের মালিক ডাঃ সোলাইমান এর সাথে কথা বলে রাখেন। রাত আনুমানিক ১১.০০ টায় প্রসব ব্যাথা অধিকতর হলে মোবাইলে ডাঃ সোলাইমানকে জানালে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে বারবার ডাকাডাকির পরেও রোগীকে দো,তালায় নেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার ব্যবস্থা না করে সেবিকা ও স্টাফরা দর্শনার্থী চেয়ারে বসে রোগী ও স্বজনদের অসহায়ত্ব দেখতে থাকেন। বাধ্য হয়ে প্রচন্ড প্রসব ব্যাথায় কাথরানো রোগীকের হাটিয়ে স্বজনরা সড়ো সিড়ি বেয়ে দুতলায় নিয়ে যাওয়ার পরেও হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার বা সেবিকাগণ কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। সিড়ি দিয়ে উপরে উঠার সময় রোগী একাধিকবার সিড়িতে পরে গিয়ে মারাত্বক আঘাত প্রাপ্ত হয়ে রক্তকরণ হতে থাকে যার কারনে রোগীর রক্ত শুণ্যতা দেখা দেয় এবং গর্ভের সন্তান মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়। দীর্ঘ এক ঘন্টা পর হাসপাতালের মালিক ডাঃ সোলাইমান এসে রিপোর্টের নানা অজুহাত, রোগীর রক্ত শুণ্যতা আছে, এখন অনেক রাত, ডাক্তার না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে সময় কালক্ষেপন করে রোগী ও অনাগত সন্তানকে চরম ঝুকির মধ্যে পেলে রাত ১২.৩০ পর ডেলিভারি করাতে অসীকৃতি জানিয়ে অন্যত্র নিয়ে যেতে চাপ প্রয়োগ করেতে থাকেন।
 
অভিযোগকারী উপস্থিত সময়ে পাচ জন ব্লাড ডোনার উপস্থিতির কথা জানালেও কর্ণপাত না করে মনগড়া কাল্পনীক বাক্য দিয়ে যুক্তি দিতে থাকেন। পরবর্তী সময়ে স্বজনরা বাধ্য হয়ে অন্য হাসপাতালে নিয়ে রোগী ও অনাগত সন্তানের কথা চিন্তা করে সিজারিয়ান অপারেশন করাতে বাধ্য হন। অপারেশন পরবর্তী প্রসুতি মা ও সন্তানের নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এতে রোগী ও সন্তানের শারিরীক ক্ষতি এবং স্বজনদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
 
পপুলার হাসপাতালের মালিক ডাঃ মোঃ সুলাইমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে উপস্থিত সংবাদ কর্মীদের কাছে তিনি বিষয়গুলো স্বীকার করেন এবং সমাধান করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
 
গাছা থানার পুলিশ উপপরিদর্শক শাখাওয়াত হোসেন জানান, গাজীপুর বা বড়বাড়ি পপুলারের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে আমরা একাধিক অভিযোগ পেয়েছি আর আব্দুল হামিদের
অভিযোগের সত্যতা মেলেছে বলে জানান।
 
অনুমোদনহীন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে সিভিল সার্জন বলেন, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন এবং সরকার নির্ধারিত যে বিধি-বিধান রয়েছে তার বাহিরে গিয়ে হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক পরিচালনার কোন সুযোগ নেই। অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান গুলোর  ব্যাপারে ও অচিরেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি ঃ

১৪ মার্চ, ২০২৫,  3:57 AM

news image

একজন অসুস্থ্য মানুষ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন আরোগ্য লাভের আশায়, আর সেই চিকিৎসকের কারণেই যদি তার বা অনাগত সন্তানের মৃত্যুর পথ ত্বরান্বিত হয় তাহলে সেটি আশ্রয়দাতার হাতে খুনের চেষ্টার শামিল। গাজীপুরে গাছা এলাকার বেশ কয়েকটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে রয়েছে চব্বিশের ছাত্র জনতার আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা না দেওয়ার, রোগী ও স্বজনদের মানসিক চাপে ফেলে সিজারিয়ান অপারেশন করাতে বাধ্য করার মতো অভিযোগ রয়েছে রড়বাড়ি এলাকায় গাজীপুর ও বড়বাড়ী পপুলার হাসপাতাল ও মালিক ডাঃ সোলাইমান সহ গাছা থানা এলাকার বেশ কয়েকটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। 
 
সরেজমিন অনুসন্ধান করে দেখা যায়, চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট প্রতিতষ্ঠান স্থাপন করার আগে জেলার সিভিল সার্জন অফিস হতে ছাড়পত্র, পরিবেশ ছাড়পত্র, মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, আয়কর প্রত্যয়ন পত্র, ভ্যাট, পরিবেশ ছাড়পত্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় হতে ছাড়পত্র গ্রহণ করার পরে চিকিৎসা সেবা প্রদানের বিধান থাকলেও তার কিছুই নেই বড়বাড়ি পপুলার হাসপাতালের। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে, স্বাস্থ্য আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাসিক মাসুয়ারার বিনিময়ে ছাড়পত্র না নিয়েই চালিয়ে যাচ্ছেন বছরের পর বছর রমরমা বাণিজ্য।
 
একজন অসুস্থ্য ব্যক্তির চিকিৎসা মৌলিক অধিকার। চিকিৎসায় অবহেলার কারণে রোগীর ক্ষতি তা আইনিভাবে ফৌজদারি অপরাধে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য। অবহেলা ও রোগীর ক্ষতি নিয়ে প্রতিবাদ করলে স্থানীয় নেতা কর্মীদের দ্বারা হতে হয় শারিরিক ও মানসিক নির্যাতনের। অনেকেই রোগীর অবস্থার কথা চিন্তা করে ঝামেলায় না জড়িয়ে অপারেশন করাতে বাধ্য হন। এতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। অনেক ক্ষেত্রে নিরবে নির্যাতন সইয়ে মোটা অংকের বিল পরিশোধ করে রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যেতে বাধ্য হন।
 
গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকার প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার ঘুরে দেখা যায়, বেসরকারি হাসপাতাল সমূহে রোগীর অপমৃত্যুর অন্যতম কারণ গুলোর মধ্যে রয়েছে- সময়মত অভিজ্ঞ চিকিৎসক বা সার্জন না থাকা, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত সেবিকা এবং টেকনিশিয়ানের পরিবর্তে তিন থেকে ছয় মাস মেয়াদী কোর্স করাদের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা, চিকিৎসক বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নার্স, টেকনিশিয়ান, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ওষুধ সরবারহ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সার্বিক অব্যবস্থাপনাও জড়িত। মূল কারণ হলো অপ্রতুল আইনি ব্যবস্থা, কোনো ধরনের জবাব দিহিতা না থাকায় চরম অরাজকতা বিরাজ করছে গাছা এলাকার প্রাইভেট হাসপাতাল ডায়গনস্টিক সমূহে।
 
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নির্দিষ্ট আইনের মাধ্যমে দেশের প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক স্হাপন ও পরিচালিত হয়। প্রত্যেক জেলায় এর দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন। কিন্তু তিনিই রয়েছেন না দেখার ভূমিকায়। প্রাইভেট হাসপাতাল গুলাতে চলে অন্য রকমের দুর্নীতি। পরামর্শ ফি নামক গলা কাটা ফি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত নানা ধরনের টেস্ট, ফুট সাপ্লিমেন্টসহ অপ্রয়োজনীয় ওষুধ নেওয়ার পরামর্শ এবং ডেলিভারির মতো সেনসিটিভ মুভমেন্টে রোগীর স্বজনদের মানসিক চাপে পেলে সিজারিয়ানের মতো অপারেশন করতে বাধ্য করা। প্রত্যেকটি হাসপাতালে রোগী সংগ্রহের জন্য রয়েছে সক্রিয় দালাল চক্র। সাধারণ রোগী বা স্বজনকে নানান ভয়ভীতি দেখিয়ে হাসপতালে নিয়ে যেতে পারলে মিলে মোটা অংকের কমিশন। চিকিৎসায় অবহেলা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের দ্রুত বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি সাধারণ মানুষের।
 
গত ৩মার্চ সোমবার এক ভোক্তভোগী আব্দুল হামিদের থানায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, তাহার ভাতিজির ডেলিভারির জন্য পূর্ব থেকে হাসপাতালের মালিক ডাঃ সোলাইমান এর সাথে কথা বলে রাখেন। রাত আনুমানিক ১১.০০ টায় প্রসব ব্যাথা অধিকতর হলে মোবাইলে ডাঃ সোলাইমানকে জানালে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে বারবার ডাকাডাকির পরেও রোগীকে দো,তালায় নেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার ব্যবস্থা না করে সেবিকা ও স্টাফরা দর্শনার্থী চেয়ারে বসে রোগী ও স্বজনদের অসহায়ত্ব দেখতে থাকেন। বাধ্য হয়ে প্রচন্ড প্রসব ব্যাথায় কাথরানো রোগীকের হাটিয়ে স্বজনরা সড়ো সিড়ি বেয়ে দুতলায় নিয়ে যাওয়ার পরেও হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার বা সেবিকাগণ কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। সিড়ি দিয়ে উপরে উঠার সময় রোগী একাধিকবার সিড়িতে পরে গিয়ে মারাত্বক আঘাত প্রাপ্ত হয়ে রক্তকরণ হতে থাকে যার কারনে রোগীর রক্ত শুণ্যতা দেখা দেয় এবং গর্ভের সন্তান মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়। দীর্ঘ এক ঘন্টা পর হাসপাতালের মালিক ডাঃ সোলাইমান এসে রিপোর্টের নানা অজুহাত, রোগীর রক্ত শুণ্যতা আছে, এখন অনেক রাত, ডাক্তার না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে সময় কালক্ষেপন করে রোগী ও অনাগত সন্তানকে চরম ঝুকির মধ্যে পেলে রাত ১২.৩০ পর ডেলিভারি করাতে অসীকৃতি জানিয়ে অন্যত্র নিয়ে যেতে চাপ প্রয়োগ করেতে থাকেন।
 
অভিযোগকারী উপস্থিত সময়ে পাচ জন ব্লাড ডোনার উপস্থিতির কথা জানালেও কর্ণপাত না করে মনগড়া কাল্পনীক বাক্য দিয়ে যুক্তি দিতে থাকেন। পরবর্তী সময়ে স্বজনরা বাধ্য হয়ে অন্য হাসপাতালে নিয়ে রোগী ও অনাগত সন্তানের কথা চিন্তা করে সিজারিয়ান অপারেশন করাতে বাধ্য হন। অপারেশন পরবর্তী প্রসুতি মা ও সন্তানের নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এতে রোগী ও সন্তানের শারিরীক ক্ষতি এবং স্বজনদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
 
পপুলার হাসপাতালের মালিক ডাঃ মোঃ সুলাইমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে উপস্থিত সংবাদ কর্মীদের কাছে তিনি বিষয়গুলো স্বীকার করেন এবং সমাধান করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
 
গাছা থানার পুলিশ উপপরিদর্শক শাখাওয়াত হোসেন জানান, গাজীপুর বা বড়বাড়ি পপুলারের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে আমরা একাধিক অভিযোগ পেয়েছি আর আব্দুল হামিদের
অভিযোগের সত্যতা মেলেছে বলে জানান।
 
অনুমোদনহীন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে সিভিল সার্জন বলেন, পরিবেশ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন এবং সরকার নির্ধারিত যে বিধি-বিধান রয়েছে তার বাহিরে গিয়ে হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক পরিচালনার কোন সুযোগ নেই। অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান গুলোর  ব্যাপারে ও অচিরেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।